ঢাকা ১২:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

শেখ ফজলুল হক মনির ৮৪তম জন্মদিন

যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ শেখ ফজলুল হক মনির ৮৪তম জন্মদিন রোববার (৪ ডিসেম্বর)। ১৯৩৯ সালের এই দিনে তিনি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার ঐতিহাসিক শেখ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর সঙ্গেই শেখ মণি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বেগম সামছুন্নেছা আরা আরজু মণিকে নৃশংসভাবে হত্যা করে ঘাতকরা।

শেখ ফজলুল হক মনি ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। তিনি ঢাকা নবকুমার ইনস্টিটিউট থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেন। এরপর তিনি ভর্তি হন জগন্নাথ কলেজে। ১৯৫৮ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করার পর ১৯৬০ সালে তিনি বরিশাল বিএম কলেজ থেকে বিএ ডিগ্রি লাভ করেন। ষাটের দশকে সামরিক শাসনবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাহসী নেতৃত্বের মাধ্যমে ইয়াহিয়া খানের গদি কাঁপিয়ে দেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি মুজিববাহিনীর অধিনায়ক ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ১৯৭২ সালে যুবলীগ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এদেশে যুব রাজনীতির সূচনা করেন।

শেখ মনি ১৯৬২-৬৩ মেয়াদে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। মোনায়েম সরকার তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম এ ডিগ্রি কেড়ে নেয়। বঙ্গবন্ধুর ঘোষিত বাঙালির মুক্তির সনদ ঐতিহাসিক ৬ দফা আন্দোলনে গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় ৩ বছর কারাভোগ করেন। রাজনীতির পাশাপাশি সাংবাদিকও ছিলেন শেখ মনি। তিনি দৈনিক বাংলার বাণী, বাংলাদেশ টাইমস এবং বিনোদন পত্রিকা সাপ্তাহিক সিনেমার সম্পাদক ছিলেন। তার সম্পাদিত বাংলার বাণী ছিল বাংলাদেশের প্রথম অফসেটে মুদ্রিত সংবাদপত্র। বাকশালেরও সম্পাদক ছিলেন শেখ ফজলুল হক মনি।

শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি ব্যক্তি জীবনে দুই সন্তানের জনক ছিলেন। বড় ছেলে শেখ ফজলে শামস পরশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে মাস্টার্স এবং পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকেও ইংরেজিতে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি বর্তমানে যুবলীগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। আর ছোট ছেলে শেখ ফজলে নূর তাপস খ্যাতনামা ব্যারিস্টার এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত মেয়র। মেয়র হওয়ার আগে ব্যারিস্টার তাপস ঢাকা-১২ থেকে একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন।

শহীদ শেখ মনির জন্মদিন উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। যুবলীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বনানী কবরস্থানে শহীদ শেখ ফজলুল হক মনিসহ ১৫ আগস্টে নিহত সব শহীদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন, ফাতেহা পাঠ, দোয়া ও মোনাজাত। সোমবার (৫ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে অসহায়-দুস্থদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী ও শীতবস্ত্র বিতরণ।

এছাড়াও আগামী ৪, ৫ ও ৬ ডিসেম্বর যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ শেখ ফজলুল হক মণির ৮৪তম জন্মদিন উপলক্ষে দেশব্যাপী সব মসজিদে দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা সভা, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং অসহায়, এতিম ও দুস্থদের মধ্যে শীতবস্ত্র/খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইমরান খানের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে বড় অভিযান চালানোর শঙ্কা

শেখ ফজলুল হক মনির ৮৪তম জন্মদিন

আপডেট সময় ১১:১৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২২

যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ শেখ ফজলুল হক মনির ৮৪তম জন্মদিন রোববার (৪ ডিসেম্বর)। ১৯৩৯ সালের এই দিনে তিনি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার ঐতিহাসিক শেখ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর সঙ্গেই শেখ মণি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বেগম সামছুন্নেছা আরা আরজু মণিকে নৃশংসভাবে হত্যা করে ঘাতকরা।

শেখ ফজলুল হক মনি ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। তিনি ঢাকা নবকুমার ইনস্টিটিউট থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেন। এরপর তিনি ভর্তি হন জগন্নাথ কলেজে। ১৯৫৮ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করার পর ১৯৬০ সালে তিনি বরিশাল বিএম কলেজ থেকে বিএ ডিগ্রি লাভ করেন। ষাটের দশকে সামরিক শাসনবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাহসী নেতৃত্বের মাধ্যমে ইয়াহিয়া খানের গদি কাঁপিয়ে দেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি মুজিববাহিনীর অধিনায়ক ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ১৯৭২ সালে যুবলীগ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এদেশে যুব রাজনীতির সূচনা করেন।

শেখ মনি ১৯৬২-৬৩ মেয়াদে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। মোনায়েম সরকার তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম এ ডিগ্রি কেড়ে নেয়। বঙ্গবন্ধুর ঘোষিত বাঙালির মুক্তির সনদ ঐতিহাসিক ৬ দফা আন্দোলনে গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় ৩ বছর কারাভোগ করেন। রাজনীতির পাশাপাশি সাংবাদিকও ছিলেন শেখ মনি। তিনি দৈনিক বাংলার বাণী, বাংলাদেশ টাইমস এবং বিনোদন পত্রিকা সাপ্তাহিক সিনেমার সম্পাদক ছিলেন। তার সম্পাদিত বাংলার বাণী ছিল বাংলাদেশের প্রথম অফসেটে মুদ্রিত সংবাদপত্র। বাকশালেরও সম্পাদক ছিলেন শেখ ফজলুল হক মনি।

শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি ব্যক্তি জীবনে দুই সন্তানের জনক ছিলেন। বড় ছেলে শেখ ফজলে শামস পরশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে মাস্টার্স এবং পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকেও ইংরেজিতে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি বর্তমানে যুবলীগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। আর ছোট ছেলে শেখ ফজলে নূর তাপস খ্যাতনামা ব্যারিস্টার এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত মেয়র। মেয়র হওয়ার আগে ব্যারিস্টার তাপস ঢাকা-১২ থেকে একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন।

শহীদ শেখ মনির জন্মদিন উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। যুবলীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বনানী কবরস্থানে শহীদ শেখ ফজলুল হক মনিসহ ১৫ আগস্টে নিহত সব শহীদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন, ফাতেহা পাঠ, দোয়া ও মোনাজাত। সোমবার (৫ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে অসহায়-দুস্থদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী ও শীতবস্ত্র বিতরণ।

এছাড়াও আগামী ৪, ৫ ও ৬ ডিসেম্বর যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ শেখ ফজলুল হক মণির ৮৪তম জন্মদিন উপলক্ষে দেশব্যাপী সব মসজিদে দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা সভা, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং অসহায়, এতিম ও দুস্থদের মধ্যে শীতবস্ত্র/খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হবে।