ঢাকা ০৫:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

শেখ হাসিনা-শাহরিয়ার-ইমরানসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ

২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে ‘নির্বিচারে হত্যা ও লাশ গুম করে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে আবেদন করা হয়েছে।

এ তালিকায় রাজনীতিবিদ ছাড়াও সাবেক সেনা কর্মকর্তা, সাবেক মন্ত্রী, পুলিশ, সাংবাদিক, আইনজীবী এবং গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠকদের নাম রয়েছে। মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় এ সংক্রান্ত এ আবেদন করেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি হারুন ইজহার চৌধূরী।

তার আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আবেদনে ঘটনার তারিখ হিসেবে ২০১৩ সালের ৫ ও ৬ মে এবং স্থান হিসেবে মতিঝিলের শাপলা চত্বর এলাকা, ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করবে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। এ বিষয়ে মঙ্গলবার তদন্ত সংস্থার উপপরিচালক আতাউর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

মুফতি হারুন ইজহার চৌধূরীর আবেদনে অপরাধের ধরন বলা হয়েছে, হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনকারী নেতাকর্মীদের সমূলে বা আংশিক নির্মূল করার উদ্দেশ্যে এক থেকে ২৪ নম্বর আসামিদের নির্দেশে ও পরিকল্পনায় অন্যান্য আসামিরা শহরব্যাপী ব্ল্যাক আউট করে টিভি চ্যানেল সম্প্রচার বন্ধ ও নিয়ন্ত্রণ করে আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা নির্বিচারে গুলিবর্ষণে হত্যা, লাশগুম করে গণহত্যা চালায় এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে।

আসামির তালিকায় রয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, রাশেদ খান মেনন, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিম, সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, সাবেক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক আইজিপি একেএম শহীদুল হক ও বেনজীর আহমেদ, র‌্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়াউল আহসান, সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, সদস্য মুনতাসীর মামুন ও তুরিন আফরোজ, গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার, একাত্তর টিভির এমডি মোজাম্মেল হক বাবু, সময় টিভির আহমেদ জোবায়ের, এবি নিউজের সুভাষ সিংহ রায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ও দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের নাঈমুল ইসলাম খান, বিজিবির সাবেক ডিজি ও সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ, গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের সাবেক ডিজি এম মনজুর আহমেদসহ অজ্ঞাতনামা কতিপয় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও কতিপয় বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ সদস্য এবং তৎকালীন কয়েকটি ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার নীতি নির্ধারক।

হাসিনাসহ আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা চাইবে তদন্ত সংস্থা: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গণহত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। নিহত তিন শিক্ষার্থীর পরিবার পৃথকভাবে গণহত্যার অভিযোগ এনে এ আসামিদের বিরুদ্ধে তিনটি আবেদন দায়ের করেছে।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার তদন্ত সংস্থার উপপরিচালক আতাউর রহমান সাংবাদিকদের জানান, কোর্ট রিফর্ম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ওনাদের বিরুদ্ধে প্রসিকিউটরের মাধ্যমে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির জন্য আবেদন করবো। প্রসিকিউশন টিমও রিফর্ম করতে হবে।

ট্রাইব্যুনালে মঙ্গলবার পর্যন্ত শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে ৬টি মামলা হয়েছে।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

জমির দলিলের প্রলোভানা দিয়ে গ্রাম পুলিশের নির্দেশে সোনিয়া আক্তার নামে এক নারীকে নির্যাতন করে

শেখ হাসিনা-শাহরিয়ার-ইমরানসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ

আপডেট সময় ১০:২৭:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪

২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে ‘নির্বিচারে হত্যা ও লাশ গুম করে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে আবেদন করা হয়েছে।

এ তালিকায় রাজনীতিবিদ ছাড়াও সাবেক সেনা কর্মকর্তা, সাবেক মন্ত্রী, পুলিশ, সাংবাদিক, আইনজীবী এবং গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠকদের নাম রয়েছে। মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় এ সংক্রান্ত এ আবেদন করেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি হারুন ইজহার চৌধূরী।

তার আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আবেদনে ঘটনার তারিখ হিসেবে ২০১৩ সালের ৫ ও ৬ মে এবং স্থান হিসেবে মতিঝিলের শাপলা চত্বর এলাকা, ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করবে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। এ বিষয়ে মঙ্গলবার তদন্ত সংস্থার উপপরিচালক আতাউর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

মুফতি হারুন ইজহার চৌধূরীর আবেদনে অপরাধের ধরন বলা হয়েছে, হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনকারী নেতাকর্মীদের সমূলে বা আংশিক নির্মূল করার উদ্দেশ্যে এক থেকে ২৪ নম্বর আসামিদের নির্দেশে ও পরিকল্পনায় অন্যান্য আসামিরা শহরব্যাপী ব্ল্যাক আউট করে টিভি চ্যানেল সম্প্রচার বন্ধ ও নিয়ন্ত্রণ করে আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা নির্বিচারে গুলিবর্ষণে হত্যা, লাশগুম করে গণহত্যা চালায় এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে।

আসামির তালিকায় রয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, রাশেদ খান মেনন, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিম, সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, সাবেক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক আইজিপি একেএম শহীদুল হক ও বেনজীর আহমেদ, র‌্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়াউল আহসান, সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, সদস্য মুনতাসীর মামুন ও তুরিন আফরোজ, গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার, একাত্তর টিভির এমডি মোজাম্মেল হক বাবু, সময় টিভির আহমেদ জোবায়ের, এবি নিউজের সুভাষ সিংহ রায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ও দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের নাঈমুল ইসলাম খান, বিজিবির সাবেক ডিজি ও সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ, গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের সাবেক ডিজি এম মনজুর আহমেদসহ অজ্ঞাতনামা কতিপয় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও কতিপয় বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ সদস্য এবং তৎকালীন কয়েকটি ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার নীতি নির্ধারক।

হাসিনাসহ আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা চাইবে তদন্ত সংস্থা: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গণহত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। নিহত তিন শিক্ষার্থীর পরিবার পৃথকভাবে গণহত্যার অভিযোগ এনে এ আসামিদের বিরুদ্ধে তিনটি আবেদন দায়ের করেছে।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার তদন্ত সংস্থার উপপরিচালক আতাউর রহমান সাংবাদিকদের জানান, কোর্ট রিফর্ম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ওনাদের বিরুদ্ধে প্রসিকিউটরের মাধ্যমে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির জন্য আবেদন করবো। প্রসিকিউশন টিমও রিফর্ম করতে হবে।

ট্রাইব্যুনালে মঙ্গলবার পর্যন্ত শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে ৬টি মামলা হয়েছে।