ঢাকা ১২:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাকরিতে মূল সার্টিফিকেট জমা রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট

চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল সনদ জমা রাখা অবৈধ ঘোষণার নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়েছে।

শাহেন শাহ নামের এক ব্যক্তির পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সেলিম মিয়া গত ২৯ নভেম্বর হাইকোর্টে এ রিট আবেদনটি দায়ের করেন।

রোববার (৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটি শুনানির জন্য কার্যতালিকার ১১৯ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে।

শনিবার (৩ ডিসেম্বর) রিটকারীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সেলিম মিয়া এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মূল সার্টিফিকেট জমা রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করার পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা ‘প্রোগ্রেস’ এর কাছে আবেদনকারীর আটকে থাকা সনদপত্র ফেরতের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

রিট আবেদনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, ক্ষুদ্রঋণ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের নির্বাহী সহ-সভাপতি ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘প্রোগ্রেস’ এর নির্বাহী পরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে।

রিট আবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সালে শাহেন শাহ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘প্রোগ্রেস’ এর ক্রেডিট অফিসার হিসেবে নিয়োগ পান। নিয়োগের সময় এনজিওটি তার কাছ থেকে এসএসসি, এইচএসসির মূল সনদ ও খালি চেক জমা রাখেন। চার বছর কাজ করার পর ২০২১ সালে তিনি চাকরিচ্যুত হন।

চাকরি হারানোর পর প্রতিষ্ঠানটি থেকে তিনি কোনো বেনিফিট পাননি। উপরন্তু অর্থ তসরুপের মিথ্যা অভিযোগ তুলে প্রায় দেড় বছর ধরে তার এসএসসি, এইচএসসির মূল সনদ ও জমা দেওয়া ব্ল্যাংক চেক ফেরত দেওয়া হচ্ছে না। তাই এসব সনদ ফেরত পেতে এই রিট আবেদনটি দায়ের করেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চাকরিতে মূল সার্টিফিকেট জমা রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট

আপডেট সময় ১১:৫১:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২২

চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল সনদ জমা রাখা অবৈধ ঘোষণার নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়েছে।

শাহেন শাহ নামের এক ব্যক্তির পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সেলিম মিয়া গত ২৯ নভেম্বর হাইকোর্টে এ রিট আবেদনটি দায়ের করেন।

রোববার (৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটি শুনানির জন্য কার্যতালিকার ১১৯ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে।

শনিবার (৩ ডিসেম্বর) রিটকারীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সেলিম মিয়া এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মূল সার্টিফিকেট জমা রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করার পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা ‘প্রোগ্রেস’ এর কাছে আবেদনকারীর আটকে থাকা সনদপত্র ফেরতের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

রিট আবেদনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, ক্ষুদ্রঋণ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের নির্বাহী সহ-সভাপতি ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘প্রোগ্রেস’ এর নির্বাহী পরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে।

রিট আবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সালে শাহেন শাহ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘প্রোগ্রেস’ এর ক্রেডিট অফিসার হিসেবে নিয়োগ পান। নিয়োগের সময় এনজিওটি তার কাছ থেকে এসএসসি, এইচএসসির মূল সনদ ও খালি চেক জমা রাখেন। চার বছর কাজ করার পর ২০২১ সালে তিনি চাকরিচ্যুত হন।

চাকরি হারানোর পর প্রতিষ্ঠানটি থেকে তিনি কোনো বেনিফিট পাননি। উপরন্তু অর্থ তসরুপের মিথ্যা অভিযোগ তুলে প্রায় দেড় বছর ধরে তার এসএসসি, এইচএসসির মূল সনদ ও জমা দেওয়া ব্ল্যাংক চেক ফেরত দেওয়া হচ্ছে না। তাই এসব সনদ ফেরত পেতে এই রিট আবেদনটি দায়ের করেন।