ঢাকা ০৮:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ২৬ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মিঠাপুকুরে সড়ক দূর্ঘটনায় যুবক নিহত জলাশয় ভরাট করে খেলার মাঠ করার দাবিতে মানববন্ধন মাইনীমুখ মডেল হাই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের কুমিল্লা দেবিদ্বারে বিনামূল্যে সার বীজ পেলেন ৭ হাজার কৃষক মঠবাড়িয়ায় গভীর রাতে বসতঘর কুপিয়ে ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ সাংবাদিক হত্যাচেষ্টা মামলার আসামী সানোয়ার হোসেন’র জামিন নামঞ্জুর জেলহাজতে প্রেরণ  শিক্ষার্থীদের সৎ ও ভালো মানুষ হওয়ার পরামর্শ কুমিল্লায় হাসনাত আব্দুল্লাহ কুমিল্লায় ৭ দফা দাবিতে প্রাণিসম্পদ বিভাগের এআই টেকনিশিয়ানদের কর্মবিরতি গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে জামালপুর জিয়া সাইবার ফোর্সের বিক্ষোভ মিছিল  নওগাঁয় নিখোঁজ ২ ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার মাদারীপুর রাজৈর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার অসচেতনতা কর্মস্থলে অনুপস্থিত

শ্রীমঙ্গলে লজ্জাবতী বানর উদ্ধার

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার কাকিয়াছড়া চা বাগানের মন্দিরের সামনে থেকে বিরল ও বিপন্ন প্রজাতির একটি লজ্জাবতী বানর বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) রাতে উদ্ধার করা হয়েছে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয় কয়েকজন শিশু বানরটিকে দেখতে পেয়ে বিস্মিত হয়ে পড়ে এবং বিষয়টি জানায় চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের এক কর্মচারীকে।

খবর পাওয়ার পরপরই বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক স্বপন দেব সজল পরিবেশকর্মী রাজদীপ দেবকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান এবং বানরটিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেন। উদ্ধারকারী দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রাণীটি সুস্থ এবং নিরীহ ছিল, ফলে কোনো ধরনের আঘাত ছাড়াই উদ্ধার সম্ভব হয়েছে।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের তথ্যমতে, লজ্জাবতী বানর নিশাচর এবং নির্জন পরিবেশে বাস করে। এরা সাধারণত একা কিংবা জোড়ায় চলাফেরা করে এবং গাছের ডালে ধীরগতিতে চলাচল করে বলে এদের লজ্জাবতী নামে ডাকা হয়। লজ্জাবতী বানর নামে পরিচিত এবং এটি বর্তমানে বিপন্ন প্রাণীর তালিকায় রয়েছে।

উদ্ধারকৃত এই প্রাণীটির স্থানীয় উপস্থিতি প্রমাণ করে, শ্রীমঙ্গল অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য এখনও অনেকাংশে টিকে আছে। বনভূমি ও পাহাড়ি অঞ্চলঘেরা এই এলাকায় এখনও অনেক দুর্লভ প্রাণী বসবাস করছে, যাদের টিকিয়ে রাখতে জনগণের সচেতনতা ও সরকারি সহায়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এর আগে গত ৩১ মার্চ শ্রীমঙ্গলের কালাপুর এলাকার কাজী ফার্মস সংলগ্ন এলাকা থেকে আরও একটি লজ্জাবতী বানর উদ্ধার করে বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করেছিল বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন। একই প্রজাতির দুটি বানর স্বল্প সময়ের ব্যবধানে উদ্ধারের ঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
স্থানীয় পরিবেশকর্মী ও বন বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, এই ধরনের উদ্ধার কাজ শুধু প্রাণী সংরক্ষণেই নয়, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এসব প্রাণী নিঃশব্দে প্রকৃতির চক্রে ভূমিকা রাখে, যাদের টিকিয়ে রাখা জরুরি হয়ে পড়েছে।

বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো প্রাণী সংরক্ষণে আরও সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এলাকায় ক্যাম্পেইন ও স্কুল পর্যায়ে শিক্ষামূলক কার্যক্রম চালানোর উদ্যোগ নিচ্ছে। এমন উদ্যোগের মাধ্যমে আগামী দিনে শ্রীমঙ্গলের মতো অঞ্চলে জীববৈচিত্র্য আরও সমৃদ্ধ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মিঠাপুকুরে সড়ক দূর্ঘটনায় যুবক নিহত

শ্রীমঙ্গলে লজ্জাবতী বানর উদ্ধার

আপডেট সময় ০৩:১৬:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ এপ্রিল ২০২৫

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার কাকিয়াছড়া চা বাগানের মন্দিরের সামনে থেকে বিরল ও বিপন্ন প্রজাতির একটি লজ্জাবতী বানর বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) রাতে উদ্ধার করা হয়েছে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয় কয়েকজন শিশু বানরটিকে দেখতে পেয়ে বিস্মিত হয়ে পড়ে এবং বিষয়টি জানায় চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের এক কর্মচারীকে।

খবর পাওয়ার পরপরই বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক স্বপন দেব সজল পরিবেশকর্মী রাজদীপ দেবকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান এবং বানরটিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেন। উদ্ধারকারী দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রাণীটি সুস্থ এবং নিরীহ ছিল, ফলে কোনো ধরনের আঘাত ছাড়াই উদ্ধার সম্ভব হয়েছে।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের তথ্যমতে, লজ্জাবতী বানর নিশাচর এবং নির্জন পরিবেশে বাস করে। এরা সাধারণত একা কিংবা জোড়ায় চলাফেরা করে এবং গাছের ডালে ধীরগতিতে চলাচল করে বলে এদের লজ্জাবতী নামে ডাকা হয়। লজ্জাবতী বানর নামে পরিচিত এবং এটি বর্তমানে বিপন্ন প্রাণীর তালিকায় রয়েছে।

উদ্ধারকৃত এই প্রাণীটির স্থানীয় উপস্থিতি প্রমাণ করে, শ্রীমঙ্গল অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য এখনও অনেকাংশে টিকে আছে। বনভূমি ও পাহাড়ি অঞ্চলঘেরা এই এলাকায় এখনও অনেক দুর্লভ প্রাণী বসবাস করছে, যাদের টিকিয়ে রাখতে জনগণের সচেতনতা ও সরকারি সহায়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এর আগে গত ৩১ মার্চ শ্রীমঙ্গলের কালাপুর এলাকার কাজী ফার্মস সংলগ্ন এলাকা থেকে আরও একটি লজ্জাবতী বানর উদ্ধার করে বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করেছিল বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন। একই প্রজাতির দুটি বানর স্বল্প সময়ের ব্যবধানে উদ্ধারের ঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
স্থানীয় পরিবেশকর্মী ও বন বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, এই ধরনের উদ্ধার কাজ শুধু প্রাণী সংরক্ষণেই নয়, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এসব প্রাণী নিঃশব্দে প্রকৃতির চক্রে ভূমিকা রাখে, যাদের টিকিয়ে রাখা জরুরি হয়ে পড়েছে।

বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো প্রাণী সংরক্ষণে আরও সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এলাকায় ক্যাম্পেইন ও স্কুল পর্যায়ে শিক্ষামূলক কার্যক্রম চালানোর উদ্যোগ নিচ্ছে। এমন উদ্যোগের মাধ্যমে আগামী দিনে শ্রীমঙ্গলের মতো অঞ্চলে জীববৈচিত্র্য আরও সমৃদ্ধ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।