সম্প্রতি সাব-মার্সিবল পাম্প ও গভীর-অগভীর নলকূপ ব্যবহারকারী সকল পৌর নাগরিকের কাছ থেকে অনুমোদন ফি’র নামে ১২ হাজার ৭ শ ২০ টাকা আদায়ের লক্ষে পাবনা পৌরসভা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বিভিন্ন তৎপরতা চালাচ্ছিলো।
যারা নিজ বাড়িতে বা প্রতিষ্ঠানে সাব-মার্সিবল স্থাপন করেছেন বা নতুন করে পাম্প স্থাপন করবেন তাদের সকলকে এই অযৌক্তিক কর পরিশোধ করার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছে।
২০০৯ সালে পতিত আওয়ামী লীগ সরকার পৌরসভা আইনে পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন বিধিমালা প্রণয়ন করলেও এ ক্ষেত্রে কোন গেজেট প্রকাশ করেনি এবং কর নির্ধারনেও চূড়ান্ত কোন লক্ষমাত্রা নির্ধারিত হয়নি।
এটা মিথ্যা আইন প্রমান করে পাবনার সাংবাদিকরা একাধিক সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করলেও পৌর প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শরিফ আহমেদ’র এতে কোনো ভ্রক্ষেপ ছিলোনা।
নাগরিকত্ব, প্রত্যায়ন, ওয়ারিশন ও মৃত্যু সনদসহ যাবতীয় সেবা নিতে গেলে কৌশলে অনাকাঙ্খিত সাব-মার্সিবলের অনুমোদন ফি নিচ্ছিল। অন্যথায় সেই সকল সেবা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছিলো।
এই অন্যায় ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে পাবনা জেলা রিক্সা-ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন, পাবনা জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়ন, জেলা ট্রাক ও কাভার্ডভ্যন শ্রমিক ইউনিয়ন, বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়ন ও নাগরিক কমিটির যৌথ উদ্যোগে এক বিক্ষোভ সমাবেশ, মিছিল ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
আজ ১৮ ডিসেম্বর বুধবার সকাল ১১ টায় নতুন ব্রীজ সংলগ্ন ঘোড়াষ্ট্যান্ডে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল
শুরু হয়ে হামিদ রোড দিয়ে পৌরসভার মুল ফটকে এশে আবারো বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়।
তারপর জেল প্রশাসকের কার্যালয়ে পৌর প্রশাসক শরিফ আহমেদ’র কক্ষে শরিফের সাথে নেতাবর্গদের আলোচনা হয়।
আলোচনায় শরিফ বলেন এখন থেকে নাগরিকরা পাবনা পৌরসভায় সেবা নিতে গেলে সাবমার্সিবলের কোনও ফি দিতে হবেনা।
এসময় নেতৃবৃন্দ শরিফকে শহরে গনসৌচাগার নাই, ইজিবাইক স্ট্যান্ড স্থাপন, ইজিবাইক শহরে ঢুকে যানজট সৃষ্টি, শহীদ চত্বর থেকে বুলবুল কলেজ পর্যন্ত ওয়ান ওয়ে রোড ঘোষণা, মোটরসাইকেল পার্কিং ব্যবস্থা, ময়লার ভাগার, রেল স্টেশনে মাদকের বারাবাড়ি ও ছিনতাই, মার্কেটের দোকানদারেরা তাদের দোকানের সামনে ফুটপাত দখল করে অন্য দোকানদারদের ভাড়া দেওয়া, বড় বড় বিল্ডিংয়ের পৌরসভার জায়গা দখলসহ শহরকে জটমুক্ত, পরিষ্কার ও সন্ত্রাস মুক্ত করার নানান দিক তুলে ধরে আলোচনা করেন।
শরিফ নিজ ডায়রিতে সকল পরামর্শ লিখে নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে তাদেরকে সাথে নিয়ে জেলা প্রশাসক’র সাথে বসে একটি মিটিং করে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহনের প্রতিশ্রুতি দেন।
এই সকল কর্মসূচিতে জেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক নুর মোঃ মাসুম বগা’র মধ্যস্ততায় সক্রিয় অংশ নিয়ে বিক্ষোভ, বক্তব্য ও আলোচনা করেন পাবনা জেলা রিক্সা-ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের আহ্বায়ক পাভেল হাসান জাহাঙ্গীর, জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের আহ্বায়ক ফিরোজ খান, জেলা ট্রাক ও কাভার্ডভ্যন শ্রমিক ইউনিয়নের সিনিয়র যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম ইসহাক, বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শামিম ইসলাম, জেলা ট্রাক ও কাভার্ডভ্যন শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মাহমূদ, চাটমোহর ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুরের বিএনপি নেতা আলহাজ্ব হাসানুল ইসলাম রাজা, সাধারণ পাবনাবাসীসহ রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক বিভিন্ন সংগঠন।