ঢাকা ১১:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মৃত্যুর দুই দিন পর জহুর আলীর মরদেহ হস্তান্তর করল বিএসএফ বোরহানউদ্দিনে‘তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত পবিপ্রবির রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য হলেন বিখ্যাত আইটি বিশেষজ্ঞ শরফুদ্দিন দক্ষিণ মুগদা থানা ৭১ নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত নির্বাচিত সরকার ছাড়া কোনো সংস্কারের বৈধতা আমরা দিতে পারব না: ফখরুল জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে যে পদক্ষেপের কথা জানালেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম কুমিল্লায় কিশোর গ্যাংয়ের ৭ সদস্য গ্রেফতার কোনো দল-গোষ্ঠী-ব্যক্তিকে সহযোগিতা করতে মাঠে নামিনি: সিইসি আনিসুল হক আরেক মামলায় গ্রেফতার চান্দিনায় মারুতির পেছনে বাসের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু,অন্তঃসত্ত্বা মা সহ আহত ৩
জুনে দেশটিতে বাংলাদেশি পণ্যের প্রদর্শনী

বাংলাদেশকে সস্তায় গরুর মাংস দিতে চায় ব্রাজিল

বাংলাদেশে সস্তায় গরুর মাংস রপ্তানি করতে চায় ব্রাজিল। এর আগেও এ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও প্রয়োজনীয় সনদ না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি।
বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো দিয়াস ফেরেস এসব কথা বলেন।
এ সময় জানানো হয়, ১৫-১৮ জুন ব্রাজিলের সাও পাওলো শহরে বাংলাদেশি পণ্যের প্রদর্শনী ‘মেড ইন বাংলাদেশ এক্সপো ২০২৫’ অনুষ্ঠিত হবে। ব্রাজিল বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিবিসিসিআই) সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিবিসিসিআই-এর সহসভাপতি মো. সাইফুল আলম এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মহাসচিব মো. জয়নাল আবেদীন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশে গরুর মাংস রপ্তানিতে আগ্রহ দেখিয়ে আসছিল ব্রাজিল। সর্বশেষ এপ্রিলে দেশটি প্রতি কেজি গরুর মাংস সাড়ে চার মার্কিন ডলারে (তখনকার বিনিময় হারে ৪৯৫ টাকা) বাংলাদেশে রপ্তানি করতে প্রস্তাব দিয়েছিল। ওই মাসে ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরা দুইদিনের সফরে ঢাকায় এলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। ব্রাজিল যখন বাংলাদেশে গরুর মাংস রপ্তানির প্রস্তাব দেয়, তখন ঢাকার বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস কমবেশি ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। রাজধানীর বাজারে এখন গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৫০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত জানান, ব্রাজিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় গরু ও পোলট্রি মাংস উৎপাদনকারী দেশ। বিশ্বের অনেক মুসলিমপ্রধান দেশেরই ব্রাজিল থেকে গরুর মাংস আমদানির অনুমতি রয়েছে। বাংলাদেশে এ অনুমতি নেই। রাষ্ট্রদূত জানান, ওই অনুমতি পাওয়ার জন্যই ব্রাজিল চেষ্টা করছিল। সনদ পেতে তিনি কীভাবে দৌড়ঝাঁপ করেছিলেন, তা তুলে ধরেন।
