ঢাকা ০৫:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

সান্তাহারে যুবদল অফিসে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ

বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহারে ৪নং ওয়ার্ড যুবদল কার্যালয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার রাতে চায়না মোড় এলাকায় এ ঘটনায় কার্যালয়ে সাতটি ককটেলসদৃশ বস্তু পাওয়া গেছে।

যুবদলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌরসভার চায়না মোড়ে ৪নং ওয়ার্ড যুবদলের কার্যালয় রয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কয়েকটি মোটরসাইকেলে কয়েকজন দুর্বৃত্ত আসে। তারা কার্যালয়ে ঢুকে চেয়ার ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। যাবার আগে পেট্রল ঢেলে আসবাবপত্রে আগুন দেয়। এতে অফিসের ভেতরে থাকা প্লাস্টিক চেয়ার ও কাগজপত্র পুড়ে যায়। খবর পেয়ে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে আসেন। তারা দ্রুত আগুন নিভিয়ে ফেলায় কার্যালয়ের তেমন ক্ষতি হয়নি।

এদিকে ওয়ার্ড যুবদল কার্যালয়ে আগুন ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুরে সান্তাহার পৌর এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়েছে।

সান্তাহার পৌর যুবদলের সভাপতি ওয়াহেদুজ্জামান ওয়াহেদ জানান, এলাকা অশান্ত করতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালিয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করা হবে।

তবে এলাকার আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা দাবি করেছেন, তারা এ ঘটনায় জড়িত নন। মামলা, হামলা ও গ্রেফতারের ভয়ে নেতাকর্মীরা কেউ বাড়িতে নেই। দেশের এ ক্রান্তিকালের সুযোগে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাই যুবদল অফিসে আগুন ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। আর দায় চাপানো হচ্ছে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। তারা এ ব্যাপারে পুলিশের সুষ্ঠু তদন্ত প্রত্যাশা করেছেন।

নৈশপ্রহরী নিখিল দেবনাথ জানান, সোমবার রাতে মুখোশধারী কয়েকজন ব্যক্তি মোটরসাইকেলে এসে যুবদল কার্যালয়ে আগুন ও কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। মুখ ঢাকা থাকায় তাদের চেনা সম্ভব হয়নি।

আদমদীঘি থানার ওসি রাজেশ কুমার চক্রবর্তী জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। যুবদল কার্যালয়ে আগুনে কাগজপত্র পুড়ে গেছে। ককটেলসদৃশ সাতটি বস্তু রয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত এ ব্যাপারে মামলা হয়নি। মামলা পেলে তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

জমির দলিলের প্রলোভানা দিয়ে গ্রাম পুলিশের নির্দেশে সোনিয়া আক্তার নামে এক নারীকে নির্যাতন করে

সান্তাহারে যুবদল অফিসে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ

আপডেট সময় ১২:২৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪

বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহারে ৪নং ওয়ার্ড যুবদল কার্যালয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার রাতে চায়না মোড় এলাকায় এ ঘটনায় কার্যালয়ে সাতটি ককটেলসদৃশ বস্তু পাওয়া গেছে।

যুবদলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌরসভার চায়না মোড়ে ৪নং ওয়ার্ড যুবদলের কার্যালয় রয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কয়েকটি মোটরসাইকেলে কয়েকজন দুর্বৃত্ত আসে। তারা কার্যালয়ে ঢুকে চেয়ার ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। যাবার আগে পেট্রল ঢেলে আসবাবপত্রে আগুন দেয়। এতে অফিসের ভেতরে থাকা প্লাস্টিক চেয়ার ও কাগজপত্র পুড়ে যায়। খবর পেয়ে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে আসেন। তারা দ্রুত আগুন নিভিয়ে ফেলায় কার্যালয়ের তেমন ক্ষতি হয়নি।

এদিকে ওয়ার্ড যুবদল কার্যালয়ে আগুন ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুরে সান্তাহার পৌর এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়েছে।

সান্তাহার পৌর যুবদলের সভাপতি ওয়াহেদুজ্জামান ওয়াহেদ জানান, এলাকা অশান্ত করতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালিয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করা হবে।

তবে এলাকার আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা দাবি করেছেন, তারা এ ঘটনায় জড়িত নন। মামলা, হামলা ও গ্রেফতারের ভয়ে নেতাকর্মীরা কেউ বাড়িতে নেই। দেশের এ ক্রান্তিকালের সুযোগে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাই যুবদল অফিসে আগুন ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। আর দায় চাপানো হচ্ছে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। তারা এ ব্যাপারে পুলিশের সুষ্ঠু তদন্ত প্রত্যাশা করেছেন।

নৈশপ্রহরী নিখিল দেবনাথ জানান, সোমবার রাতে মুখোশধারী কয়েকজন ব্যক্তি মোটরসাইকেলে এসে যুবদল কার্যালয়ে আগুন ও কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। মুখ ঢাকা থাকায় তাদের চেনা সম্ভব হয়নি।

আদমদীঘি থানার ওসি রাজেশ কুমার চক্রবর্তী জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। যুবদল কার্যালয়ে আগুনে কাগজপত্র পুড়ে গেছে। ককটেলসদৃশ সাতটি বস্তু রয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত এ ব্যাপারে মামলা হয়নি। মামলা পেলে তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।