ঢাকা ০৩:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জেলা প্রশাসককে গাছের চারা উপহার দিলেন ইউএনও টঙ্গীতে সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরনের ফাঁসীর দাবিতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল। মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণের নামে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ মমিন মুজিবুল হকের বিরুদ্ধে লেক ভিউ আবাসিক হোটেলের নামে চলছে নারী জুয়া ও মাদক ব্যবসা যাত্রাবাড়িতে দেহব্যবসার মহারানী রেখার রঙিন জগৎ ২১ নভেম্বর বাংলাদেশ কেবল শিল্প কর্মচারী ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক সাধারণ নির্বাচন উত্তরায় চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করছেন ইমরান খান নন্দনপুর সরকারি রাস্তা কেটে ইট পোড়াচ্ছেন আজাদ ব্রিকসের মালিক ইসহাক সরদার জামাই-শশুর মিইল্লা পদ্মা অয়েল খাইল গিল্লা! বখতিয়ারের কোটি টাকার রহস্য কী? অনিয়ম-দুর্নীতিতে বেহাল অবস্থা সামসুল হক স্কুল অ্যান্ড কলেজ

‘আয়নাঘরের মূলহোতা আমি, এসব কিভাবে বানান’

সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান বলেছেন, ‘আয়নাঘরের মূলহোতা আমি? এসব কিভাবে বানান। আমি আয়নাঘরের মূলহোতা নই। এসব আমার নামে বানানো মিথ্যা অভিযোগ।’

বুধবার আদালতে তিনি এসব কথা বলেন।

আজ নিউমার্কেট থানায় দায়ের করা একটি গুম ও অপহরণের মামলায় সাবেক এই সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।আদালতে তোলা হলে জিয়াউল আহসানের ব্যাপারে বিচারক সাইফুর রহমান জিজ্ঞাসা করেন, উনি কি অব্যাহতিপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা? তখন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, না অব্যাহতিপ্রাপ্ত নন, মূলত অবসরপ্রাপ্ত।

এরপর বিচারক মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে বলেন, ওনার নামের পাশে অব্যাহতিপ্রাপ্ত লেখা আছে, এটা ঠিক করে দেবেন।

তখন বিএনপিপন্থি আইনজীবী বলেন, উনি মূলত অব্যাহতিপ্রাপ্ত। আয়নাঘরের মূলহোতা তিনি। বিগত সরকারের গুম-খুনের কারিগর।

বিএনপিপন্থি আইনজীবীর এমন বক্তব্যের প্রতিবাদে আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, আয়নাঘরের হোতা বললেই হলো? এসব কই পান। তখন বিচারক বলেন, এখন তো শুনানির সময় না। আপনারা চুপ করেন।

এরপর নিউমার্কেট থানার মামলায় জিয়াউল আহসানকে গ্রেফতার দেখিয়ে বিচারক এজলাস ত্যাগ করেন।পরে বিএনপিপন্থি ওই আইনজীবীকে উদ্দেশ করে জিয়াউল আহসান বলেন, আয়নাঘরের মূলহোতা আমি? এসব কিভাবে বানান। আমি আয়নাঘরের মূলহোতা নই। এসব আমার নামে বানানো মিথ্যা অভিযোগ।পরে তাকে হেলমেট পরিয়ে হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

১৯৯১ সালে জিয়াউল আহসান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। তিনি সেনাবাহিনীর একজন প্রশিক্ষিত কমান্ডো ও প্যারাট্রুপার। পরে ২০০৯ সালের ৫ মার্চ র‍্যাব-২’র উপ-অধিনায়ক এবং একই বছর লে. কর্নেল পদে পদোন্নতি পেয়ে র‍্যাব সদর দফতরের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পান।

পরবর্তীতে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদে পদোন্নতি পেয়ে ২০১৬ সালের এপ্রিলে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা পরিদপ্তরের (এনএসআই) পরিচালক হন। পরের বছরের মার্চে তাকে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) পরিচালক করে সরকার।

তবে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরদিন আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এনটিএমসি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

এরপর ১৬ আগস্ট রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে জিয়াউল আহসানকে গ্রেফতার করার কথা জানায় পুলিশ। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় দোকান কর্মচারী শাহজাহান আলীকে (২৪) হত্যার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

জেলা প্রশাসককে গাছের চারা উপহার দিলেন ইউএনও

‘আয়নাঘরের মূলহোতা আমি, এসব কিভাবে বানান’

আপডেট সময় ০৫:৩৩:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান বলেছেন, ‘আয়নাঘরের মূলহোতা আমি? এসব কিভাবে বানান। আমি আয়নাঘরের মূলহোতা নই। এসব আমার নামে বানানো মিথ্যা অভিযোগ।’

বুধবার আদালতে তিনি এসব কথা বলেন।

আজ নিউমার্কেট থানায় দায়ের করা একটি গুম ও অপহরণের মামলায় সাবেক এই সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।আদালতে তোলা হলে জিয়াউল আহসানের ব্যাপারে বিচারক সাইফুর রহমান জিজ্ঞাসা করেন, উনি কি অব্যাহতিপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা? তখন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, না অব্যাহতিপ্রাপ্ত নন, মূলত অবসরপ্রাপ্ত।

এরপর বিচারক মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে বলেন, ওনার নামের পাশে অব্যাহতিপ্রাপ্ত লেখা আছে, এটা ঠিক করে দেবেন।

তখন বিএনপিপন্থি আইনজীবী বলেন, উনি মূলত অব্যাহতিপ্রাপ্ত। আয়নাঘরের মূলহোতা তিনি। বিগত সরকারের গুম-খুনের কারিগর।

বিএনপিপন্থি আইনজীবীর এমন বক্তব্যের প্রতিবাদে আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, আয়নাঘরের হোতা বললেই হলো? এসব কই পান। তখন বিচারক বলেন, এখন তো শুনানির সময় না। আপনারা চুপ করেন।

এরপর নিউমার্কেট থানার মামলায় জিয়াউল আহসানকে গ্রেফতার দেখিয়ে বিচারক এজলাস ত্যাগ করেন।পরে বিএনপিপন্থি ওই আইনজীবীকে উদ্দেশ করে জিয়াউল আহসান বলেন, আয়নাঘরের মূলহোতা আমি? এসব কিভাবে বানান। আমি আয়নাঘরের মূলহোতা নই। এসব আমার নামে বানানো মিথ্যা অভিযোগ।পরে তাকে হেলমেট পরিয়ে হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

১৯৯১ সালে জিয়াউল আহসান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। তিনি সেনাবাহিনীর একজন প্রশিক্ষিত কমান্ডো ও প্যারাট্রুপার। পরে ২০০৯ সালের ৫ মার্চ র‍্যাব-২’র উপ-অধিনায়ক এবং একই বছর লে. কর্নেল পদে পদোন্নতি পেয়ে র‍্যাব সদর দফতরের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পান।

পরবর্তীতে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদে পদোন্নতি পেয়ে ২০১৬ সালের এপ্রিলে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা পরিদপ্তরের (এনএসআই) পরিচালক হন। পরের বছরের মার্চে তাকে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) পরিচালক করে সরকার।

তবে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরদিন আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এনটিএমসি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

এরপর ১৬ আগস্ট রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে জিয়াউল আহসানকে গ্রেফতার করার কথা জানায় পুলিশ। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় দোকান কর্মচারী শাহজাহান আলীকে (২৪) হত্যার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।