গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়েছেন শেখ হাসিনা। এরপরই আওয়ামী লীগের শীর্ষপর্যায়ের নেতাকর্মীরা গা ঢাকা দিতে শুরু করে। সামাজিকমাধ্যম থেকে সর্বত্র কৌতূহল, কোথায় আছেন আলোচিত সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন।
এবার অজ্ঞাত স্থান থেকে এক ভিডিও বার্তা দিয়েছেন ব্যারিস্টার সুমন। যেখানে দাবি করেন, শুরু থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলন বা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে ছিলেন তিনি। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের নিজের অবস্থান যথাযথভাবে বোঝাতে পারেননি বলে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সরকার পতনের পর রং বদলে ফেললেন আলোচিত এই সাবেক সংসদ সদস্য।
ভিডিওতে সুমন বলেন, ‘আমি শুরু থেকে ছাত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলন বা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কোটা সংস্কারের পক্ষে ছিলাম এবং এই আন্দোলনে যারা আহত-নিহত হয়েছেন, এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের পক্ষেও আমি ছিলাম। কিন্তু আমার ব্যর্থতা হলো, আমি আপনাদের বোঝাতে পারিনি। আমি এই ব্যর্থতার জন্য আমার যারা ফলোয়ার আছেন, আমার কাছে যারা প্রত্যাশা করেছেন সবার কাছে কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছি। ’
গত ১৫ বছরে দেশের বিভিন্ন সেক্টরে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যারা সোচ্চার ছিলেন তাদের মধ্যে নিজেকে অন্যতম বলেছেন ব্যারিস্টার সুমন।
তিনি আরো বলেন, ‘আপনারা এখন যে কাঠামোগত সংস্কার চাচ্ছেন, এই সংস্কারের জন্য আমি বহু বছর আগে থেকে কাজ করে যাচ্ছি। ’
কোটা সংস্কার আন্দোলন যখন সরকার পতনের এক দফায় রুপ নিল, তখন শেখ হাসিনার পক্ষে দাঁড়ানোর ঘােষণা দিয়েছিলেন ব্যারিস্টার সুমন। শেখ হাসিনার পদত্যাগের বিরােধিতাও করেন তিনি।
এর আগে ব্যারিস্টার সুমন বলেছিলেন, ‘যারা ফেসবুকে প্রোফাইল লাল করেছেন, তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই— আমি ততটুকু পর্যন্ত লাল যতটুকু দাবি যৌক্তিক পর্যায়ে ছিল, কোটা সংস্কারের জন্য ছিল, আমি ততটুকু পর্যন্ত লাল ছিলাম। কিন্তু যখন আমার নেত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ চাচ্ছেন এবং ধ্বংসলীলায় মেতে উঠেছেন, তখন আমি আপনাদের পক্ষে নেই। কেননা আপনাদের যেমন আমার নেত্রীর বিরোধিতা করার অধিকার আছে, আমারও আমার নেত্রীর পক্ষে দাঁড়ানোর অধিকার আছে।’
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন সময় নানা সামাজিক ইস্যু নিয়ে ফেসবুকে কথা বলে আলোচনায় উঠে আসেন ব্যারিস্টার সুমন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনে নির্বাচিত হন তিনি।