চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড এলাকায় আলিনা ইসলাম আয়াত হত্যার ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেফতার আবির আলী।
শনিবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেব ১৬৪ ধারায় এ জবানবন্দি রেকর্ড করেন। বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় ১৭ পৃষ্ঠার জবানবন্দি দেয় আবির।
গ্রেফতার আবিরকে দ্বিতীয় দফায় সাতদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। এ রিমান্ডের ষষ্ঠ দিনে তিনি আদালতে স্বীকারোক্তি দিলেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো অঞ্চলের পরিদর্শক মনোজ কুমার দে জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আদালতে বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট সেলিম উল্লাহ চৌধুরী জানান, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডের পর আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেব।
চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানাধীন বন্দরটিলা এলাকায় গত ১৫ নভেম্বর নিখোঁজ হয় সাত বছর বয়সী আলিনা ইসলাম আয়াত। ওইদিন খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ইপিজেড থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন তার বাবা সোহেল রানা।
এ ঘটনায় থানা পুলিশ কোনো ক্লু উদঘাটন করতে না পারলেও ২৪ নভেম্বর রাত ১১টার দিকে ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী সড়ক থেকে আবির আলীকে গ্রেফতার করে পিবিআই।
আটকের পর পিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদে শিশু আয়াতকে মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে অপহরণের কথা স্বীকার করেন আবির আলী। পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা এবং ধারালো বটি ও অ্যান্টিকাটার দিয়ে মরদেহ ছয় টুকরা করে নালা ও সাগরে ফেলে দেওয়ার তথ্য দেন পিবিআইকে।
প্রথম দফায় দুদিনের রিমান্ডে থাকার সময়ে ভিকটিমের মরদেহ উদ্ধার না হওয়ায় ২৮ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় পিবিআইয়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত আরও সাতদিনের রিমান্ড দেয়। এ ঘটনায় আবির আলীর বাবা আজহারুল, মা আলো বেগম এবং বোনকেও গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয় পিবিআই।
গ্রেফতার আবির আলীর (১৯) দেওয়া তথ্যের সূত্র ধরে পিবিআইয়ের ২৫ জনের দুটি টিম আয়াতের দেহের খণ্ডাংশগুলো ফেলার স্থান দুটিতে অনুসন্ধান চালায়। একপর্যায়ে ৩০ নভেম্বর খণ্ডিত পা দুটি এবং ১ ডিসেম্বর সকালে খণ্ডিত মাথা উদ্ধার করে পিবিআই।