ঢাকা ০৬:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দক্ষিণখানে পাষণ্ড স্বামী ও তার বন্ধুরা মিলে স্ত্রীকে ধর্ষণ! বিচারের আশায় ধর্ষিতা নারী কেন্দ্রীয় ব্যাংকে উত্তেজনার নেপথ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল হাসিনার শাসনামল ছিল ইতিহাসের কলঙ্ক: যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না বোরহানউদ্দিন বিএনপির কেউ চাঁদাবাজি করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যাবস্হা নেয়া হবে: মাফরুজা সুলতানা পাঁচবিবির ইউএনও জেলা প্রশাসককে গাছের চারা উপহার মঠবাড়িয়ায় মুদি মনোহরী দোকান থেকে নগদ টাকা সহ মালামাল চুরির অভিযোগ রাজবাড়ী সদরের আলীপুরে একই সময় দুই স্বামীর সঙ্গে সংসার জান্নাতুলের, এলাকায় চাঞ্চল্য শেখ হাসিনার পতন ও বিতর্কিত ঠিকাদার শাহ আলমের সখ্যতার নতুন খেলা” গুলশানে বেদখল হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি, জানা গেল বাড়িগুলোর নাম-ঠিকানা প্রয়োজন ছাড়া প্রকল্প তৈরি নাম করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ কোটি টাকা রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল কর্মকর্তারা।

সাপাহারে মসজিদ ভাঙচুর”গ্রেফতার-১

নওগাঁর সাপাহারে মুসলমানদের ধর্মীয় প্রাণকেন্দ্র মসজিদ ভাঙচুর করায় থানায় অভিযোগ, অতঃপর সোহেল (৩০) নামে এক যুবককে আটক করেছে থানা পুলিশ। মসজিদ ভাঙচুরের সাথে জড়িত আটক সোহেল রানা উপজেলার বাদ-উপরইল গ্রামের আ. আজিজের ছেলে।

থানায় দায়েরকৃত এজাহারের প্রেক্ষিতে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) হাবিবুর রহমান জানান, উপজেলার তিলনা ইউনিয়নের বাদ-উপরইল (চকান্দি) গ্রামের জামে মসজিদের সভাপতি ফরহাদ হোসেন মসজিদ ভাঙচুরের ঘটনায় বাদী হয়ে বাদ উপরইল গ্রামের বাবা-ছেলে সহ তিনজনের বিরুদ্ধে এজাহার দাখিল করেন।

বিবাদীরা হলেন আ. আজিজের ছেলে সোহেল রানা (৩০) ও জুয়েল (৩২) এবং একই গ্রামের মৃত চাঁদ আলীর ছেলে আ. আজিজ (৫৫) । অভিযোগ সূত্রে ও সরজমিনে জানা যায় গ্রামের জামে মসজিদের পাশে কার্ণিশের সাথে লাগানো আঃ আজিজের একটি বড় মেহগনি গাছ আছে। ঝড় বাতাসে ওই গাছের ডাল-পালা লেগে প্রায়’সময় মসজিদের ক্ষয়ক্ষতি হয়। গত বছরে ঝড়ে মসজিদের কার্ণিশের সাথে লেগে কার্ণিশ ভেঙ্গে যায়।

যাতে করে মসজিদ কর্তৃপক্ষের ৫ হাজার টাকা ক্ষতি হয়।বার বার গাছটি সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হলেও বিবাদীরা কর্ণপাত করেন না। ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে গত ২৮ আগস্ট সকাল ৮টার দিকে মসজিদের সভাপতি ফরহাদ হোসেন মুসল্লীদের নিয়ে মসজিদের সাথে লাগানো গাছটির বর্ধিত ডালপালা কেটে দেয়। সেই সূত্র ধরে ১নং আসামী সোহেল ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার উদ্দেশ্যে মুনল্লীদেরকে কটাক্ষ ও দেলোয়ার নামে একজনকে হাতল দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। সে সময় গুরতর আহত হন ওই গ্রামের মুসল্লী দেলোয়ার।

