গণপূর্ত ই/এম বিভাগ ১০ এ কর্মরত দুর্নীতিবাজ নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হালিম আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন। আওয়ামী লীগ আমলে তিনি হয়ে যান কুষ্টিয়ার হানিফের লোক আর বিএনপির আমলে তিনি হয়ে যান বঞ্চিত অফিসার। এইভাবে বোল পাল্টে চাকরিতে সিদ্ধহস্ত জনাব আব্দুল হালিম । টানা ছয় বছর ধরে কোন না কোন ওয়ার্কিং ডিভিশনে দাপটের সাথে কাজ করে তিনি অর্থবৃত্ত বৈভবের মালিক হয়েছেন । যেকোনো কাজে কাঁচা এস্টিমেট বাবদ টাকা নিতে তিনি ওস্তাদ । তার বিরুদ্ধে একাধিক ঠিকাদার প্রাক্কলন বাবদ অ্যাডভান্স টাকা নেওয়ার অভিযোগ জানিয়েছেন।
মিস্টার ম্যানেজবল পারসন হিসেবে পরিচিত আব্দুল হালিম টাকা দিয়ে মোটামুটি সব অফিসার এবং সকল কে ম্যানেজ করার ওস্তাদ তাইতো বারবার লিফটের দুর্ঘটনা ঘটার পরেও তিনি বহাল তবিয়তে চাকরি করে যাচ্ছেন। মন্ত্রণালয় থেকে পর্যন্ত বলে দেওয়া হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়ার কিন্তু গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী তা মানছেন না। স্বাস্থ্য এবং গণপূর্ত উভয় মন্ত্রণালয়েরই কথাকে তোয়াক্কা করে বল তবিয়তে তিনি চাকরি করে যাচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় গাজীপুর তাজউদ্দিন হাসপাতালের লিফটটি যেই ব্র্যান্ডের তার মেরামত এবং অন্যান্য কাজ নিয়ম অনুযায়ী সেই ব্র্যান্ডকে দেওয়ার কথা থাকলেও অতিরিক্ত টাকার লোভে জনাব আব্দুল হালিম কাজটি দিয়েছেন সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি প্রতিষ্ঠানকে যাদের এই ধরনের কাজের কোন পূর্ব অভিজ্ঞতাই নাই। যার ফলে লিফটে প্রপার মেরামত বা মেইনটেনেন্স হয়নি। ফলশ্রুতিতে সঠিক সময়ে লিফট সঠিক তলায় না আসায় এক ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করে। তৎক্ষণাৎ শুরু হয় জনাব আব্দুল হালিমের ম্যানেজমেন্ট এর প্রক্রিয়া, প্রথমে তিনি মৃতের পরিবারকে ম্যানেজ করেন তারপর তিনি তার ঊর্ধ্বতন ও কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করতে টাকা খরচ করেন। তাই যত সময়ে লিফটের কোন মেরামত না হওয়ায় কিছুদিন পরে ওই লিফটে দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে এবং আরো একজন ব্যক্তি মারা যায়। এ বিষয়ে ডিসি অফিসের তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দেন যে উক্ত বিভাগে নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে আইনানক ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে, এমনকি চাকরি থেকে বরখাস্তের কথাও বলা হয় উক্ত পত্রে । তারপরেও তিনি বহাল তবিয়তের দায়িত্ব পালন করছেন।
নিজেকে বিএনপি বলে পরিচয় দেয়া এই অফিসারের ব্যাবসায়িক পার্টনার আওয়ামী ছাত্রলীগের লোকজন। এই বিষয়ে তার অধীন কর্মকর্তারা ক্ষুব্ধ । নাম না প্রকাশ করা শর্তে তারা জানান যে , ই.এম বিভাগ ১০ এর মোটামুটি সকল কাজের ঠিকাদার জামিমা এন্টারপ্রাইজ এবং জাফর ব্রাদার্স । তাদের নামে ব্যবসা করে মোঃ আবদুল হালিম নিজেই কাজ করেন । এই জিনিস ওপেন সিক্রেট।
এ বিষয়ে জানতে, নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হালিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিনিধিকে তথ্য দিতে অসহযোগিতা করেন এবং মারমুখী ভূমিকায় চালে যান।