দিয়াস ফেরেস বলেন, আলোচনার জন্য তিনি প্রথমে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তাকে বলা হয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে যেতে। এরপর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে যান ব্রাজিলের প্রতিনিধিরা।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘মন্ত্রীর (তৎকালীন) কাছে যাওয়ার পর মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বাংলায় লেখা কাগজপত্র দেখিয়ে নানা ধরনের নীতিমালার কথা জানান। তবে আমি এত নীতিমালা বুঝিনি। এককথায় যেটা বুঝেছি তা হলো, তারা অনুমতি দেননি। তবে বিষয়টি এখনো প্রক্রিয়াধীন। আশা করছি শেষ পর্যন্ত অনুমতি পাওয়া যাবে।’
তিনি বলেন, শুধু দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য নয়, ব্রাজিল বাংলাদেশে নতুন বিনিয়োগ করতে চায়। কৃষি, ওষুধশিল্প, নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ নানা খাতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ব্রাজিল ও বাংলাদেশ পরস্পরের সঙ্গে কাজ করতে পারে।
ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত জানান, কৃষি বাণিজ্যে তার দেশের অবস্থান অনেকটা পাওয়ার হাউজ বা শক্তিকেন্দ্রের মতো। এক্ষেত্রে ব্রাজিল থেকে অভিজ্ঞতা নিতে পারে বাংলাদেশ। তিনি জানান, ব্রাজিলের মানুষ বছরে মাথাপিছু ১০০ কেজি গরুর মাংস খায়। বাংলাদেশে এ হার অনেক কম। ব্রাজিলে একটি গরুর থেকে দিনে গড়ে ৪৫ কেজি দুধ পাওয়া যায়। বাংলাদেশে পাওয়া যায় সাত-আট কেজির মতো।
পাওলো ফার্নান্দো বলেন, ‘সুতরাং শুধু মাংস রপ্তানি নয়, প্রযুক্তি স্থানান্তরের মাধ্যমেও বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করতে পারে ব্রাজিল। তবে এক্ষেত্রে বেসরকারি খাতকেও এগিয়ে আসতে হবে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, ব্রাজিলে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষার কর্মসূচি রয়েছে। এজন্য ব্রাজিল সরকার প্রচুর পরিমাণে ওষুধ কিনে থাকে। বাংলাদেশের ওষুধ কোম্পানিগুলো এ সুযোগ নিতে পারে। তবে এক্ষেত্রেও সনদ জটিলতা রয়েছে।
বাংলাদেশি পণ্যের বড় প্রদর্শনী : বিবিসিসিআই-এর সহসভাপতি সাইফুল আলম বলেন, আগামী ১৫- ১৮ জুন ব্রাজিলের সাও পাওলোতে প্রথমবারের মতো ‘মেড ইন বাংলাদেশ প্রদর্শনী ২০২৫’ অনুষ্ঠিত হবে। এই প্রদর্শনী দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে সহায়তা করবে। বাংলাদেশি আমদানিকারকদের পাশাপাশি রফতানিকারকদের জন্য নতুন বাজারে প্রবেশ ও তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
সাইফুল আলম বলেন, ব্রাজিলের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য প্রতিযোগিতামূলক নয়, সহায়তামূলক। ব্রাজিল থেকে বাংলাদেশে আমদানি হয় ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য, কিন্তু বাংলাদেশ থেকে ব্রাজিলে রপ্তানি বছরে মাত্র ১০০ কোটি মার্কিন ডলার।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশ থেকে ১০০-১৫০ জন ব্যবসায়ী প্রদর্শনীতে অংশ নেবেন। এর মাধ্যমে বাংলাদেশি আমদানিকারকদের জন্য ব্রাজিলে ব্যবসায়িক সংযোগ গড়ে তোলার পাশাপাশি সয়াবিন, চিনি এবং শিল্পের যন্ত্রপাতির মতো উচ্চমানের পণ্য খোঁজার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মৃত্যুর দুই দিন পর জহুর আলীর মরদেহ হস্তান্তর করল বিএসএফ

