ঢাকা ০৮:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইনজেকশনে ৩০ রোগী অসুস্থ, তদন্তের নির্দেশ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের

‘সরকারি হাসপাতালে ইনজেকশনের পর অসুস্থ ৩০ রোগী’ শিরোনামে গত ১৫ অক্টোবর, গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে জাতীয় কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ মনে করেন, চিকিৎসা সেবাপ্রার্থীদের মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। রোগীর সেবায় ব্যবহৃত ওই ইনজেকশনসমূহে কোনো ত্রুটি বা মেয়াদ উর্ত্তীণ ছিল কি না কিংবা প্রয়োগের ক্ষেত্রে যথাযথ পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে কি-না তা খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছে। স্বাস্থ্যখাতে এ ধরনের ঘটনায় সচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের দাবি জানান। বুধবার (১৬ অক্টোবর) ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ স্বাস্থ্যখাতে এ ধরনের ঘটনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের দাবি জানান।

এ ঘটনায় কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগ (সুয়োমটো) গ্রহণ করেছে। সুয়োমটোতে উল্লেখ রয়েছে, শেরপুর সদর হাসপাতালে বিভিন্ন রোগের সমস্যা নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীদের ইনজেকশন দেওয়ার পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কমপক্ষে ৩০ রোগী অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী ও রোগীর স্বজনরা জানান। গত ১৩ অক্টোবর রবিবার রাত ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, কী কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটল, তা এখনো শনাক্ত করা যায়নি। ১৪ অক্টোবর সোমবার শেরপুর সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, কমপক্ষে ১২ রোগীকে শ্বাসকষ্টের কারণে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। ইনজেকশন নেওয়া অন্য রোগীদের খিঁচুনি, পেটব্যথা, মাথাব্যথা, বমিসহ বেশ কিছু উপসর্গ ছিল।

হাসপাতালে কর্তব্যরত কয়েকজন নার্স জানান অ্যান্টিবায়োটিক গ্রুপের সেফটিয়াক্সজম ও প্যান্টিট নামে দুটি ইনজেকশন দেওয়ার পর থেকেই রোগীরা অস্থিরতা, পেটব্যথা, খিঁচুনি ও শ্বাসকষ্টে ভুগতে থাকে। পরে কর্তব্যরত ডাক্তাররা এসে রোগীদের চিকিৎসা দিতে শুরু করেন। কমপক্ষে তিনজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অসুস্থদের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ ঝুঁকি নির্ণয়সহ সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার যথাযথ কারণ উল্লেখপূর্বক কমিশনে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য শেরপুরের সিভিল সার্জনকে বলা হয়েছে। আদেশের অনুলিপি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং শেরপুর জেলা প্রশাসককেও আগামী ২৭ নভেম্বর প্রতিবেদন প্রদান করতে বলা হয়েছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ইনজেকশনে ৩০ রোগী অসুস্থ, তদন্তের নির্দেশ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের

আপডেট সময় ০৫:১০:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

‘সরকারি হাসপাতালে ইনজেকশনের পর অসুস্থ ৩০ রোগী’ শিরোনামে গত ১৫ অক্টোবর, গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে জাতীয় কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ মনে করেন, চিকিৎসা সেবাপ্রার্থীদের মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। রোগীর সেবায় ব্যবহৃত ওই ইনজেকশনসমূহে কোনো ত্রুটি বা মেয়াদ উর্ত্তীণ ছিল কি না কিংবা প্রয়োগের ক্ষেত্রে যথাযথ পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে কি-না তা খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছে। স্বাস্থ্যখাতে এ ধরনের ঘটনায় সচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের দাবি জানান। বুধবার (১৬ অক্টোবর) ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ স্বাস্থ্যখাতে এ ধরনের ঘটনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের দাবি জানান।

এ ঘটনায় কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগ (সুয়োমটো) গ্রহণ করেছে। সুয়োমটোতে উল্লেখ রয়েছে, শেরপুর সদর হাসপাতালে বিভিন্ন রোগের সমস্যা নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীদের ইনজেকশন দেওয়ার পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কমপক্ষে ৩০ রোগী অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী ও রোগীর স্বজনরা জানান। গত ১৩ অক্টোবর রবিবার রাত ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, কী কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটল, তা এখনো শনাক্ত করা যায়নি। ১৪ অক্টোবর সোমবার শেরপুর সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, কমপক্ষে ১২ রোগীকে শ্বাসকষ্টের কারণে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। ইনজেকশন নেওয়া অন্য রোগীদের খিঁচুনি, পেটব্যথা, মাথাব্যথা, বমিসহ বেশ কিছু উপসর্গ ছিল।

হাসপাতালে কর্তব্যরত কয়েকজন নার্স জানান অ্যান্টিবায়োটিক গ্রুপের সেফটিয়াক্সজম ও প্যান্টিট নামে দুটি ইনজেকশন দেওয়ার পর থেকেই রোগীরা অস্থিরতা, পেটব্যথা, খিঁচুনি ও শ্বাসকষ্টে ভুগতে থাকে। পরে কর্তব্যরত ডাক্তাররা এসে রোগীদের চিকিৎসা দিতে শুরু করেন। কমপক্ষে তিনজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অসুস্থদের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ ঝুঁকি নির্ণয়সহ সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার যথাযথ কারণ উল্লেখপূর্বক কমিশনে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য শেরপুরের সিভিল সার্জনকে বলা হয়েছে। আদেশের অনুলিপি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং শেরপুর জেলা প্রশাসককেও আগামী ২৭ নভেম্বর প্রতিবেদন প্রদান করতে বলা হয়েছে।