গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিত্রি নির্বাচন। এতে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হন নিপুণ ও জায়েদ খান। নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলে জয়লাভ করেন জায়েদ। এরপর পুনর্গণনাতেও তিনি জয় পান। পরবর্তীতে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তোলেন নিপুণ।
বিষয়টি সমাধানের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ দেওয়া হয় নির্বাচনের আপিল বোর্ডকে। তারা তদন্ত শেষে জায়েদ খানের প্রার্থীতা বাতিল করে এবং নিপুণকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী ঘোষণা করে। এরপর জায়েদ খান আদালতের রিট করেন। সেই রিটের বিপরীতে আবার নিপুণ আপিল করেন।
সোমবার (২১ নভেম্বর) চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বৈধ বলা হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে নিপুণের লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) গ্রহণ করে তাকে আপিলের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
এর ফলে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ‘আপাতত নিপুণের দায়িত্ব পালনে বাধা নেই’ বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
বিষয়টিকে সামনে রেখে আজ (২১ নভেম্বর) বিকেলে বিএফডিসিতে এক সম্মেলন আয়োজন করেন নিপুণ। সেখানে তিনি বলেন, ‘নয় মাস ধরে আপিল বোর্ডের সবাই আমার সঙ্গে একটা যুদ্ধ করে গেছেন। উচ্চ আদালত একটা সঠিক রায় দিয়েছেন। আমি মহামান্য উচ্চ আদালতের কাছে অনেক অনেক কৃতজ্ঞ। আদালত সঠিক রায় দিয়েছেন।’
এই নায়িকা বলেন, ‘নয় মাস ধরে এটা নিয়ে অনেক কিছু হচ্ছিল। কখনো আমি থাকব বা কখেনো আমার অপজিশন যিনি তিনি থাকবেন। তবে আমার একটা বিশ্বাস ছিল। আমি এবং কাঞ্চন ভাই সততার সঙ্গে নির্বাচন করেছি। নির্বাচনের সব নিয়ম যথাযথভাবে পালন করেছি। নিয়মনীতির বাইরে একদমই যাইনি। সেজন্য আমরা খাবার পাইনি, পানিও পাইনি। একটা ওয়াশ রুম ব্যবহার করতে পারিনি। সব মেনে নিয়েছি। তবে আমার বিশ্বাস ছিল সত্যের জয় হবে। আপনারা সবাই পাশে ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। আপনাদের কারণেই এই দুর্নীতিগুলো সবার সামনে উঠে এসেছে।’
এই নায়িকা আরও যোগ করেন, “আমরা একটা গান বানিয়ে ছিলাম, ‘টাকা দিয়ে ভোট কেনার দিন শেষ’- সে গানটা নিয়েও আপত্তি ছিল। সেই গানটাই আজ সত্যি হলো। টাকা নিয়ে ভোট কেনা হচ্ছিল আমি সেটাই প্রমাণ করেছি।”