এসময় সোহেলের বাবা ও ভাই কুড়াল,শাবল, রড ইত্যাদি দিয়ে মসজিদ ভেঙে ফেলার উদ্দেশ্যে মসজিদের সম্মুখভাগে মিনার ভাঙচুর করে। এঘটনায় মসজিদের সভাপতি ফরহাদ হোসেন বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দিলে গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে দশটার দিকে ১নং আসামী সোহেলকে আটক করে থানা পুলিশ। পরের দিন আসামী সোহেল রানাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দক্ষিণখানে পাষণ্ড স্বামী ও তার বন্ধুরা মিলে স্ত্রীকে ধর্ষণ! বিচারের আশায় ধর্ষিতা নারী

সাপাহারে মসজিদ ভাঙচুর”গ্রেফতার-১

আপডেট সময় ১২:৩৭:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

নওগাঁর সাপাহারে মুসলমানদের ধর্মীয় প্রাণকেন্দ্র মসজিদ ভাঙচুর করায় থানায় অভিযোগ, অতঃপর সোহেল (৩০) নামে এক যুবককে আটক করেছে থানা পুলিশ। মসজিদ ভাঙচুরের সাথে জড়িত আটক সোহেল রানা উপজেলার বাদ-উপরইল গ্রামের আ. আজিজের ছেলে।

থানায় দায়েরকৃত এজাহারের প্রেক্ষিতে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) হাবিবুর রহমান জানান, উপজেলার তিলনা ইউনিয়নের বাদ-উপরইল (চকান্দি) গ্রামের জামে মসজিদের সভাপতি ফরহাদ হোসেন মসজিদ ভাঙচুরের ঘটনায় বাদী হয়ে বাদ উপরইল গ্রামের বাবা-ছেলে সহ তিনজনের বিরুদ্ধে এজাহার দাখিল করেন।

বিবাদীরা হলেন আ. আজিজের ছেলে সোহেল রানা (৩০) ও জুয়েল (৩২) এবং একই গ্রামের মৃত চাঁদ আলীর ছেলে আ. আজিজ (৫৫) । অভিযোগ সূত্রে ও সরজমিনে জানা যায় গ্রামের জামে মসজিদের পাশে কার্ণিশের সাথে লাগানো আঃ আজিজের একটি বড় মেহগনি গাছ আছে। ঝড় বাতাসে ওই গাছের ডাল-পালা লেগে প্রায়’সময় মসজিদের ক্ষয়ক্ষতি হয়। গত বছরে ঝড়ে মসজিদের কার্ণিশের সাথে লেগে কার্ণিশ ভেঙ্গে যায়।

যাতে করে মসজিদ কর্তৃপক্ষের ৫ হাজার টাকা ক্ষতি হয়।বার বার গাছটি সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হলেও বিবাদীরা কর্ণপাত করেন না। ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে গত ২৮ আগস্ট সকাল ৮টার দিকে মসজিদের সভাপতি ফরহাদ হোসেন মুসল্লীদের নিয়ে মসজিদের সাথে লাগানো গাছটির বর্ধিত ডালপালা কেটে দেয়। সেই সূত্র ধরে ১নং আসামী সোহেল ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার উদ্দেশ্যে মুনল্লীদেরকে কটাক্ষ ও দেলোয়ার নামে একজনকে হাতল দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। সে সময় গুরতর আহত হন ওই গ্রামের মুসল্লী দেলোয়ার।

এসময় সোহেলের বাবা ও ভাই কুড়াল,শাবল, রড ইত্যাদি দিয়ে মসজিদ ভেঙে ফেলার উদ্দেশ্যে মসজিদের সম্মুখভাগে মিনার ভাঙচুর করে। এঘটনায় মসজিদের সভাপতি ফরহাদ হোসেন বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দিলে গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে দশটার দিকে ১নং আসামী সোহেলকে আটক করে থানা পুলিশ। পরের দিন আসামী সোহেল রানাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।