ঢাকা ০৯:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

আবাসন খাত বাঁচাতে ড্যাপ বাতিল চায় ব্যবসায়ীরা

আবাসন ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন, বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনার (ড্যাপ) প্রজ্ঞাপন জারির পর আবাসন খাতে ব্যাপক মাত্রায় স্থবিরতা নেমে এসেছে। আগামী এক বছরে এই সংকট আরও প্রকট আকার ধারণ করবে। স্বৈরশাসক প্রণীত বৈষম্যমূলক ও ত্রুটিপূর্ণ ড্যাপের (২০২২-২০৩৫) কারণে খালবিল, জলাশয় ও কৃষিজমি দ্রুতগতিতে হ্রাস পাবে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ক্ষতিকর হবে।

রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান আবাসন ব্যবসায়ীরা। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)।

এতে বলা হয়, ব্যবসা স্থবির হওয়ায় আবাসন শিল্পে জড়িত প্রায় ৪০ লাখ লোক বেকার হয়ে পড়বে। এ অবস্থায় দেশের অর্থনীতির কথা ভেবে ড্যাপ (২০২২-২০৩৫) বাতিল করে ঢাকা মহানগর ইমারত নির্মাণ বিধিমালা-২০০৮ ও মাস্টার প্ল্যান (ড্যাপ)-২০১০ বিধি অনুসারে ভবনের নকশা অনুমোদনের আদেশ প্রদান করা হোক। লিখিত বক্তব্যে রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, একটি সুন্দর ও সময়োপযোগী ঢাকা মহানগর ইমারত নির্মাণ বিধিমালা-২০০৮কে উপেক্ষা করে ও মাস্টার প্ল্যান-২০১০ অন্যায়ভাবে রহিত করা হয়। এর মাধ্যমে আবাসন খাতকে কুক্ষিগত করার লক্ষ্যে বিগত স্বৈরাচারী সরকারের মদদপুষ্ট একটি স্বার্থান্বেষী মহলকে খুশি করতে কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা এ কাজ করেন। আবাসন শিল্পের স্থবিরতা কাটেনি এবং জনগণের অসন্তোষ বিদ্যমান রয়েছে। অনেক এলাকায় আগে যেখানে ৮ তলা ভবন তৈরি করতে পারতেন নতুন ড্যাপের ফার অনুযায়ী বাড়ি তৈরি করতে পারবেন ৪ থেকে ৫ তলা। এই ড্যাপ প্রজ্ঞাপন জারির পর আবাসন খাতে ব্যাপক মাত্রায় স্থবিরতা নেমে এসেছে।

তিনি বলেন, আমরা চাই না পূর্বের স্বৈরশাসকের প্রণীত বৈষম্যমূলক ও ত্রুটিপূর্ণ ড্যাপের (২০২২-২০৩৫) কারণে এই তিলে তিলে গড়ে ওঠা আবাসন শিল্প বন্ধ হয়ে যাক। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ঢাকার জনঘনত্ব বেশি এটা সত্য। ঢাকাকে বিশ্বের অন্য শহরের সঙ্গে তুলনা করলে চলবে না। কেননা, বাংলাদেশের ছোট ভূখণ্ডে ১৮ কোটি মানুষের বাস। সে হিসাবে ঢাকার জনসংখ্যা কিছুটা বেশি থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। তবে ঢাকা উপরমুখী করতে না দিলে সমস্যা আরও প্রকট হবে। সিঙ্গাপুরের নগরায়ণ ফর্মুলায় (ঊর্ধ্বমুখী) নগরায়ন করতে হবে দেশের।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রিহ্যাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি লিয়াকত আলী ভ‚ঁইয়া, সহ-সভাপতি প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ, সহ-সভাপতি (অর্থ) আব্দুর রাজ্জাক, প্রেস অ্যান্ড মিডিয়া স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ লাবিব বিল্লাহ প্রমুখ।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

জমির দলিলের প্রলোভানা দিয়ে গ্রাম পুলিশের নির্দেশে সোনিয়া আক্তার নামে এক নারীকে নির্যাতন করে

