ঢাকা ১১:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

নাতির কিলঘুসিতে দাদা-দাদি হাসপাতালে

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় উজ্জ্বল মিয়া (২২) নামের এক মাদকাসক্ত যুবকের কিলঘুসিতে দাদা খায়রুল আলম সরকার (৭৫) ও দাদি রোকেয়া বেগম (৭০) মারাত্মক আহত হয়েছেন। বুধবার বিকাল পর্যন্ত আহত ওই দম্পতি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

মঙ্গলবার সকালের দিকে সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের বড় ছত্রগাছা গ্রামের বাড়িতে টাকা না পেয়ে দাদা খায়রুল ও তার স্ত্রী রোকেয়া বেগমকে মাদকাসক্ত নাতি উজ্জ্বল কিলঘুসি মারে। এতে তারা আহত হন।

স্থানীয়রা জানান, বড় ছত্রগাছা গ্রামের স্কুল শিক্ষক সাজু মিয়ার একমাত্র ছেলে উজ্জ্বল মিয়া দীর্ঘদিন ধরে মাদকের প্রতি আসক্ত হয়েছে। প্রত্যেক দিন ইয়াবা ট্যাবলেটসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক সেবন করে আসছে। তার এই অসামাজিক কার্যকলাপ থেকে বিরত রাখতে ইতোপূর্বে পরিবারের লোকজন উজ্জ্বলকে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করায়। সেখান থেকে বের হয়ে বাড়িতে অবস্থানের পর আবারও মাদকাসক্ত হয়। এই মাদকের জন্য পরিবারের কাছে জোরপূর্বক টাকা আদায় করে থাকে। টাকা দিতে না পারলে শুরু করে মানসিক নির্যাতন।

গত মঙ্গলবার সকালের দিকে উজ্জ্বল মিয়া তার দাদা-দাদির কাছে টাকা দাবি করে। এই টাকা দিতে অপারগত জানালে উজ্জ্বল মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে দাদা-দাদিকে মারপিট করে। এতে দাদা খায়রুলের নাক ফেটে রক্তাক্ত হন, দাদিও গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান স্বজনরা।

বিষয়টি উজ্জ্বল মিয়ার বাবা সাজু মিয়া এড়িয়ে গেলেও চাচা রাজু মিয়া বলেন, আমার বাবা-মাকে মারপিট করে আহত করেছে উজ্জ্বল। রংপুর মেডিকেল থেকে এখন উন্নত চিকিৎসার জন্য বাবা-মাকে ক্লিনিকে নেওয়া হচ্ছে।

সাদুল্লাপুরের ধাপেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ছত্রগাছা এলাকার ওয়ার্ড সদস্য জিল্লুর রহমান বলেন, উজ্জ্বল মিয়ার মারপিটে তার দাদা-দাদি আহত হওয়ার ঘটনাটি লোকমুখে শুনেছি। এই ছেলেটি মাদকসক্ত হয়ে প্রায়ই পরিবারের ওপর অত্যাচার করে আসছে।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

জমির দলিলের প্রলোভানা দিয়ে গ্রাম পুলিশের নির্দেশে সোনিয়া আক্তার নামে এক নারীকে নির্যাতন করে

নাতির কিলঘুসিতে দাদা-দাদি হাসপাতালে

আপডেট সময় ১০:৩২:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় উজ্জ্বল মিয়া (২২) নামের এক মাদকাসক্ত যুবকের কিলঘুসিতে দাদা খায়রুল আলম সরকার (৭৫) ও দাদি রোকেয়া বেগম (৭০) মারাত্মক আহত হয়েছেন। বুধবার বিকাল পর্যন্ত আহত ওই দম্পতি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

মঙ্গলবার সকালের দিকে সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের বড় ছত্রগাছা গ্রামের বাড়িতে টাকা না পেয়ে দাদা খায়রুল ও তার স্ত্রী রোকেয়া বেগমকে মাদকাসক্ত নাতি উজ্জ্বল কিলঘুসি মারে। এতে তারা আহত হন।

স্থানীয়রা জানান, বড় ছত্রগাছা গ্রামের স্কুল শিক্ষক সাজু মিয়ার একমাত্র ছেলে উজ্জ্বল মিয়া দীর্ঘদিন ধরে মাদকের প্রতি আসক্ত হয়েছে। প্রত্যেক দিন ইয়াবা ট্যাবলেটসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক সেবন করে আসছে। তার এই অসামাজিক কার্যকলাপ থেকে বিরত রাখতে ইতোপূর্বে পরিবারের লোকজন উজ্জ্বলকে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করায়। সেখান থেকে বের হয়ে বাড়িতে অবস্থানের পর আবারও মাদকাসক্ত হয়। এই মাদকের জন্য পরিবারের কাছে জোরপূর্বক টাকা আদায় করে থাকে। টাকা দিতে না পারলে শুরু করে মানসিক নির্যাতন।

গত মঙ্গলবার সকালের দিকে উজ্জ্বল মিয়া তার দাদা-দাদির কাছে টাকা দাবি করে। এই টাকা দিতে অপারগত জানালে উজ্জ্বল মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে দাদা-দাদিকে মারপিট করে। এতে দাদা খায়রুলের নাক ফেটে রক্তাক্ত হন, দাদিও গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান স্বজনরা।

বিষয়টি উজ্জ্বল মিয়ার বাবা সাজু মিয়া এড়িয়ে গেলেও চাচা রাজু মিয়া বলেন, আমার বাবা-মাকে মারপিট করে আহত করেছে উজ্জ্বল। রংপুর মেডিকেল থেকে এখন উন্নত চিকিৎসার জন্য বাবা-মাকে ক্লিনিকে নেওয়া হচ্ছে।

সাদুল্লাপুরের ধাপেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ছত্রগাছা এলাকার ওয়ার্ড সদস্য জিল্লুর রহমান বলেন, উজ্জ্বল মিয়ার মারপিটে তার দাদা-দাদি আহত হওয়ার ঘটনাটি লোকমুখে শুনেছি। এই ছেলেটি মাদকসক্ত হয়ে প্রায়ই পরিবারের ওপর অত্যাচার করে আসছে।