নিজের অপকর্ম ধামাচাপা দিতে প্রেমিকার গর্ভের সন্তান হত্যার পরিকল্পনা করে প্রেমিক মেহেদী হাসানের পরিবার।পরে গোপনে ওই কিশোরীকে তুলে নিয়ে ময়মনসিংহের একটি হাসপাতালে গর্ভের সন্তান গর্ভপাত ঘটিয়ে হত্যা করে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার ১০ এপ্রিল রাতে। পরে অসুস্থ কিশোরীকে গত শনিবার রাত ৮টার দিকে বাসায় পৌঁছে দেয় মেহেদীর বন্ধু রানা। ঘটনা প্রকাশ পেলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরে শনিবার রাতে ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযুক্তরা হলো ওই কিশোরীর প্রেমিক মেহেদী হাসান (২১), তার ভাই জয় (২৫), বাবা ইউসুফ আলী (৫৫), চাচা জুয়েল (৩৭), বন্ধু সবুজ (৩০) ও রানা (১৮)। অভিযুক্তরা সবাই উপজেলার গাড়োপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
ও-ই কিশোরী জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে মেহেদী ফোন করে আমাকে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের গড়গড়িয়া মাষ্টার বাড়ি এলাকার রসের মিষ্টির দোকানের সামনে যেতে বলে। পরে তার পরিবারের লোকজন আমাকে গাড়িতে করে ময়মনসিংহে নিয়ে যায়। এবং গর্ভের সন্তান গর্ভপাত ঘটিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরাঘুরি করে। পরে একটি হাসপাতালে আমাকে নিয়ে গেলে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। জ্ঞান ফিরলে দেখি আমার গর্ভে সন্তান নেই। ওরা আমাকে অচেতন করে গর্ভের ছয় মাসের সন্তানকে গর্ভপাত ঘটিয়ে হত্যা করেছে।তিনি আরও জানায়, দুই বছ পূর্বে ভিকটিমের সঙ্গে মেহেদীর পরিচয়। পরিচয় থেকে প্রেম। পরে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে গড়ে তুলে অনৈতিক সম্পর্ক। নিজ বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ওই কিশোরীর সঙ্গে দৈহিক মিলন করত মেহেদী। এক পর্যায়ে কিশোরী অন্ত:স্বত্ত্বা হয়ে পড়ে। ভিকটিম মেহেদীকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে তালবাহানা করতে থাকে।
বক্তব্য জানতে মেহেদীর বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। মেহেদীর বাবা জানান, বিষয়টি তারা ভিকটিমের পরিবারের সঙ্গে সমাধানের চেষ্টা করছেন।
শ্রীপুর থানার পরিতদর্শক মো. জয়নাল আবেদীন মন্ডল জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।