ঢাকা ১২:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
নবীনগরে এসএসসি পরীক্ষা নকলমুক্ত কেন্দ্র কুমিল্লা ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় ৬ আইনজীবী কারাগারে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটিতে “ব্লু ইকোনমি” শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত রাজবাড়ীতে আশু ভরদ্বাজ স্মরণে সভা পীরগঞ্জে ডেভিল হান্ট অভিযানে গ্রেপ্তার ৪ জাবিতে ৯ শিক্ষক বরখাস্তের নোটিশ এক মাসেও জারি হয়নি তোফায়েলের পালক পুত্রের ৩৪ কোটি টাকার সম্পদ, দুদকের মামলা  গাজীপুরে জায়েন্ট টেক্সটাইল লিমিটেডে সন্ত্রাসী হামলা , থানায় অভিযোগ সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যকে র‍্যাংক ব্যাজ পরিধান আত্রাইয়ে শিক্ষার্থীদের ভৌগোলিক জ্ঞান বৃদ্ধিতে বিদ্যালয়ে মানচিত্র স্থাপন

পবিপ্রবিতে বর্ণিল আয়োজনে পহেলা বৈশাখ উদযাপন

  • এম রহমান
  • আপডেট সময় ০১:৫১:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫
  • ৫১৭ বার পড়া হয়েছে

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) বর্ণিল আয়োজন ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হলো বাংলা নববর্ষ ১৪৩২। সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ক্যাম্পাসে আনন্দ শোভাযাত্রা, আলোচনা অনুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও ঘুড়ি উৎসবসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নতুন বছরের সূচনা করা হয়।

চৈত্রসংক্রান্তির মাধ্যমে বিদায় জানানো হয় ১৪৩১ বঙ্গাব্দকে এবং নতুন বছরের আগমন উদযাপন করা হয় ঐতিহ্যবাহী বাঙালি সংস্কৃতির আবহে। বর্ষবরণের এই আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস রঙিন সাজে সেজে ওঠে। মুখোশ, পোস্টার, প্ল্যাকার্ড, শিল্পকর্মে ফুটে উঠে বাঙালিয়ানার বৈচিত্র্য এবং ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতির বার্তা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন থেকে শুরু হয়ে শোভাযাত্রাটি শহীদ জিয়া হল, দক্ষিণ গেইট, পূর্ব গেইট, একাডেমিক ভবন হয়ে টিএসসির সামনে গিয়ে শেষ হয়। উৎসব ঘিরে সকাল থেকেই শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ নানা বয়সী মানুষের উপস্থিতিতে মুখরিত ছিল ক্যাম্পাস।

আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পবিপ্রবির মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গবেষক প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম।

উদ্বোধনী বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, “পহেলা বৈশাখ আমাদের প্রাণের উৎসব। এই দিনটি শুধু নতুন বছরের সূচনা নয়, বরং আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং জাতিসত্তার পরিচায়ক। আজকের এই আয়োজন আমাদের ভ্রাতৃত্ব, ঐক্য এবং প্রতিবাদী চেতনার প্রতিচ্ছবি। ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে শোভাযাত্রায় পতাকা ব্যবহারের মধ্য দিয়ে আমরা বিশ্বমানবতার পাশে দাঁড়ানোর বার্তাও দিয়েছি।”

তিনি আরও বলেন, “শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এবং সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে আমরা একটি মূল্যবোধভিত্তিক সমাজ গঠনে বিশ্বাসী। এই আয়োজন শিক্ষার্থীদের মনন ও মূল্যবোধকে সমৃদ্ধ করবে।”

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নববর্ষ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মোঃ হাবিবুর রহমান এবং সঞ্চালনায় ছিলেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার ড. মোঃ আমিনুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এসএম হেমায়েত জাহান, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আবদুল লতিফ এবং রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মোঃ ইকতিয়ার উদ্দিন।

আলোচনা সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘আলোকতরী’র পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় বর্ণাঢ্য ফ্লাস মোব। পরে পান্তা ইলিশ ও ভর্তা উৎসবে অংশ নেন ভাইস-চ্যান্সেলর, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা। বিভিন্ন প্রকার পিঠা, পায়েশ ও বাঙালির ঐতিহ্যবাহী খাবারের আয়োজন দর্শনার্থীদের আনন্দে ভরিয়ে তোলে।

উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ ছিল ঘুড়ি উড়ানো প্রতিযোগিতা, যেখানে শতাধিক অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। এতে প্রথম স্থান অর্জন করেন জনসংযোগ বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর মোঃ মাহফুজুর রহমান সবুজ, দ্বিতীয় স্থান পান প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. এসএম হেমায়েত জাহান এবং তৃতীয় হন কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আবদুল লতিফ।

সার্বিক আয়োজনে সহযোগিতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ, বিভাগ, সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সৃজনী বিদ্যানিকেতন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

নবীনগরে এসএসসি পরীক্ষা নকলমুক্ত কেন্দ্র

পবিপ্রবিতে বর্ণিল আয়োজনে পহেলা বৈশাখ উদযাপন

আপডেট সময় ০১:৫১:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) বর্ণিল আয়োজন ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হলো বাংলা নববর্ষ ১৪৩২। সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ক্যাম্পাসে আনন্দ শোভাযাত্রা, আলোচনা অনুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও ঘুড়ি উৎসবসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নতুন বছরের সূচনা করা হয়।

চৈত্রসংক্রান্তির মাধ্যমে বিদায় জানানো হয় ১৪৩১ বঙ্গাব্দকে এবং নতুন বছরের আগমন উদযাপন করা হয় ঐতিহ্যবাহী বাঙালি সংস্কৃতির আবহে। বর্ষবরণের এই আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস রঙিন সাজে সেজে ওঠে। মুখোশ, পোস্টার, প্ল্যাকার্ড, শিল্পকর্মে ফুটে উঠে বাঙালিয়ানার বৈচিত্র্য এবং ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতির বার্তা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন থেকে শুরু হয়ে শোভাযাত্রাটি শহীদ জিয়া হল, দক্ষিণ গেইট, পূর্ব গেইট, একাডেমিক ভবন হয়ে টিএসসির সামনে গিয়ে শেষ হয়। উৎসব ঘিরে সকাল থেকেই শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ নানা বয়সী মানুষের উপস্থিতিতে মুখরিত ছিল ক্যাম্পাস।

আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পবিপ্রবির মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গবেষক প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম।

উদ্বোধনী বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, “পহেলা বৈশাখ আমাদের প্রাণের উৎসব। এই দিনটি শুধু নতুন বছরের সূচনা নয়, বরং আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং জাতিসত্তার পরিচায়ক। আজকের এই আয়োজন আমাদের ভ্রাতৃত্ব, ঐক্য এবং প্রতিবাদী চেতনার প্রতিচ্ছবি। ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে শোভাযাত্রায় পতাকা ব্যবহারের মধ্য দিয়ে আমরা বিশ্বমানবতার পাশে দাঁড়ানোর বার্তাও দিয়েছি।”

তিনি আরও বলেন, “শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এবং সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে আমরা একটি মূল্যবোধভিত্তিক সমাজ গঠনে বিশ্বাসী। এই আয়োজন শিক্ষার্থীদের মনন ও মূল্যবোধকে সমৃদ্ধ করবে।”

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নববর্ষ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মোঃ হাবিবুর রহমান এবং সঞ্চালনায় ছিলেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার ড. মোঃ আমিনুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এসএম হেমায়েত জাহান, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আবদুল লতিফ এবং রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মোঃ ইকতিয়ার উদ্দিন।

আলোচনা সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘আলোকতরী’র পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় বর্ণাঢ্য ফ্লাস মোব। পরে পান্তা ইলিশ ও ভর্তা উৎসবে অংশ নেন ভাইস-চ্যান্সেলর, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা। বিভিন্ন প্রকার পিঠা, পায়েশ ও বাঙালির ঐতিহ্যবাহী খাবারের আয়োজন দর্শনার্থীদের আনন্দে ভরিয়ে তোলে।

উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ ছিল ঘুড়ি উড়ানো প্রতিযোগিতা, যেখানে শতাধিক অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। এতে প্রথম স্থান অর্জন করেন জনসংযোগ বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর মোঃ মাহফুজুর রহমান সবুজ, দ্বিতীয় স্থান পান প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. এসএম হেমায়েত জাহান এবং তৃতীয় হন কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আবদুল লতিফ।

সার্বিক আয়োজনে সহযোগিতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ, বিভাগ, সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সৃজনী বিদ্যানিকেতন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।