ঢাকা ০১:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিক্ষক সহায়িকা বই বিতরণেও টাকা নেন এটিও সাইদুর

জামালপুরের মাদারগঞ্জে শিক্ষক সহায়িকা বই বিতরণেও টাকা আদায় করছেন সহকারী শিক্ষা অফিসার সাইদুর রহমান। এতে শিক্ষকরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন সাংবাদিকদের কাছে।

জানা গেছে, উপজেলার ২০১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য ২২টি করে শিক্ষক সহায়িকা বই পাঠানো হয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদফতর থেকে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে বই রিসিভ করে মাদারগঞ্জে নিয়ে আসেন সহকারী শিক্ষা অফিসার সাইদুর রহমান। পরে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছে বই হস্তান্তরের সময় পরিবহণ খরচ বাবদ ৫০ টাকা করে আদায় করেন এটিও সাইদুর।

কয়েকজন শিক্ষক জানান, এটিও সাইদুর বিল-ভাউচার করে শিক্ষা অফিস থেকে পরিবহণের খরচ ঠিকই নেবেন। সুযোগ বুঝে তিনি শিক্ষকদের কাছ থেকে ৫০ টাকা করে আদায় করলেন।

শিক্ষকদের কাছ থেকে ৫০ টাকা করে নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন এটিও সাইদুর রহমান। তিনি জানান, সরকারিভাবে বই পরিবহণের খরচ দেওয়া হয় না। পরিবহণ ও লেবার খরচ বাবদ তার পকেট থেকে ৭ হাজার ৯০০ টাকা খরচ গেছে। তিনি শিক্ষকদের কাছ থেকে সেই টাকা তুলেছেন। এটিও সাইদুরের বিরুদ্ধে বছরের প্রথম দিকে পাঠ্যবই বিতরণেও কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষকদের কাছ থেকে ১০ হাজার করে টাকা আদায়েরও অভিযোগ আছে।

একজন শিক্ষকের সঙ্গে টাকা নিয়ে দর কষাকষির একটি ওডিও রেকর্ড এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। সেই বিষয়ে সাইদুর রহমান কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষকদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অডিও ক্লিপের কথাগুলো আমার সঙ্গে হলেও কয়েকটি জায়গায় এডিট করা হয়েছে।

জামালপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. মোফাজ্জল হোসেন খান সাংবাদিকদের জানান, সরকারি নির্দেশ ছাড়া শুধু বই কেন, একটি সাদা কাগজ বিতরণের জন্যও নগদ অর্থ নেওয়া যাবে না। যদি কেউ এ নির্দেশনা অমান্য করেন তাহলে তদন্তসাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষক সহায়িকা বই বিতরণেও টাকা নেন এটিও সাইদুর

আপডেট সময় ১২:৩৫:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৪

জামালপুরের মাদারগঞ্জে শিক্ষক সহায়িকা বই বিতরণেও টাকা আদায় করছেন সহকারী শিক্ষা অফিসার সাইদুর রহমান। এতে শিক্ষকরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন সাংবাদিকদের কাছে।

জানা গেছে, উপজেলার ২০১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য ২২টি করে শিক্ষক সহায়িকা বই পাঠানো হয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদফতর থেকে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে বই রিসিভ করে মাদারগঞ্জে নিয়ে আসেন সহকারী শিক্ষা অফিসার সাইদুর রহমান। পরে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছে বই হস্তান্তরের সময় পরিবহণ খরচ বাবদ ৫০ টাকা করে আদায় করেন এটিও সাইদুর।

কয়েকজন শিক্ষক জানান, এটিও সাইদুর বিল-ভাউচার করে শিক্ষা অফিস থেকে পরিবহণের খরচ ঠিকই নেবেন। সুযোগ বুঝে তিনি শিক্ষকদের কাছ থেকে ৫০ টাকা করে আদায় করলেন।

শিক্ষকদের কাছ থেকে ৫০ টাকা করে নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন এটিও সাইদুর রহমান। তিনি জানান, সরকারিভাবে বই পরিবহণের খরচ দেওয়া হয় না। পরিবহণ ও লেবার খরচ বাবদ তার পকেট থেকে ৭ হাজার ৯০০ টাকা খরচ গেছে। তিনি শিক্ষকদের কাছ থেকে সেই টাকা তুলেছেন। এটিও সাইদুরের বিরুদ্ধে বছরের প্রথম দিকে পাঠ্যবই বিতরণেও কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষকদের কাছ থেকে ১০ হাজার করে টাকা আদায়েরও অভিযোগ আছে।

একজন শিক্ষকের সঙ্গে টাকা নিয়ে দর কষাকষির একটি ওডিও রেকর্ড এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। সেই বিষয়ে সাইদুর রহমান কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষকদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অডিও ক্লিপের কথাগুলো আমার সঙ্গে হলেও কয়েকটি জায়গায় এডিট করা হয়েছে।

জামালপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. মোফাজ্জল হোসেন খান সাংবাদিকদের জানান, সরকারি নির্দেশ ছাড়া শুধু বই কেন, একটি সাদা কাগজ বিতরণের জন্যও নগদ অর্থ নেওয়া যাবে না। যদি কেউ এ নির্দেশনা অমান্য করেন তাহলে তদন্তসাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।