সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার রবিবার (৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১ টায় উপজেলার
বিভিন্ন এলাকায় কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানে।
একইভাবে ঝড়ও বৃষ্টিপাতের সাথে বজ্রপাত ও হালকা শীলা বৃষ্টিতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কাচাঁ ঘরবাড়ি ভেঙে ক্ষতি সাধন হয়। ঝড়ে গাছ পালা ভেঙে বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে রাস্তাাঘাটে পড়েছে। এছাড়াও ঘর-বাড়ির টিনের চাল উড়ে গেছে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) স্থায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রবিবার দিবাগত রাত ১ টার দিকে বজ্রপাতের কম্পনের সাথে সাথে পশ্চিম উত্তর কোণ থেকে মুহুর্তের মধ্যে কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। ৩০ মিনিট ব্যাপি ঝড়ে এলাকার কাচা ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়। অনেকের ঘরের টিনের চাল উড়ে গেছে। উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের ভুজনা, অমরপুর, কালিকাপুর, কদম তলী, নুরপুর, সোনাপুর কাল বৈশাখীর সাথে হালকা শীলা বৃষ্টি ও হয়েছে। এতে ঘরবাড়ির পাশাপাশি রবিশস্যের ও ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ ও বিচ্ছিন্ন হওয়ায় প্রায় প্রায় ১৮/১৯ ঘন্টা বিদ্যুৎ বিহীন ছিল উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নের জনগণ।
কালিকাপুর গ্রামের সাইদ হাসান (কানন] বলেন, প্রতিবছর চৈত্র বৈশাখ মাসে ঝড় বৃষ্টি হয়। এবছর ও কাল বৈশাখী ঝড়ে কাঁচা ঘরবাড়ির পাশাপাশি ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে পল্লী বিদ্যুৎতে সহকারী জেনারেল ম্যানাজার এবিএম জাহিদুল ইসলাম বলেন, ঝড়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ লাইনে গাছপালা পরে লাইনের ক্ষতি হওয়ার কারণে সংযোগ মেরামতে, কয়েক ঘন্টা বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে কিছুটা বিলম্ব হতে পারে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নেহের নিগার তনু বলেন, গত রাতে ঝড় বৃষ্টি হয়েছে। তবে ব্যাপক ভাবে ক্ষতি হওয়ার মতো কালবৈশাখী ঝড়ের তথ্য পাইনি।