আবাসন খাত বাঁচাতে ড্যাপ বাতিল চায় ব্যবসায়ীরা

আপডেট সময় ০১:০৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪

আবাসন ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন, বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনার (ড্যাপ) প্রজ্ঞাপন জারির পর আবাসন খাতে ব্যাপক মাত্রায় স্থবিরতা নেমে এসেছে। আগামী এক বছরে এই সংকট আরও প্রকট আকার ধারণ করবে। স্বৈরশাসক প্রণীত বৈষম্যমূলক ও ত্রুটিপূর্ণ ড্যাপের (২০২২-২০৩৫) কারণে খালবিল, জলাশয় ও কৃষিজমি দ্রুতগতিতে হ্রাস পাবে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ক্ষতিকর হবে।

রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান আবাসন ব্যবসায়ীরা। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)।

এতে বলা হয়, ব্যবসা স্থবির হওয়ায় আবাসন শিল্পে জড়িত প্রায় ৪০ লাখ লোক বেকার হয়ে পড়বে। এ অবস্থায় দেশের অর্থনীতির কথা ভেবে ড্যাপ (২০২২-২০৩৫) বাতিল করে ঢাকা মহানগর ইমারত নির্মাণ বিধিমালা-২০০৮ ও মাস্টার প্ল্যান (ড্যাপ)-২০১০ বিধি অনুসারে ভবনের নকশা অনুমোদনের আদেশ প্রদান করা হোক। লিখিত বক্তব্যে রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, একটি সুন্দর ও সময়োপযোগী ঢাকা মহানগর ইমারত নির্মাণ বিধিমালা-২০০৮কে উপেক্ষা করে ও মাস্টার প্ল্যান-২০১০ অন্যায়ভাবে রহিত করা হয়। এর মাধ্যমে আবাসন খাতকে কুক্ষিগত করার লক্ষ্যে বিগত স্বৈরাচারী সরকারের মদদপুষ্ট একটি স্বার্থান্বেষী মহলকে খুশি করতে কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা এ কাজ করেন। আবাসন শিল্পের স্থবিরতা কাটেনি এবং জনগণের অসন্তোষ বিদ্যমান রয়েছে। অনেক এলাকায় আগে যেখানে ৮ তলা ভবন তৈরি করতে পারতেন নতুন ড্যাপের ফার অনুযায়ী বাড়ি তৈরি করতে পারবেন ৪ থেকে ৫ তলা। এই ড্যাপ প্রজ্ঞাপন জারির পর আবাসন খাতে ব্যাপক মাত্রায় স্থবিরতা নেমে এসেছে।

তিনি বলেন, আমরা চাই না পূর্বের স্বৈরশাসকের প্রণীত বৈষম্যমূলক ও ত্রুটিপূর্ণ ড্যাপের (২০২২-২০৩৫) কারণে এই তিলে তিলে গড়ে ওঠা আবাসন শিল্প বন্ধ হয়ে যাক। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ঢাকার জনঘনত্ব বেশি এটা সত্য। ঢাকাকে বিশ্বের অন্য শহরের সঙ্গে তুলনা করলে চলবে না। কেননা, বাংলাদেশের ছোট ভূখণ্ডে ১৮ কোটি মানুষের বাস। সে হিসাবে ঢাকার জনসংখ্যা কিছুটা বেশি থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। তবে ঢাকা উপরমুখী করতে না দিলে সমস্যা আরও প্রকট হবে। সিঙ্গাপুরের নগরায়ণ ফর্মুলায় (ঊর্ধ্বমুখী) নগরায়ন করতে হবে দেশের।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রিহ্যাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি লিয়াকত আলী ভ‚ঁইয়া, সহ-সভাপতি প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ, সহ-সভাপতি (অর্থ) আব্দুর রাজ্জাক, প্রেস অ্যান্ড মিডিয়া স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ লাবিব বিল্লাহ প্রমুখ।