অবশেষে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহায়তায় কেশবপুর পৌর শহরের সাহাপাড়া এলাকার খ্রিষ্টান মিশনে থাকা বান্দরবনের থানচি উপজেলার কালুপাড়া এলাকার রেবিকা ত্রিপুরা, স্বস্তিকা ত্রিপুরা ও জেসিন্তা ত্রিপুরাকে উদ্ধার করা হয়েছে। গত ১৪ মার্চ রাজেরঙ ত্রিপুরা নামে নবম শ্রেণির একটি মেয়ের রহস্যজনক মৃত্যু হওয়ায় সেটাকে ধর্ষণসহ হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, কেশবপুর পৌর শহরের সাহাপাড়ার খ্রিস্টান আউট রিসোর্ট সেন্টার ফাউন্ডেশন অফ বাংলাদেশ মিশন থেকে রাজেরঙ ত্রিপুরা (১৫) নামের এক ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীর মৃতদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। রাতে খ্রিস্টান মিশনের ভেতরে ওই শিক্ষার্থীর শয়নকক্ষের জানালার গ্রিলে গলায় ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। মিশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন পারিবারিক কলহে গলায় উড়লা পেচিয়ে সে আত্মহত্যা করেছে। বাকী আরও তিন পাহাড়ী মেয়ে মিশন থেকে নিয়ে যেতে চাইলেও মিশন কর্তৃপক্ষ তাদের পিতা-মাতার হাতে মেয়েদের ফেরত দিচ্ছিল না। এ ঘটনায় কেশবপুরের শত শত ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মঙ্গলবার সকালে বিক্ষোভসহ খ্রিস্টান মিশনের অফিস ঘেরাও করে রাখে। এ সময় সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনার স্থলে উপস্থিত হয়ে ওই তিন পাহাড়ী মেয়েকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
কেশবপুর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, কেশবপুর খ্রিস্টান মিশনে বান্দরবান জেলার থানচি থানার আরো তিনটি মেয়ে পড়ালেখা করে। গত ১৪ মার্চ রাজেরঙ ত্রিপুরা নামের ওই মেয়েটি মারা যাওয়ায় বাকিদের পরিবারের পক্ষ থেকে তাদেরকে ফিরিয়ে নেবার প্রস্তাব দিলে মিশন কর্তৃপক্ষ তাতে রাজি হয় না। এরপর তারা থানায় লিখিত অভিযোগ করলে এবং স্থানীয় লোকের বিক্ষোভের পর মঙ্গলবার সকালে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মিলে সেখানে থাকা তিনটি মেয়েকে উদ্ধার করে তাদের পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এজন্য তাদের থানচি থানায় একটি জিডি করার মাধ্যমে ওই থানা থেকে তাদেরকে মেয়েদের বুঝে নিতে হবে।
এদিকে নিহত রাজেরঙ ত্রিপুরার লাশ ময়নাতদন্ত করে যশোর মর্গের হিমাগারে রাখা রয়েছে। ওসি জানান, সোমবার রাতে নিহত রাজেরঙ ত্রিপুরার পিতা মেয়েকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে কিনা তা তদন্তের জন্য একটি লিলিত অভোযোগ করেছেন। সেটা মামলা হিসেবে নিয়ে তদন্ত করা হবে।
কেশবপুর খ্রিস্টান মিশন থেকে তিন পাহাড়ি মেয়েকে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী
-
নিজস্ব প্রতিবেদক :
- আপডেট সময় ০৮:৪৫:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
- ৫১৪ বার পড়া হয়েছে