চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেনি সংসদের স্পিকার শিরীন শারমীন চৌধুরী। এই সংসদ সদস্যের পদত্যাগপত্রের মূল কপি না থাকায় তা গ্রহণ করা হয়নি।
রোববার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে সংসদ সচিবালয়ে নিজেদের পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে আসার পর এই তথ্য জানান সদ্য পদত্যাগ করা সংরক্ষিত নারী আসনের বিএনপির সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।
রুমিন ফারহানা বলেন, নিজেরা উপস্থিত না থাকার কারণে প্রথমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে হারুনুর রশীদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের আবদুস সাত্তার ভূঞার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেনি সংসদ সচিবালয়। কিছুক্ষণ পরে আবদুস সাত্তার ভূঞার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন। তবে হারুনুর রশীদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি। কারণ বলা হয়েছে, তার পদত্যাগপত্রের মূল কপি লাগবে। মেইল থেকে প্রিন্ট করা কপি গ্রহণ করা যাবে না।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন বিএনপির পাঁচ সংসদ সদস্য।
সংবিধানের ৬৭(২) অনুচ্ছেদে বলা আছে, কোনো সংসদ সদস্য স্পিকারের নিকট স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন, এবং স্পিকার কিংবা স্পিকারের পদ শূন্য থাকিলে বা অন্য কোনো কারণে স্পিকার স্বীয় দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে ডেপুটি স্পিকার যখন ওই পত্র প্রাপ্ত হন, তখন থেকে ওই সদস্যের আসন শূন্য হইবে।
১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ থেকে একযোগে দলটির সব সংসদ সদস্য পদত্যাগের ঘোষণা দেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. হারুন অর রশিদ অস্ট্রেলিয়ায় থাকায় তিনি গণসমাবেশে উপস্থিত ছিলেন না।
এরপর দলটির মিডিয়া উইং থেকে জানানো হয়েছিল, রোববার সশরীরে জাতীয় সংসদে গিয়ে স্পিকারের হাতে সবার স্বাক্ষরযুক্ত পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া হবে।