ঢাকা ০৭:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বরগুনা-৩ আসন পুনর্বহালের দাবি ইভিএমে নয়, জাতীয় নির্বাচন হবে ব্যালটে : সিইসি মঠবাড়িয়ায় প্রবাসী ওয়াদুদের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারি সহ প্রতারনার অভিযোগ লাকসামে মিনি ম্যারাথন(৫কিঃমিঃ) দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত। দক্ষিনখানে মসজিদের নামে থাকা সড়কের নাম বদলে দিলেন যুবদল নেতা মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মৎসজীবী দলের র‌্যালী জাতির পিতা, ৭ মার্চসহ কয়েকটি বিষয় সংসদের জন্য রেখে দিয়েছেন আদালত বিজয় দিবস উপলক্ষে পটুয়াখালীতে বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। নাটোরে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে ১ ভুয়া সাংবাদিক গ্রেপ্তার অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন মির্জা আব্বাস

শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে দুই রোহিঙ্গা আটক

শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে জাল সনদ ও ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র করতে এসে এক দালালসহ দুই রোহিঙ্গা আটক হয়েছে। ভাষা ও কাগজপত্রে গড়মিল সন্দেহে নির্বাচন কর্মকর্তা তাদেরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিকেল ৪ টায় শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাচন অফিসে এ ঘটনা ঘটে।

আটককৃতরা হলেন, কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বালুখালি এলাসার ১১ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আবুল ফকির আহমেদের ছেলে মো. ইয়াসিন(২১), বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তবর্তী নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া গ্রামের মৃত সোনা আলীর ছেলে মো. হোসেন (২৮) ও গোসাইরহাট উপজেলার কোদালপুর ইউনিয়নের মধ্য দেওয়ানপাড়া গ্রামের মৃত কালিম উদ্দিনের ছেলে মো. আহসান উল্লাহ (৫৮)।

গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, জাতীয় পরিচয় পত্র করার জন্য ইয়াসিন, মো. হোসেন ও তাদের পিতা পরিচয়ে মো. আহসান উল্লাহ ইউনিয়ন পরিষদের নাগরিক সনদ, বিদুৎ বিল, বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্রসহ প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র নিয়ে সোমবার বিকেল ৪ টার দিকে নির্বাচন অফিসে আসে। এসময় নির্বাচন অফিসের কর্মচারীদের ইয়াসিন ও মো. হোসেনের ভাষা নিয়ে সন্দেহ হলে বিষয়টি কর্মকর্তাকে জানালে কর্মকর্তা কাগজপত্র যাচাই করেন। এরপর কাগজপত্রের সত্যতা প্রমাণ না হওয়ায় নির্বাচন কর্মকর্তা তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

এরপর তারা জানায়, ইয়াসিন ২০১৮ সালে মিয়ানমার থেকে ভারত হয়ে বাংলাদেশ আসেন। অন্যদিকে ৪ দিন আগে মো. হোসেন বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তবর্তী নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া গ্রাম থেকে কক্সবাজার আসেন। সোমবার সকালে তারা দুজন দালালের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র করার জন্য গোসাইরহাট উপজেলার কোদালপুর গ্রামের মো. আহসান উল্লাহর বাড়িতে আসেন। তারপর বিকেলে মো. আহসান উল্লাহকে পিতা সাজিয়ে রোহিঙ্গা যুবক মো. ইয়াসিন ও মো. হোসেন গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাচন অফিসে আসলে নির্বাচন অফিসের সংশ্লিষ্টরা সন্দেহজনক ভাবে তাদের তিন জনকেই পুলিশে সোপর্দ করে।

গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. আবু দাউদ বলেন, জাতীয় পরিচয় পত্র করার জন্য কোদালপুরের মো. আহসান উল্লাহকে বাবা সাজিয়ে সকল কাগজপত্রসহ আবেদন করে নির্বাচন অফিসে আসলে আমাদের সন্দেহ হলে আমরা তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করেছি।

এবিষয়ে গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. মাকসুদ আলম আমাদের মাতৃভূমিকে বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। এ ঘটনায় প্রতারণা মামলা দায়ের হয়েছে। আটককৃতদের প্রতারণা মামলায় গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বরগুনা-৩ আসন পুনর্বহালের দাবি

শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে দুই রোহিঙ্গা আটক

আপডেট সময় ০৪:১৬:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে জাল সনদ ও ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র করতে এসে এক দালালসহ দুই রোহিঙ্গা আটক হয়েছে। ভাষা ও কাগজপত্রে গড়মিল সন্দেহে নির্বাচন কর্মকর্তা তাদেরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিকেল ৪ টায় শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাচন অফিসে এ ঘটনা ঘটে।

আটককৃতরা হলেন, কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বালুখালি এলাসার ১১ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আবুল ফকির আহমেদের ছেলে মো. ইয়াসিন(২১), বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তবর্তী নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া গ্রামের মৃত সোনা আলীর ছেলে মো. হোসেন (২৮) ও গোসাইরহাট উপজেলার কোদালপুর ইউনিয়নের মধ্য দেওয়ানপাড়া গ্রামের মৃত কালিম উদ্দিনের ছেলে মো. আহসান উল্লাহ (৫৮)।

গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, জাতীয় পরিচয় পত্র করার জন্য ইয়াসিন, মো. হোসেন ও তাদের পিতা পরিচয়ে মো. আহসান উল্লাহ ইউনিয়ন পরিষদের নাগরিক সনদ, বিদুৎ বিল, বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্রসহ প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র নিয়ে সোমবার বিকেল ৪ টার দিকে নির্বাচন অফিসে আসে। এসময় নির্বাচন অফিসের কর্মচারীদের ইয়াসিন ও মো. হোসেনের ভাষা নিয়ে সন্দেহ হলে বিষয়টি কর্মকর্তাকে জানালে কর্মকর্তা কাগজপত্র যাচাই করেন। এরপর কাগজপত্রের সত্যতা প্রমাণ না হওয়ায় নির্বাচন কর্মকর্তা তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

এরপর তারা জানায়, ইয়াসিন ২০১৮ সালে মিয়ানমার থেকে ভারত হয়ে বাংলাদেশ আসেন। অন্যদিকে ৪ দিন আগে মো. হোসেন বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তবর্তী নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া গ্রাম থেকে কক্সবাজার আসেন। সোমবার সকালে তারা দুজন দালালের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র করার জন্য গোসাইরহাট উপজেলার কোদালপুর গ্রামের মো. আহসান উল্লাহর বাড়িতে আসেন। তারপর বিকেলে মো. আহসান উল্লাহকে পিতা সাজিয়ে রোহিঙ্গা যুবক মো. ইয়াসিন ও মো. হোসেন গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাচন অফিসে আসলে নির্বাচন অফিসের সংশ্লিষ্টরা সন্দেহজনক ভাবে তাদের তিন জনকেই পুলিশে সোপর্দ করে।

গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. আবু দাউদ বলেন, জাতীয় পরিচয় পত্র করার জন্য কোদালপুরের মো. আহসান উল্লাহকে বাবা সাজিয়ে সকল কাগজপত্রসহ আবেদন করে নির্বাচন অফিসে আসলে আমাদের সন্দেহ হলে আমরা তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করেছি।

এবিষয়ে গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. মাকসুদ আলম আমাদের মাতৃভূমিকে বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। এ ঘটনায় প্রতারণা মামলা দায়ের হয়েছে। আটককৃতদের প্রতারণা মামলায় গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।