গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান নৃশংস হামলার প্রতিবাদে গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা No work, No School কর্মসূচি পালন করেছে সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা।
আজ ৭ এপ্রিল (সোমবার) কর্মসূচির অংশ হিসেবে নির্যাতিত ফিলিস্তিনদের প্রতি সংহতি প্রকাশ এবং ওয়ার্ল্ড ওয়াইড জেনারেল স্ট্রাইক এর আহ্বানকে পূর্ণ সমর্থন ও সম্মান জানিয়ে কলেজের সকল একাডেমিক কার্যক্রম সহ পরীক্ষা, ক্লাস বর্জন করেছে কলেজটির শিক্ষার্থীরা এবং বিক্ষোভ মিছিল করেছে। দুপুর ১১:৫৯ মিনিটে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে লক্ষীবাজার, কবি নজরুল কলেজ, তাঁতিবাজার, গুলিস্তান, চাংখারপুল দিয়ে সাইন্সল্যাবে পৌঁছায় এবং সেখানে তারা অবস্থান করে।
রবিবার (৬ এপ্রিল) কলেজটি তে থাকা ইন্টারমিডিয়েট ও অনার্স এবং মাস্টার্সের সাধারণ শিক্ষার্থীদের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। শুধু তাই নয় কলেজটি তে থাকা বিভিন্ন সংগঠন ও বিভিন্ন জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদ এই কর্মসূচিতে একত্বতা প্রকাশ করে।
এ বিষয় সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের নাইমুল ইসলাম বলেন, ফিলিস্তিনের জনগণের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে রাস্তায় নেমেছি। কারণ সেখানে আমার ভাই বোন শিশুদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হচ্ছে।
ইসরায়েলি বাহিনীর ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এবং বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান থাকবে অনতিবিলম্বে এই যুদ্ধের চির অবসান কল্পে পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল জনসাধারণকে বলবো, ইসরাইলের সকল পণ্য বয়কট করুন। এবং তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।
ব্যবস্থাপনা বিভাগের তুহিন হোসেন বলেন, ফিলিস্তানি ভাইদের প্রতি অন্যায় অত্যাচার কোনো ভাবে মেনে নেওয়ার নয় আমরা প্রার্থনা করি এই অন্যায় ভাবে আমাদের ভাইদের প্রতি নৃসংস হত্যা বন্ধ হোক।এই কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা ইসরাইলী সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলা তীব্র নিন্দা জানাই।নেতানিয়াহু ও তার বাহিনীকে শাস্তির আওতায় আনা হোক।আমরা আমাদের এই কর্মসূচির মাধ্যমে জানান দিতে চাই ফিলিস্তানি ভাইরা একা নয় তাদের সাথে আমরা আছি তাদের জন্য নিজেদের সর্বোচ্চ দিতে প্রস্তুত।আমরা দেখেছি ইয়েমেনকেও ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিপক্ষে দারাতে।কিন্তু আমাদের মুসলিম শক্তিধর দেশে সেখানে নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করছে।বহি বিশ্বে মুসলিম নেতাদের বলতে চাই এখন সময় এক হওয়ার। আপনাদের মাধ্যমে আমাদের ইসলামের ইতিহাস ঐতিহ্য ফিরে আসুক।ফিরে আসুক উমর ও খালিদের যুগ।আমার মতে এই যুদ্ধ থামাতে বহি বিশ্বেকে এগিয়ে আসতে হবে পাশাপাশি ইসলামিক দেশগুলোকেও শক্ত অবস্থান ধরে রাখতে হবে।
সমাজকর্ম বিভাগের মোঃ হৃদয় হোসেন আরও বলেন, ফিলিস্তিনে চলমান গণহত্যা নিছক একটি যুদ্ধ নয়, এটি মানবতার বিরুদ্ধে নির্মম অপরাধ। আজ আমরা ‘গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা’র’ সাথে সংহতি জানিয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছি এবং প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছি। কারণ নিরীহ মানুষের রক্তের উপর নিরব থাকা মানেই অপরাধে অংশ নেওয়া। আমরা এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার, আমরা শিক্ষার্থীরা মানবতার পক্ষে।