পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ২৫ বছর সৌদি আরবে থাকা ওয়াদুদ ওরফে কাওসার নামের এক প্রবাসীর বিরুদ্ধে একাধিক নারীকে বিয়ে করে টাকা আত্মসাতের মাধ্যমে প্রতারনা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত সৌদি প্রবাসী ওয়াদুদ ওরফে কাওসার পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া পৌর শহরের নিউমার্কেট এলাকার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের মৃত আব্দুল হাই নামের এক ব্যবসায়ীর ছেলে। তার এই প্রবাস জীবনের মধ্যে রয়েছে নানান জানা অজানা গল্প যা অনেকের কাছে রয়েছে অজানা। ওয়াদুদ ওরফে কাওসার ২৫ বছর আগে মঠবাড়িয়া প্রথম বিবাহ করে সৌদি আরব চলে যান।
তাদের দাম্পত্য জীবনে রয়েছে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে। প্রবাসে গিয়ে আয়ের উৎস যখন তার বৃদ্বি পায় এরপর থেকে শুরু হয় তার জীবনে অনেক রঙ্গ লিলা। এমনকি জড়িয়ে পরেন বিভিন্ন নেশায়। অগণিত নারীর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে ও ক্ষ্যান্ত হননি ওয়াদুদ ওরফে কাওসার। তার প্রবাস জীবনে রয়েছে একাধিক বিয়ে এমনকি সৌদি আরব থেকে দুবাই গিয়ে ও রঙ্গ লিলায় মেতে উঠেন ওয়াদুদ ওরফে কাওসার। একাধিক প্রবাসী নারীকে বিয়ে করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে শেষে বিবাহ অস্বীকার করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
পরকিয়ার ফাঁকে ফাঁকে দুবাই গিয়ে যশোরের সাথী নামের এক দুবাই প্রবাসী মেয়েকে দ্বিতীয় বিবাহ করেন। দীর্ঘদিন তাকে ব্যবহারের পরে আবার গত এক বছর আগে তৃতীয় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন চাঁদপুরের সেকান্দর মোল্লার মেয়ে দুবাই প্রবাসী সুমি নামের এক নারীর সাথে। এখন তাকেও অস্বীকার করে আবার সৌদি আরবে চতুর্থ বিয়ে করেন সুইটি নামের অন্য এক নারীকে। কিন্তু তৃতীয় স্ত্রী সুমিকে অস্বীকার করলেও প্রমান রয়ে গেছে তার ফ্যামিলি ভিসার।
তৃতীয় স্ত্রী সুমিকে ফ্যামিলি ভিসা করে সৌদি আরব নিতে চেয়েছিলেন ওয়াদুদ ওরফে কাওসার। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে সব কিছু অস্বীকার করেন প্রতারক ওয়াদুদ। এমন অভিযোগ এনে ইতিমধ্যে সংবাদ কর্মীদের কাছে একটি ভিডিও বার্তা দিলেন দুবাই প্রবাসী ভুক্তভোগী সুমি। বিষয়টি সম্পর্কে জানার জন্যে অভিযুক্ত ওয়াদুদ ওরফে কাওসারের সাথে ওয়ার্চাপ নাম্বারের মাধ্যমেে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সুমি নামের নারী হলো এক পরিচয়হীন সন্তান এবং তার কোন বংশের পরিচয় নেই। তার সাথে দুবাই একটি পার্কে আমার দেখা, তার সাথে আমার কোন ধরনের সম্পর্ক নেই।
সে আমার নামে যে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে বিষয়টি নিয়ে আমি দেশে ফিরে সুমির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।