ঢাকা ০৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা

চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা। বুধবার সকালে নগরীর ষোলশহর রেলওয়ে স্টেশনে আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ করেন। এ সময় শত শত আন্দোলনকারীর স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠে ষোলশহর রেলওয়ে স্টেশন এলাকা। দুপুর একটা পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা ওই এলাকায় অবস্থান নেন।এ সময় তারা চাঁদাবাজি, সিন্ডিকেট, লুটপাট এবং হয়রানিসহ সব ধরনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’
চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ বলেন, ‘দেশের এ অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে এবং ক্রান্তিলগ্নে যারা চাঁদাবাজি বা লুটপাট করবে ছাত্রসমাজ তাদের শক্তহাতে প্রতিহত করবে। হাজারো ছাত্রের রক্তের বিনিময়ে যে বাংলাদেশ আমরা অর্জন করেছি সে বাংলাদেশে কোনো সিন্ডিকেট, চাঁদাবাজি, লুটপাট এবং কোনো ধরনের নৈরাজ্য চলতে পারে না। আবু সাঈদের রক্ত, মুগ্ধের রক্ত, ওয়াসিমের রক্তের উপর দিয়ে হেঁটে কেউ এ রাষ্ট্রকে দুর্বৃত্তায়নের দিকে নিয়ে যাবে সেটা হতে দেব না।
সহ সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন
এ বীর চট্টলায় কোনো প্রকার চাঁদাবাজি, সিন্ডিকেটের জায়গা হবে না। চট্টগ্রামসহ সারাদেশে চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িতদের আমরা কঠোর হুঁশিয়ারী দিচ্ছি। আমরা ছাড় দেব না। আমরা প্রত্যেকেই রক্ত দিয়েছি এ বাংলাদেশ পাওয়ার জন্য। কোনো স্বার্থের জন্য রক্ত দিইনি। এ বাংলাদেশে যারাই সিন্ডিকেট করুক আমরা সংঘবদ্ধভাবেই তাকে প্রতিহত করব। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে গত জুলাইয়ের শুরুতে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও শুরুতে এই বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ থাকলেও গত ১৬ জুলাই থেকে সহিংসতা শুরু হয়। সহিংসতায় চট্টগ্রামে মোট ১২ জনের মৃত্যু হয়। ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা

আপডেট সময় ১২:২২:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা। বুধবার সকালে নগরীর ষোলশহর রেলওয়ে স্টেশনে আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ করেন। এ সময় শত শত আন্দোলনকারীর স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠে ষোলশহর রেলওয়ে স্টেশন এলাকা। দুপুর একটা পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা ওই এলাকায় অবস্থান নেন।এ সময় তারা চাঁদাবাজি, সিন্ডিকেট, লুটপাট এবং হয়রানিসহ সব ধরনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’
চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ বলেন, ‘দেশের এ অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে এবং ক্রান্তিলগ্নে যারা চাঁদাবাজি বা লুটপাট করবে ছাত্রসমাজ তাদের শক্তহাতে প্রতিহত করবে। হাজারো ছাত্রের রক্তের বিনিময়ে যে বাংলাদেশ আমরা অর্জন করেছি সে বাংলাদেশে কোনো সিন্ডিকেট, চাঁদাবাজি, লুটপাট এবং কোনো ধরনের নৈরাজ্য চলতে পারে না। আবু সাঈদের রক্ত, মুগ্ধের রক্ত, ওয়াসিমের রক্তের উপর দিয়ে হেঁটে কেউ এ রাষ্ট্রকে দুর্বৃত্তায়নের দিকে নিয়ে যাবে সেটা হতে দেব না।
সহ সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন
এ বীর চট্টলায় কোনো প্রকার চাঁদাবাজি, সিন্ডিকেটের জায়গা হবে না। চট্টগ্রামসহ সারাদেশে চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িতদের আমরা কঠোর হুঁশিয়ারী দিচ্ছি। আমরা ছাড় দেব না। আমরা প্রত্যেকেই রক্ত দিয়েছি এ বাংলাদেশ পাওয়ার জন্য। কোনো স্বার্থের জন্য রক্ত দিইনি। এ বাংলাদেশে যারাই সিন্ডিকেট করুক আমরা সংঘবদ্ধভাবেই তাকে প্রতিহত করব। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে গত জুলাইয়ের শুরুতে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও শুরুতে এই বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ থাকলেও গত ১৬ জুলাই থেকে সহিংসতা শুরু হয়। সহিংসতায় চট্টগ্রামে মোট ১২ জনের মৃত্যু হয়। ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন।