ঢাকা ০৬:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাঞ্ছারামপুরে নির্যাতনের শিকার শিশুর খোঁজ নিলেন তারেক রহমান পাম্প চালক থেকে কোটিপতি নওগাঁয় নিখোঁজের একদিন পর ধান ক্ষেত থেকে লাশ উদ্ধার নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা আ’লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার কক্সবাজার টেকনাফে রোহিঙ্গাদের হাতে স্থানীয় যুবক খুন এনা প্রপার্টিজ, সবুজ ছায়া আবাসন সহ ৩৪ কোম্পানির প্লট-ফ্ল্যাট না কেনার আহ্বান জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের শরীয়তপুর জাজিরা হাসপাতাল এর কার্যনির্বাহী কমিটির শপথ গ্রহন সোনাগাজীতে নিখোঁজ মাদ্রাসা শিক্ষার্থী, ৫ দিনেও মিলেনি খোঁজ পাঁচবিবিতে ছাত্র নেতা শামীমকে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল  বিআইডব্লিউটিএ অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সাইদুরের সম্পদের পাহাড়

সওজের প্রধান প্রকৌশলী মঈনুল হাসানের খুুঁটির জোর কোথায়

সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের অধীনে বাস্তবায়িত উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মাণকাজে সর্বনিম্ন ২৯ হাজার ২৩০ কোটি থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে গত ৯ অক্টোবর এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এছাড়া সওজের উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মাণকাজে সার্বিক দুর্নীতির হার ২৩-৪০ শতাংশ বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। আর এসব দুর্নীতির অভিযোগের মুল হোতা সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান। আর এত বড় অভিযোগ সত্ত্বেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।

অনুসন্ধানে জানা যায়, সৈয়দ মঈনুল হাসান ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাকালীন সময়ে ১৮তম বিসিএসে নিয়োগ পান। পরবর্তীতে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২৫ জানুয়ারি ১৯৯৯ সালে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে যোগদান করেন।
তিনি কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের চলমান সদস্য। আইইবি-২০২২-২৩ এর নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের (সবুর-মঞ্জুর প্যানেল) বিনাভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন কাউন্সিল মেম্বার (আইইবি মেম্বার নং-১৪৫৫০)।
শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে গঠিত সড়ক কমিটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ছাত্রজীবনে বুয়েট ছাত্রলীগ নেতাও ছিলেন সওজের এই প্রধান প্রকৌশলী। স্বযাচিত হয়ে কর্মকর্তাদের বহর নিয়ে বারবার বঙ্গবন্ধু মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ব্যাপক সমালোচনার শিকার হোন।
জানা গেছে, তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্য আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। মঈনুল হাসানের আপন চাচাতো ভাই শামসুল আলম কচি মলিস্নকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি এবং নড়াইল জেলা পরিষদের আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সদস্য।
মঈনুল হাসানের ভাগ্নে সহকারী প্রকৌশলী সৈয়দ মুনতাসির হাফিজ সড়ক ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির আওয়ামী প্যানেলের দুইবারের নির্বাচিত সভাপতি। এর আগেও ছিলেন একই সমিতির পর পর দুইবারের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। অভিযোগ রয়েছে সড়ক নিয়ন্ত্রণের জন্যই মঈনুলের বিশেষ হস্তক্ষেপে মুনতাসিরের উত্থান হয়।
আলোচিত প্রধান প্রকৌশলী মঈনুল ওরফে মঈনের গ্রামের বাড়ী নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মলিস্নকপুর ইউনিয়নের পাঁচুড়িয়া গ্রামে। নড়াইল জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এস. এম. ফেরদৌস রহমান বলেন, সরকারি দলের নেতা হিসেবে তার সব সময়ই নড়াইল জেলায় দাপট ছিল। তিনি অর্থশালী মানুষ, তার বহুবিধ ব্যবসা আছে।

একই ইউনিয়নের (মলিস্নকপুর) বিএনপির সভাপতি মো. খিজির আহমেদ বলেন, তার পুরো পরিবার আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। এখানে আওয়ামী রাজনীতির মূল অর্থদাতাই সড়কের চিফ ইঞ্জিনিয়ার মঈনুল হাসান। তার ভাই টাকার বিনিময়ে জেলা পরিষদ নির্বাচনে জয়ী হয়েছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বাঞ্ছারামপুরে নির্যাতনের শিকার শিশুর খোঁজ নিলেন তারেক রহমান

সওজের প্রধান প্রকৌশলী মঈনুল হাসানের খুুঁটির জোর কোথায়

আপডেট সময় ১২:০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের অধীনে বাস্তবায়িত উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মাণকাজে সর্বনিম্ন ২৯ হাজার ২৩০ কোটি থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে গত ৯ অক্টোবর এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এছাড়া সওজের উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মাণকাজে সার্বিক দুর্নীতির হার ২৩-৪০ শতাংশ বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। আর এসব দুর্নীতির অভিযোগের মুল হোতা সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান। আর এত বড় অভিযোগ সত্ত্বেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।

অনুসন্ধানে জানা যায়, সৈয়দ মঈনুল হাসান ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাকালীন সময়ে ১৮তম বিসিএসে নিয়োগ পান। পরবর্তীতে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২৫ জানুয়ারি ১৯৯৯ সালে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে যোগদান করেন।
তিনি কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের চলমান সদস্য। আইইবি-২০২২-২৩ এর নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের (সবুর-মঞ্জুর প্যানেল) বিনাভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন কাউন্সিল মেম্বার (আইইবি মেম্বার নং-১৪৫৫০)।
শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে গঠিত সড়ক কমিটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ছাত্রজীবনে বুয়েট ছাত্রলীগ নেতাও ছিলেন সওজের এই প্রধান প্রকৌশলী। স্বযাচিত হয়ে কর্মকর্তাদের বহর নিয়ে বারবার বঙ্গবন্ধু মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ব্যাপক সমালোচনার শিকার হোন।
জানা গেছে, তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্য আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। মঈনুল হাসানের আপন চাচাতো ভাই শামসুল আলম কচি মলিস্নকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি এবং নড়াইল জেলা পরিষদের আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সদস্য।
মঈনুল হাসানের ভাগ্নে সহকারী প্রকৌশলী সৈয়দ মুনতাসির হাফিজ সড়ক ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির আওয়ামী প্যানেলের দুইবারের নির্বাচিত সভাপতি। এর আগেও ছিলেন একই সমিতির পর পর দুইবারের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। অভিযোগ রয়েছে সড়ক নিয়ন্ত্রণের জন্যই মঈনুলের বিশেষ হস্তক্ষেপে মুনতাসিরের উত্থান হয়।
আলোচিত প্রধান প্রকৌশলী মঈনুল ওরফে মঈনের গ্রামের বাড়ী নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মলিস্নকপুর ইউনিয়নের পাঁচুড়িয়া গ্রামে। নড়াইল জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এস. এম. ফেরদৌস রহমান বলেন, সরকারি দলের নেতা হিসেবে তার সব সময়ই নড়াইল জেলায় দাপট ছিল। তিনি অর্থশালী মানুষ, তার বহুবিধ ব্যবসা আছে।

একই ইউনিয়নের (মলিস্নকপুর) বিএনপির সভাপতি মো. খিজির আহমেদ বলেন, তার পুরো পরিবার আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। এখানে আওয়ামী রাজনীতির মূল অর্থদাতাই সড়কের চিফ ইঞ্জিনিয়ার মঈনুল হাসান। তার ভাই টাকার বিনিময়ে জেলা পরিষদ নির্বাচনে জয়ী হয়েছে।