দীর্ঘদিন একই অধিদপ্তরে দায়িত্ব থেকে ক্ষমতার দাপটে অঢেল সম্পদের মালিক বনে গেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আশ্রয় কেন্দ্র প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী জালাল আহমেদ। তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট দুর্নীতির অভিযোগে একাধিক গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হলেও ব্যবস্থা নিচ্ছিনা অধিদপ্তর প্রশাসন। গত ১৬ বছরের দুর্নীতির খতিয়ান অনেক লম্বা। বিগত জুলাই অভ্যূর্থানে সরকার পতন হলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে দুর্নীতিবাজদের অপসারণ অব্যহত থাকলেও জালাল আহমেদের এখনও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এ নিয়ে গোটা অধিদপ্তরে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। দুর্নীতিবাজ জালাল আহমেদের বিষয়টি ব্যাপকভাবে চাউর হলে সাখাওয়াত নামে এক ব্যক্তি দুর্নীতি দমন কমিশন ( দুদকে) অভিযোগ দাখিল করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী জালাল আহমেদ অধিদপ্তরে প্রভাব খাটিয়ে অসাধু উপায়ে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। যিনি এই সরকারী প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে কর্মরত অবস্থায় নিয়মবর্হিভূতভাবে অনৈতিক লেনদেনের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। অতিরিক্ত কমিশন কাজ না করেও বিল পাইয়ে দেওয়াসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অসাধু উপায়ে কাজ করিয়ে দেওয়া ও অন্যায় কাজকে ন্যায়ভাবে করানোর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে যা তাহার চাকরির বেতনের সাথে ব্যাপক অসঙ্গতি। এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা চাকরি জীবনের শুরু থেকেই ঘুষ ও দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে ছিলেন। সরকারি অফিসে অনিয়মের অর্জিত টাকায় নামে বেনামে গড়ে তুলেছেন স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির পাহাড়। নিজ এলাকায় খুলনা সিটি কর্পোরেশনে ৫ কাঠার একটি প্লট ক্রয় করেছেন, খিলক্ষেত নামাপাড়া লেক সিটিতে কনকর্ড সুরভী বিল্ডিংয়ে একটি ফ্লাট ক্রয় করেছেন যার নাম্বার ইবি/১, ঢাকার সবচেয়ে বনেদি আবাসিক এলাকা উত্তরায় রূপায়ন সিটিতে একটি ফ্ল্যাট ক্রয় করেন যার বাজার মূল্য ৩ কোটি টাকার উপরে, পূর্বাচলে একটি ৫ কাঠার প্লট রয়েছে যার প্লটনং ১৪ সেক্টর ০৪ রোড নং ৪০৪, শেয়ার মার্কেটে তিন কোটি টাকার উপরে বিনিয়োগ আছে, নিজের ব্যবহারের জন্য রয়েছে বিলাসবহুল প্রাইভেট কার, যা ঢাকা মেট্রো গ ২০-০৭৬৩ নম্বর রেজিষ্ট্রেশনকৃত, এছাড়াও আরো তিন থেকে চারটি গাড়ি আছে।
এসব অনিয়মের বিষয়ে জানতে জালাল আহমেদের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও ফোন কল রিসিভ করেন নি। পরে খুদেবার্তা পাঠানো হলে কোন জবাব দেননি।