আজ বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় ভোলার বোরহাউদ্দিন উপজেলার উপশহর কুঞ্জেরহাট বাজারে আয়শা সিদ্দিকা রা. বালিকা মাদরাসা উদ্বোধন, আলোচনা সভা ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পবিত্র কোরআন তেলোয়াতের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন কবি ও লেখক ডা. গাজী তাহের লিটন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, মাওলানা মো. ইদ্রিছ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, মাদরাসার পরিচালক মো. মাহাবুবুর রহমান রুবেল। অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন, মাদরাসার মুহতামিম হাফেজ মে. মামুন ও উপস্থিত আলেমবৃন্দ। প্রায় তিন শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের উপস্থিতিতে মাদ্রাসা প্রাঙ্গনকে আনন্দমুথর করে তোলে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালণায় ছিলেন, ইসলামী কন্ঠশিল্পী মো. জিয়াউদ্দিন সোহাগ।
আলোচনা পর্বের সভাপতি গাজী তাহের লিটন তাঁর বক্তব্যে বলেন, মেয়েদের দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলার জন্য মহিলা মাদ্রাসার বিশেষ প্রয়োজন। ব্যাক্তি, সমাজ, দেশকে উন্নয়ন করতে হলে শিক্ষার পরিবেশ তৈরী করতে হবে। শিক্ষাই পারে সমাজ ও ব্যাক্তিকে অন্ধকার থেকে আলোর মুখ দেখাতে। আর সেই শিক্ষা হতে হবে আল্লাহর উদ্দ্যেশে নবীর আদর্শগত শিক্ষা। যার মধ্যে মানবতার মুক্তির সকল নিয়ম-কানুন রয়েছে। নারী জাতির মেধা, মননশীলতা, বিবেক ও বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষের ক্ষেত্রে রাসুলুল্লাহ (সা.) অত্যন্ত গুরুত্ব প্রদানের সঙ্গে সঙ্গে নারীশিক্ষায় ব্যাপক পৃষ্ঠপোষকতাও দিয়েছেন। কেননা, তিনি মনে করতেন, নারীকে শিক্ষাবঞ্চিত রেখে যেমন আর্থসামাজিক উন্নয়ন সম্ভব নয়, তেমনি শিক্ষিত জাতি গঠনে এবং পারিবারিক শিক্ষার ভিত্তি মজবুত করার জন্য মেয়েদের শিক্ষা কার্যক্রমে আত্মনিয়োগ করা অনস্বীকার্য। যেমনভাবে উম্মুল মুমিনিন, নবী করিম (সা.) স্বয়ং নারীদের বিদ্যাশিক্ষা গ্রহণের প্রতি বিশেষভাবে সতর্ক দৃষ্টি রাখতেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে নারীদের উদ্দেশে শিক্ষামূলক ভাষণ দিয়ে উদাত্তকণ্ঠে আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য জ্ঞানার্জন করা ফরজ।’
বক্তাগণ বলেন, আয়েশা সিদ্দিকা রা. বালিকা মাদ্রাসাটি এ অঞ্চলে নারী শিক্ষার জাগরণে যথেষ্ট ভূমিকা রাখবে। তাঁদের পরামর্শ এলাকার মেয়েদেরকে কুরআনে হাফেজা হিসেবে গড়ে তুলতে স্থানীয় মুসলিম পরিবারকে আরোএগিয়ে আসতে হবে।
দোয়া মোনাজাতের মধ্যদিয়ে আয়শা সিদ্দিকা রা. বালিকা মাদরাসা উদ্বোধন, আলোচনা সভা ও অভিভাবক সমাবেশের সমাপ্তি টানা হয়।