জুনে দেশটিতে বাংলাদেশি পণ্যের প্রদর্শনী

বাংলাদেশকে সস্তায় গরুর মাংস দিতে চায় ব্রাজিল

আপডেট সময় ০৮:২৭:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫
বাংলাদেশে সস্তায় গরুর মাংস রপ্তানি করতে চায় ব্রাজিল। এর আগেও এ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও প্রয়োজনীয় সনদ না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি।
বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো দিয়াস ফেরেস এসব কথা বলেন।
এ সময় জানানো হয়, ১৫-১৮ জুন ব্রাজিলের সাও পাওলো শহরে বাংলাদেশি পণ্যের প্রদর্শনী ‘মেড ইন বাংলাদেশ এক্সপো ২০২৫’ অনুষ্ঠিত হবে। ব্রাজিল বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিবিসিসিআই) সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিবিসিসিআই-এর সহসভাপতি মো. সাইফুল আলম এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মহাসচিব মো. জয়নাল আবেদীন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশে গরুর মাংস রপ্তানিতে আগ্রহ দেখিয়ে আসছিল ব্রাজিল। সর্বশেষ এপ্রিলে দেশটি প্রতি কেজি গরুর মাংস সাড়ে চার মার্কিন ডলারে (তখনকার বিনিময় হারে ৪৯৫ টাকা) বাংলাদেশে রপ্তানি করতে প্রস্তাব দিয়েছিল। ওই মাসে ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরা দুইদিনের সফরে ঢাকায় এলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। ব্রাজিল যখন বাংলাদেশে গরুর মাংস রপ্তানির প্রস্তাব দেয়, তখন ঢাকার বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস কমবেশি ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। রাজধানীর বাজারে এখন গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৫০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত জানান, ব্রাজিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় গরু ও পোলট্রি মাংস উৎপাদনকারী দেশ। বিশ্বের অনেক মুসলিমপ্রধান দেশেরই ব্রাজিল থেকে গরুর মাংস আমদানির অনুমতি রয়েছে। বাংলাদেশে এ অনুমতি নেই। রাষ্ট্রদূত জানান, ওই অনুমতি পাওয়ার জন্যই ব্রাজিল চেষ্টা করছিল। সনদ পেতে তিনি কীভাবে দৌড়ঝাঁপ করেছিলেন, তা তুলে ধরেন।
দিয়াস ফেরেস বলেন, আলোচনার জন্য তিনি প্রথমে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তাকে বলা হয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে যেতে। এরপর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে যান ব্রাজিলের প্রতিনিধিরা।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘মন্ত্রীর (তৎকালীন) কাছে যাওয়ার পর মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বাংলায় লেখা কাগজপত্র দেখিয়ে নানা ধরনের নীতিমালার কথা জানান। তবে আমি এত নীতিমালা বুঝিনি। এককথায় যেটা বুঝেছি তা হলো, তারা অনুমতি দেননি। তবে বিষয়টি এখনো প্রক্রিয়াধীন। আশা করছি শেষ পর্যন্ত অনুমতি পাওয়া যাবে।’
তিনি বলেন, শুধু দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য নয়, ব্রাজিল বাংলাদেশে নতুন বিনিয়োগ করতে চায়। কৃষি, ওষুধশিল্প, নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ নানা খাতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ব্রাজিল ও বাংলাদেশ পরস্পরের সঙ্গে কাজ করতে পারে।
ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত জানান, কৃষি বাণিজ্যে তার দেশের অবস্থান অনেকটা পাওয়ার হাউজ বা শক্তিকেন্দ্রের মতো। এক্ষেত্রে ব্রাজিল থেকে অভিজ্ঞতা নিতে পারে বাংলাদেশ। তিনি জানান, ব্রাজিলের মানুষ বছরে মাথাপিছু ১০০ কেজি গরুর মাংস খায়। বাংলাদেশে এ হার অনেক কম। ব্রাজিলে একটি গরুর থেকে দিনে গড়ে ৪৫ কেজি দুধ পাওয়া যায়। বাংলাদেশে পাওয়া যায় সাত-আট কেজির মতো।
পাওলো ফার্নান্দো বলেন, ‘সুতরাং শুধু মাংস রপ্তানি নয়, প্রযুক্তি স্থানান্তরের মাধ্যমেও বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করতে পারে ব্রাজিল। তবে এক্ষেত্রে বেসরকারি খাতকেও এগিয়ে আসতে হবে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, ব্রাজিলে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষার কর্মসূচি রয়েছে। এজন্য ব্রাজিল সরকার প্রচুর পরিমাণে ওষুধ কিনে থাকে। বাংলাদেশের ওষুধ কোম্পানিগুলো এ সুযোগ নিতে পারে। তবে এক্ষেত্রেও সনদ জটিলতা রয়েছে।
বাংলাদেশি পণ্যের বড় প্রদর্শনী : বিবিসিসিআই-এর সহসভাপতি সাইফুল আলম বলেন, আগামী ১৫- ১৮ জুন ব্রাজিলের সাও পাওলোতে প্রথমবারের মতো ‘মেড ইন বাংলাদেশ প্রদর্শনী ২০২৫’ অনুষ্ঠিত হবে। এই প্রদর্শনী দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে সহায়তা করবে। বাংলাদেশি আমদানিকারকদের পাশাপাশি রফতানিকারকদের জন্য নতুন বাজারে প্রবেশ ও তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
সাইফুল আলম বলেন, ব্রাজিলের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য প্রতিযোগিতামূলক নয়, সহায়তামূলক। ব্রাজিল থেকে বাংলাদেশে আমদানি হয় ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য, কিন্তু বাংলাদেশ থেকে ব্রাজিলে রপ্তানি বছরে মাত্র ১০০ কোটি মার্কিন ডলার।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশ থেকে ১০০-১৫০ জন ব্যবসায়ী প্রদর্শনীতে অংশ নেবেন। এর মাধ্যমে বাংলাদেশি আমদানিকারকদের জন্য ব্রাজিলে ব্যবসায়িক সংযোগ গড়ে তোলার পাশাপাশি সয়াবিন, চিনি এবং শিল্পের যন্ত্রপাতির মতো উচ্চমানের পণ্য খোঁজার সুযোগ সৃষ্টি হবে।