ঢাকা ০১:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
নবীনগরে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে গোয়াইনঘাটের জাফলংয়ে তিন সাংবাদিকের উপর হামলা জাবিতে ৯ শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার মুরাদনগরে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে সরকারি খাল-প্রশাসন নিরব বাংলাদেশ বাঁচাতে সাধারণ জনগনকেই জাগ্রত হতে হবে চাঁদপুরে জেলেদের চাল বিতরন নিয়ে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫ চাঁদপুর শাহারাস্তি উপজেলার মণিপুরে যুবককে জবাই করে হত্যা দ্বিতীয় দিনের মতো মাদানী মজলিস বাংলাদেশ-এর ইফতার বিতরণ কবিরহাটে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ঈদ উপহার ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ গাজীপুরে নারী শ্রমিক নিহতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত ১০

কালিয়াকৈর হানি মেলন জাতের তরমুজ পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু

গাজীপুরের কালিয়াকৈর হানি মেলন জাতের তরমুজ বাংলাদেশে পরীক্ষামূলক ভাবে উৎপাদন শুরু করেছেন চীনের একদল তরুণ। । হানি মেলন জাতের তরমুজ উষ্ণ মৌসুমে চাষ করা হয়। এই জাতের তরমুজ চাষের জন্য ৮৫ থেকে ৯০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা সহ আধা শুষ্ক অঞ্চলে চাষ ভালো হয়।
মুনচান জানান, বাংলাদেশে হানি মেলন হোয়াইট জাতের তরমুজ সারা বছর উৎপাদন করার জন্য পরীক্ষামূলক ভাবে আমরা চাষ শুরু করেছি। চায়নার একদল কৃষি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন লোক পরীক্ষামূলক এ জাতের তরমুজের চাষ করছে। গ্রীন হাউস পদ্ধতিতে হানি মেলন জাতের তরমুজ চাষ করা হচ্ছে। তবে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে একটু সমস্যা হচ্ছে।
হানি মেলন হোয়াইট জাতের তরমুজ পরিপক্বতার উপর ভিত্তি করে সংগ্রহ করা হয়। এই জাতের তরমুজ দেড় কেজি থেকে দুই কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। চারা রোপনের ৭০ দিনের মধ্যে এ জাতের তরমুজের ফলন পাওয়া যায়।
কালিয়াকৈরে সোনাতলা এলাকায় সবেজমিনে গিয়ে চায়নাদের তিন একর জায়গার উপর এ প্রকল্প দেখা যায়। হানি মেলন তরমুজের পাশাপাশি তারা বিভিন্ন জাতের সবজি উৎপাদন করছেন। গ্রীন হাউস পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ করার জন্য সকল প্রকার উপাদান তারা চীন থেকে নিয়ে এসেছে বলে জানা যায়।
জানা যায়, ১৯৪০ দশকে চীন সফরে সময় স্হানীয়দের তরমুজের বীজ দান করেছিলেন আমেরিকান কৃষি সচিব হেনরি এ.ওয়ালেস।সেই থেকে চীনে গবেষণা করে নতুন নতুন জাতের তরমুজ তৈরি করা হয়। চীনের উত্তর পশ্চিমে গানসু প্রদেশের রাজধানী লানঝো শহরের কাছে স্হায়ী ভাবে এ তরমুজ বিখ্যাত। এই তরমুজ কে চীনে বাইলান তরমুজ নামেও পরিচিত।
হানি মেলন হোয়াইট জাতের তরমুজের পুষ্টিগুন ও দাম বেশি। এই জাতের তরমুজের মধ্যে শক্তি, কার্বোহাইড্রেট, চিনি, ফাইবার, মোটা, প্রোটিন, খনিজ ভিটামিন সহ বিভিন্ন উপাদান পাওয়া যায়।
চায়নাদের পাশাপাশি বাংলাদেশের রফিকুল ইসলাম, জাহিদ হাসান সহ ৫/ ৬ জন শ্রমিক এখানে কাজ করছেন। তারা চায়না ভাষায় কথা বলতে পারে না। তবে চায়নারা কি কাজ করতে বলে তা বুঝতে পারে। মুনচান নামের একজন মহিলা আছেন তিনি কিছু কিছু বাংলায় কথা বলতে পারেন। হানি মেলন হোয়াইট জাতের তরমুজ উৎপাদনে ৫/৬ মাস ধরে কাজ শুরু করেছেন।
জানুয়ারি /ফেরুয়ারী শীতকালে এ জাতের তরমুজের উৎপাদন ভালো ছিল।
এ জাতের তরমুজ গোলাকার, ডিম্বাকৃতির, মৃসণ, শক্ত খোসা ছাড়াই, পাকানোর সাথে সাথে মসৃণ সাদা বা হলুদ রঙে পরিনত হয়। এ জাতের তরমুজ খেতে খুব সুস্বাদু ও দামও বেশি। বর্তমান তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সমস্যা হবার ফলে কিছু তরমুজ অপ্রাপ্ত বয়সে পড়ে যাচ্ছে। তবে চায়নার এ প্রকল্পের সাথে জড়িতরা বলছেন তারা সকল সমস্যার সমাধান করে এ জাতের তরমুজ বাংলাদেশে সারা বছর যেন উৎপাদন করা যায় সে লক্ষ্যে পরীক্ষামূলক কাজ করে যাচ্ছেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

