সাভারে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন (২৯) নিহতের ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানকে প্রধান করে ৩২১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫শ জনকে আসামি করা হয়েছে।
রোববার রাতে নিহত শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেনের বাবা মো. আলমগীর বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রশিদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আসামিদের মধ্যে অন্যতম হলেন- সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজিব, তার ছোট ভাই ইউপি চেয়ারম্যান ফখরুল আলম সমর, সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আতিক, পৌর মেয়র আব্দুল গনি এবং ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাসুদ চৌধুরী।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট সকালে সাভারের আউকপাড়া এলাকার ভাড়া বাসা থেকে শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় কিছু পণ্য কিনতে সাভার বাসস্ট্যান্ডে যান। এ সময় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার ওপর গুলিসহ হামলা চালায় মামলার আসামিরা। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন। পরে তাকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে আইসিওতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় নির্দেশদাতা হিসেবে সাভারের সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম রাজিব, তার ছোট ভাই ইউপি চেয়ারম্যান ফখরুল আলম সমর, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আতিক, পৌর মেয়র আব্দুল গনি, পৌর কাউন্সিলর রমজান আলী, নূরে আলম সিদ্দিকি, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মানিক মোল্লা মশিউর রহমান সম্রাট, মিজানুর রহমান ওরফে জিএস মিজান, সানজিদা আক্তার মুক্তা, মোহসিন বাবু, মিনহাজ উদ্দিন মিনা, এরশাদুর রহমান এরশাদ, মাসুদ চৌধুরী, আব্দুল হালিম, খাটা মনির, টিপু, সুজন মিয়া, রেদোয়ান মোল্লা, আব্দুল্লাহ আল মামুন, কামরুল হাসান শাহীন, মেহেদী হাসান তুষার, দেলোয়ার হোসেন, শিপলু, আহম্মেদ রুবেল, নাসির উদ্দিন লিটনের নামসহ ৩২১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫শ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।