রমজান মাস ও আসছে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মোটর সাইকেল এর সর্বোচ্চ গতিসীমা থাকবে ২০ কিলোমিটার নির্দেশ প্রদান করেন লংগদু উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সড়কে যত দুর্ঘটনা ঘটছে, এর বেশিরভাগই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। এর জন্য দায়ী করা হচ্ছে যানটির বেপরোয়া গতিকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ‘মোটরসাইকেল চলাচল নীতিমালার’ খসড়া তৈরি করেছে সরকার। এতে শহরের মধ্যে মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় লংগদু উপজেলায় মোটর বাইক সমিতির দায়িত্বশীল ও চালকদের উদ্দেশ্য নির্দেশ প্রদান করেন উপজেলা প্রশাসন। সর্বোচ্চ গতি সীমা ২০ কিলোমিটার রাখার নির্দেশ প্রদান করে বলেন, রমজান মাস ও আসছে ঈদুল ফিতর এ উপলক্ষে গাড়ির গতিরোধ ও সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে।
বৃহস্পতিবার ২০ মার্চ দুপুর ২ ঘটিকায় রাঙামাটি লংগদু উপজেলা নির্বাহী অফিসার কফিল উদ্দিন মাহমুদের সভাপতিত্বে উপজেলার বিভিন্ন বাজার ও যাত্রীদের সুবিধার্থে রাস্তা ঘাট মোটর বাইক গতিসীমা মনিটরিং করা হয়। এ সময় আরোও উপস্থিত ছিলেন লংগদু অফিসার্স ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ।
এ সময় উপজেলার বাইট্টা বাজারে বিভিন্ন পয়েন্ট গুলি পরিদর্শন করা কালে কিছুটা অনিয়ম পাওয়া যায়, দেখা যায় বাজারের ফুটপাত দখল করে দোকান বসানো হয়েছে, বাজারের দায়িত্বশীলদের কাছ থেকে জানা যায় দীর্ঘদিন যাবৎ বাজারের ফুটপাতের রাস্তা দখল করে তারা ব্যবসা করে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কফিল উদ্দিন মাহমুদ বলেন বাজারে পায়ে হাটা রাস্তা বন্ধ করে দোকান করা যাবে না, যাত্রী চলাচল রাস্তা অবৈধভাবে দখল ও অনিয়ম পেলে আমরা যেকোন আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।
উপজেলা অফিসার্স ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, যানবাহন চলাচল কোনো ধরনের যেন বিঘ্নতা না ঘটে সেক্ষেত্রে রাস্তায় ইট বালি, কংক্রিট এসব জিনিস রাস্তা থেকে দুরে রাখতে হবে। একটি দুর্ঘটনা সারাজীবনের কান্না, তাই আমরা যার যার জায়গা থেকে সচেতন হই তবেই দুর্ঘটনা থেকে মুক্তি পাবো।
এছাড়াও বাজার চত্বরে কোনো ধরনের অটো মটর সাইকেল রাখা যাবেনা এতে করে দূর্ঘটনার আশংকা ও যাত্রীদের যাতায়াতের অসুবিধা হতে পারেন পরে বাজারের আরোও অন্যান্য স্থান পরিদর্শন করে বাজারের থাকা দায়িত্বশীলদের নির্দেশনা প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কফিল উদ্দিন মাহমুদ।