ঢাকা ১০:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মৃত্যুর দুই দিন পর জহুর আলীর মরদেহ হস্তান্তর করল বিএসএফ বোরহানউদ্দিনে‘তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত পবিপ্রবির রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য হলেন বিখ্যাত আইটি বিশেষজ্ঞ শরফুদ্দিন দক্ষিণ মুগদা থানা ৭১ নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত নির্বাচিত সরকার ছাড়া কোনো সংস্কারের বৈধতা আমরা দিতে পারব না: ফখরুল জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে যে পদক্ষেপের কথা জানালেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম কুমিল্লায় কিশোর গ্যাংয়ের ৭ সদস্য গ্রেফতার কোনো দল-গোষ্ঠী-ব্যক্তিকে সহযোগিতা করতে মাঠে নামিনি: সিইসি আনিসুল হক আরেক মামলায় গ্রেফতার চান্দিনায় মারুতির পেছনে বাসের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু,অন্তঃসত্ত্বা মা সহ আহত ৩

‘ইতরামির একটা সীমা আছে’, পুলিশকে ঝাড়লেন কামরুল

‘আদালতের লিফট কি নষ্ট? এত ওপরে সিঁড়ি দিয়ে হাঁটানো হচ্ছে কেন, ফাজলামি? ২ তলায় বলে চার তলায় উঠাইতেছেন। ইতরামির একটা সীমা আছে।’

রাজধানীর লালবাগ থানার মো. আলী হত্যা মামলায় গ্রেফতার শুনানিতে আদালতের এজলাসে লিফটে না তুলে সিঁড়ি দিয়ে হাঁটিয়ে নেওয়ায় চটে গিয়ে নিরাপত্তাদানকারী পুলিশ সদস্যদের এভাবেই ঝাড়লেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।

কামরুল ইসলাম, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ পাঁচজনকে হত্যা মামলায় বুধবার সকাল ৯টার আগেই প্রিজন ভ্যানে করে আদালতে আনা হয়।

এরপর তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। কিছুক্ষণ পর বিভিন্ন থানার হত্যা মামলার শুনানির জন্য তাদের এজলাসে তোলা হয়। এ সময় নিরাপত্তা দিতে সারিবেঁধে পুলিশ হাজতখানা থেকে কোর্টের সিঁড়ি পর্যন্ত ব্যারিকেড তৈরি করে। পরে কামরুল, পলক, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ পাঁচজনকে মাথায় হেলমেট, হাতে হাতকড়া আর বুকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরিয়ে সরাসরি আদালতে তোলা হয়। কিন্তু আদালতের সিঁড়ি দিয়ে তোলার সময় বাঁধে বিপত্তি।

আদালতের লিফটে না তুলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ৪ তালায় তোলা হয় তাদের। এ সময় আসামিদের নিরাপত্তাদানকারী পুলিশ সদস্যদের ওপর চটে যান কামরুল ইসলাম। তখন ক্ষোভ প্রকাশ করে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে চিৎকার করে কথা বলেন তিনি। পরে কামরুল ইসলামকে পুলিশ সদস্যরা সিঁড়ি দিয়ে ওপরে ওঠার সময় হাত ধরে সহায়তা করেন।

এ ঘটনায় সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারকীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, লিফটের সামনে অনেক সময় বিচারপ্রার্থী সাধারণ মানুষ, আইনজীবীদের ভিড় থাকে। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে, কোনো রকম ঝামেলা এড়াতে অনেক সময় সিঁড়ি দিয়ে তোলা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী আরও বলেন, আর আদালতে এলেই তিনি পুলিশের সঙ্গে ঝগড়া করেন। কখনো আইনজীবীদের সঙ্গে ঝগড়া বাধান। আবার কখনো উচ্চবাচ্য বক্তব্য দেন। এটা ওনার স্বভাবজাত অভ্যাস।

প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৯ জুলাই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের গুলিতে নিহত হন মো. আলী। এ ঘটনায় লালবাগ থানার একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন তারা।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মৃত্যুর দুই দিন পর জহুর আলীর মরদেহ হস্তান্তর করল বিএসএফ

‘ইতরামির একটা সীমা আছে’, পুলিশকে ঝাড়লেন কামরুল

আপডেট সময় ০৩:৩০:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫

‘আদালতের লিফট কি নষ্ট? এত ওপরে সিঁড়ি দিয়ে হাঁটানো হচ্ছে কেন, ফাজলামি? ২ তলায় বলে চার তলায় উঠাইতেছেন। ইতরামির একটা সীমা আছে।’

রাজধানীর লালবাগ থানার মো. আলী হত্যা মামলায় গ্রেফতার শুনানিতে আদালতের এজলাসে লিফটে না তুলে সিঁড়ি দিয়ে হাঁটিয়ে নেওয়ায় চটে গিয়ে নিরাপত্তাদানকারী পুলিশ সদস্যদের এভাবেই ঝাড়লেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।

কামরুল ইসলাম, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ পাঁচজনকে হত্যা মামলায় বুধবার সকাল ৯টার আগেই প্রিজন ভ্যানে করে আদালতে আনা হয়।

এরপর তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। কিছুক্ষণ পর বিভিন্ন থানার হত্যা মামলার শুনানির জন্য তাদের এজলাসে তোলা হয়। এ সময় নিরাপত্তা দিতে সারিবেঁধে পুলিশ হাজতখানা থেকে কোর্টের সিঁড়ি পর্যন্ত ব্যারিকেড তৈরি করে। পরে কামরুল, পলক, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ পাঁচজনকে মাথায় হেলমেট, হাতে হাতকড়া আর বুকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরিয়ে সরাসরি আদালতে তোলা হয়। কিন্তু আদালতের সিঁড়ি দিয়ে তোলার সময় বাঁধে বিপত্তি।

আদালতের লিফটে না তুলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ৪ তালায় তোলা হয় তাদের। এ সময় আসামিদের নিরাপত্তাদানকারী পুলিশ সদস্যদের ওপর চটে যান কামরুল ইসলাম। তখন ক্ষোভ প্রকাশ করে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে চিৎকার করে কথা বলেন তিনি। পরে কামরুল ইসলামকে পুলিশ সদস্যরা সিঁড়ি দিয়ে ওপরে ওঠার সময় হাত ধরে সহায়তা করেন।

এ ঘটনায় সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারকীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, লিফটের সামনে অনেক সময় বিচারপ্রার্থী সাধারণ মানুষ, আইনজীবীদের ভিড় থাকে। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে, কোনো রকম ঝামেলা এড়াতে অনেক সময় সিঁড়ি দিয়ে তোলা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী আরও বলেন, আর আদালতে এলেই তিনি পুলিশের সঙ্গে ঝগড়া করেন। কখনো আইনজীবীদের সঙ্গে ঝগড়া বাধান। আবার কখনো উচ্চবাচ্য বক্তব্য দেন। এটা ওনার স্বভাবজাত অভ্যাস।

প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৯ জুলাই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের গুলিতে নিহত হন মো. আলী। এ ঘটনায় লালবাগ থানার একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন তারা।