নবীনগরে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে

কালিয়াকৈর হানি মেলন জাতের তরমুজ পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু

আপডেট সময় ১২:৪৮:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

গাজীপুরের কালিয়াকৈর হানি মেলন জাতের তরমুজ বাংলাদেশে পরীক্ষামূলক ভাবে উৎপাদন শুরু করেছেন চীনের একদল তরুণ। । হানি মেলন জাতের তরমুজ উষ্ণ মৌসুমে চাষ করা হয়। এই জাতের তরমুজ চাষের জন্য ৮৫ থেকে ৯০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা সহ আধা শুষ্ক অঞ্চলে চাষ ভালো হয়।
মুনচান জানান, বাংলাদেশে হানি মেলন হোয়াইট জাতের তরমুজ সারা বছর উৎপাদন করার জন্য পরীক্ষামূলক ভাবে আমরা চাষ শুরু করেছি। চায়নার একদল কৃষি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন লোক পরীক্ষামূলক এ জাতের তরমুজের চাষ করছে। গ্রীন হাউস পদ্ধতিতে হানি মেলন জাতের তরমুজ চাষ করা হচ্ছে। তবে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে একটু সমস্যা হচ্ছে।
হানি মেলন হোয়াইট জাতের তরমুজ পরিপক্বতার উপর ভিত্তি করে সংগ্রহ করা হয়। এই জাতের তরমুজ দেড় কেজি থেকে দুই কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। চারা রোপনের ৭০ দিনের মধ্যে এ জাতের তরমুজের ফলন পাওয়া যায়।
কালিয়াকৈরে সোনাতলা এলাকায় সবেজমিনে গিয়ে চায়নাদের তিন একর জায়গার উপর এ প্রকল্প দেখা যায়। হানি মেলন তরমুজের পাশাপাশি তারা বিভিন্ন জাতের সবজি উৎপাদন করছেন। গ্রীন হাউস পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ করার জন্য সকল প্রকার উপাদান তারা চীন থেকে নিয়ে এসেছে বলে জানা যায়।
জানা যায়, ১৯৪০ দশকে চীন সফরে সময় স্হানীয়দের তরমুজের বীজ দান করেছিলেন আমেরিকান কৃষি সচিব হেনরি এ.ওয়ালেস।সেই থেকে চীনে গবেষণা করে নতুন নতুন জাতের তরমুজ তৈরি করা হয়। চীনের উত্তর পশ্চিমে গানসু প্রদেশের রাজধানী লানঝো শহরের কাছে স্হায়ী ভাবে এ তরমুজ বিখ্যাত। এই তরমুজ কে চীনে বাইলান তরমুজ নামেও পরিচিত।
হানি মেলন হোয়াইট জাতের তরমুজের পুষ্টিগুন ও দাম বেশি। এই জাতের তরমুজের মধ্যে শক্তি, কার্বোহাইড্রেট, চিনি, ফাইবার, মোটা, প্রোটিন, খনিজ ভিটামিন সহ বিভিন্ন উপাদান পাওয়া যায়।
চায়নাদের পাশাপাশি বাংলাদেশের রফিকুল ইসলাম, জাহিদ হাসান সহ ৫/ ৬ জন শ্রমিক এখানে কাজ করছেন। তারা চায়না ভাষায় কথা বলতে পারে না। তবে চায়নারা কি কাজ করতে বলে তা বুঝতে পারে। মুনচান নামের একজন মহিলা আছেন তিনি কিছু কিছু বাংলায় কথা বলতে পারেন। হানি মেলন হোয়াইট জাতের তরমুজ উৎপাদনে ৫/৬ মাস ধরে কাজ শুরু করেছেন।
জানুয়ারি /ফেরুয়ারী শীতকালে এ জাতের তরমুজের উৎপাদন ভালো ছিল।
এ জাতের তরমুজ গোলাকার, ডিম্বাকৃতির, মৃসণ, শক্ত খোসা ছাড়াই, পাকানোর সাথে সাথে মসৃণ সাদা বা হলুদ রঙে পরিনত হয়। এ জাতের তরমুজ খেতে খুব সুস্বাদু ও দামও বেশি। বর্তমান তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সমস্যা হবার ফলে কিছু তরমুজ অপ্রাপ্ত বয়সে পড়ে যাচ্ছে। তবে চায়নার এ প্রকল্পের সাথে জড়িতরা বলছেন তারা সকল সমস্যার সমাধান করে এ জাতের তরমুজ বাংলাদেশে সারা বছর যেন উৎপাদন করা যায় সে লক্ষ্যে পরীক্ষামূলক কাজ করে যাচ্ছেন।