জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির বলেন, ‘শফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কোনো গোপন সংগঠনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক বা সংশ্লিষ্টতা নেই। জামায়াতে ইসলামী নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় রাজনীতি করে।
বিবৃতিতে মুজিবুর রহমান আরও বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণার পর এই আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত ও রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতেই শফিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। আমরা স্পষ্ট জানাতে চাই, গ্রেপ্তার, হয়রানি, জেল-জুলুম ও নির্যাতন চালিয়ে জনগণের আন্দোলন দমানো যাবে না। রিমান্ড বাতিল করে অবিলম্বে জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুরের মুক্তি দাবি করছি।’
এদিকে মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান জানান, জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানকে জঙ্গিসংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে সোমবার ভোররাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে শফিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয় বলেও জানান আসাদুজ্জামান।
সিটিটিসির প্রধান বলেন, নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সঙ্গে শফিকুর রহমানের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। একই অভিযোগে গত ৯ নভেম্বর সিলেট থেকে শফিকুরের ছেলে রাফাত সাদিক সাইফুল্লাহকে এক সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সাইফুল্লাহ জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সিলেট অঞ্চলের সমন্বয়ক। এর আগে ১ নভেম্বর ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে সংগঠনের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর সাইফুল্লাহর বিষয়ে তথ্য পাওয়া যায়। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই শফিকুর রহমান ও তাঁর ছেলে সাইফুল্লাহর সঙ্গে শারক্বীয়ার সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে।