ঢাকা ০৭:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর আমেরিকা প্রকাশ্যে এসে বড় ঘোষণা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ছোট দারোগার হাট বাজার এলাকায় উল্টো পথে আসা ট্রাকের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষ বোরহানউদ্দিনে পৌর বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাফর মৃধা’র বসতবাড়িতে হামলা। বনানীর আবাসিক হোটেলে মিলল ৯৮৪ বোতল বিদেশি মদ গাজীপুর কাস্টমসের পিওন কাওসারের কোটি টাকার সম্পত্তি পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন

ডিজির অপসারণ ছাড়া কাজে ফিরবেন না প্রাথমিক অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজি আব্দুস সামাদকে অপসারণ না করা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বুধবার সকালে দপ্তরটির সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ঘোষণা দেন। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার একই দাবিতে সমাবেশ করেন তারা। এরপর ডিজির রুমে তালা ঝুলিয়ে দেন বিক্ষুব্ধ কিছু কর্মকর্তা ও কমচারী।

তারা জানান, বিগত সরকারের আমলে জুলাই মাসে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে যোগদান করেন বর্তমান মহাপরিচালক আব্দুস সামাদ। যোগদানের পর থেকেই তার কর্তৃত্ববাদী আচরণ ও আওয়ামীপ্রীতি প্রাথমিক শিক্ষা প্রশাসনকে ক্ষত-বিক্ষত করছে। তার নানাবিধ বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে ক্ষোভ দানা বেঁধে উঠেছে। সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্যবন্ধ হয়ে মহাপরিচালকের দ্রুত অপসারণ দাবি করছেন।

ডিজির বিতর্কিত কিছু কর্মকাণ্ড তুলে ধরে তারা বলেন, যোগদানের পরই তিনি ঘোষণা করেন যে, তার কক্ষে পরিচালক পদমর্যাদার নিচের কোনো কর্মকর্তা প্রবেশ করতে পারবেন না। তিনি সর্বদা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে খারাপ আচরণ করেন ও কক্ষ থেকে বের করে দেন। এ পর্যন্ত অধিদপ্তরের ২০ জন কর্মকর্তা তার দুর্ব্যবহারের স্বীকার হয়েছেন। সরকার পতনের ১৫ দিন পর তিনি অফিস করা শুরু করেন। এরপর তার পছন্দের কিছু কর্মকর্তাকে নিয়ে গোপনে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

এছাড়া স্থানীয় বিতর্কিত সাবেক সংসদ সদস্য মাইনুল হোসেন খান (নিখিল) ডিও লেটারের সুপারিশের প্রেক্ষিতে তিনি নিয়ম বহির্ভূত মাঠ পর্যায় হতে একজন কর্মকর্তাকে অধিদপ্তরে পদায়ন করেন। বদলি-বাণিজ্যের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে এই কর্মকর্তার একান্ত সহকারী হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে অনেকবার পত্র-পত্রিকায় নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

গত সপ্তাহে চাপের মুখে উক্ত কর্মকর্তাকে ওই শাখা থেকে বদলি করে আরও গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বদলি করেন। এরপর আরও বিতর্ক সৃষ্টি হয়। বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষার মহাপরিচালকের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ হতে অনতিবিলম্বে অপসারণ করে তার পরিবর্তে একজন শিক্ষাবান্ধব ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তাকে পদায়নের জোর দাবি জানিয়েছেন তারা।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর আমেরিকা প্রকাশ্যে এসে বড় ঘোষণা

ডিজির অপসারণ ছাড়া কাজে ফিরবেন না প্রাথমিক অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

আপডেট সময় ০১:১৯:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৪

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজি আব্দুস সামাদকে অপসারণ না করা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বুধবার সকালে দপ্তরটির সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ঘোষণা দেন। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার একই দাবিতে সমাবেশ করেন তারা। এরপর ডিজির রুমে তালা ঝুলিয়ে দেন বিক্ষুব্ধ কিছু কর্মকর্তা ও কমচারী।

তারা জানান, বিগত সরকারের আমলে জুলাই মাসে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে যোগদান করেন বর্তমান মহাপরিচালক আব্দুস সামাদ। যোগদানের পর থেকেই তার কর্তৃত্ববাদী আচরণ ও আওয়ামীপ্রীতি প্রাথমিক শিক্ষা প্রশাসনকে ক্ষত-বিক্ষত করছে। তার নানাবিধ বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে ক্ষোভ দানা বেঁধে উঠেছে। সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্যবন্ধ হয়ে মহাপরিচালকের দ্রুত অপসারণ দাবি করছেন।

ডিজির বিতর্কিত কিছু কর্মকাণ্ড তুলে ধরে তারা বলেন, যোগদানের পরই তিনি ঘোষণা করেন যে, তার কক্ষে পরিচালক পদমর্যাদার নিচের কোনো কর্মকর্তা প্রবেশ করতে পারবেন না। তিনি সর্বদা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে খারাপ আচরণ করেন ও কক্ষ থেকে বের করে দেন। এ পর্যন্ত অধিদপ্তরের ২০ জন কর্মকর্তা তার দুর্ব্যবহারের স্বীকার হয়েছেন। সরকার পতনের ১৫ দিন পর তিনি অফিস করা শুরু করেন। এরপর তার পছন্দের কিছু কর্মকর্তাকে নিয়ে গোপনে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

এছাড়া স্থানীয় বিতর্কিত সাবেক সংসদ সদস্য মাইনুল হোসেন খান (নিখিল) ডিও লেটারের সুপারিশের প্রেক্ষিতে তিনি নিয়ম বহির্ভূত মাঠ পর্যায় হতে একজন কর্মকর্তাকে অধিদপ্তরে পদায়ন করেন। বদলি-বাণিজ্যের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে এই কর্মকর্তার একান্ত সহকারী হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে অনেকবার পত্র-পত্রিকায় নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

গত সপ্তাহে চাপের মুখে উক্ত কর্মকর্তাকে ওই শাখা থেকে বদলি করে আরও গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বদলি করেন। এরপর আরও বিতর্ক সৃষ্টি হয়। বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষার মহাপরিচালকের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ হতে অনতিবিলম্বে অপসারণ করে তার পরিবর্তে একজন শিক্ষাবান্ধব ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তাকে পদায়নের জোর দাবি জানিয়েছেন তারা।