ঢাকা ০৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

নোয়াখালীতে যুবককে গুলি করে হত্যা

নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে পূর্বশত্রুতার জেরে সাঈদ আহমেদ শাহা নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার রাত সাড়ে ৮টার সময় মুহুরীগঞ্জ বাজারে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার বেলা ১১টায় পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন।

নিহতের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার রুমি অভিযোগ করে বলেন, তার স্বামীকে খায়ের মেম্বার, নাসির, শামীমদের ইন্ধনে হত্যা করা হয়েছে।

নিহত সাঈদ আহমেদ শাহা (৩৫) হলেন, উপজেলার দেওটি গ্রামের বড় বাড়ি সেলিমের ছেলে।

স্থানীয় ও পুলিশ জানান, গত ২০১৫ সালে দেওটিতে গুলি করে মিলনকে হত্যা করা হয়। ওই হত্যা মামলার ১ নম্বর আসামি করা হয় সাঈদ আহমেদ শাহাকে। দীর্ঘ ৯ বছর পলাতক থাকার পর ৫ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর এলাকায় এসে প্রভাব বিস্তার করা শুরু করেন সাঈদ। হত্যা মামলার আসামি যারা করছে তাদের দেখে নেবে বলে হুমকি দেন।

রোববার একেই বাড়ির আব্দুল মালেকের ছেলে হুমায়ুনকে মুহুরীগঞ্জ বাজারে তার দোকানে গিয়ে হত্যা মামলার আসামি করছে বলে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করে দুটি পা ভেঙে দেয় সাঈদ। বিকালে খায়ের মেম্বারের অফিস দখল করে মিলাদ মাহফিল ও মিষ্টি বিতরণ করেন। মাগরিবের পর অজ্ঞাত ৩০-৫০ জন সন্ত্রাসী এসে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে তার অফিসে।

এতে অফিসের ভিতরে থাকা অনেকেই গুলি বিদ্ধ হন। এশার নামাজের পর সাঈদ মুহুরীগঞ্জ ঈদগা ময়দানের পাশে গুলি বৃদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন। মৃত্যু নিশ্চিত করে দুর্বৃত্তরা চলে যায় ফাঁকা গুলি করতে করতে।

এ বিষয়ে খায়ের মেম্বার জানান, আমি এ হত্যাকাণ্ডের কিছুই জানি না; আমি কুমিল্লাতে আছি আজকে তিন দিন যাবত।

এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তার স্ত্রী ফাতেমা আক্তার রুমি জানান, আমার স্বামীকে বিনা অপরাধে মিলন হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি করেছেন দেলোয়ার, হুমায়ুন, মোশারফ, খায়ের মেম্বার, সজিবসহ অনেকেই। আমরা দীর্ঘ ৯ বছর ঢাকাতে অনাহারে আছি, মামলার হাজিরা দিতে দিতে আমাদের সব শেষ। আমার স্বামী বাড়িতে আসছে শুনে এরা পরিকল্পিতভাবে আমার স্বামীকে গুলি করে হত্যা করেছে। আমি দুটি সন্তান নিয়ে কিভাবে বাঁচব। আল্লাহ এই হত্যাকাণ্ডের বিচার করুন বলতে বলতে কাঁদতে থাকেন।

সোনাইমুড়ি থানার ওসি বৈখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, লাশ উদ্ধার করে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করেছি। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। হত্যাকারীদের আটকের চেষ্টা চলছে।

 

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

জমির দলিলের প্রলোভানা দিয়ে গ্রাম পুলিশের নির্দেশে সোনিয়া আক্তার নামে এক নারীকে নির্যাতন করে

নোয়াখালীতে যুবককে গুলি করে হত্যা

আপডেট সময় ১০:৫৪:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪

নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে পূর্বশত্রুতার জেরে সাঈদ আহমেদ শাহা নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার রাত সাড়ে ৮টার সময় মুহুরীগঞ্জ বাজারে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার বেলা ১১টায় পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন।

নিহতের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার রুমি অভিযোগ করে বলেন, তার স্বামীকে খায়ের মেম্বার, নাসির, শামীমদের ইন্ধনে হত্যা করা হয়েছে।

নিহত সাঈদ আহমেদ শাহা (৩৫) হলেন, উপজেলার দেওটি গ্রামের বড় বাড়ি সেলিমের ছেলে।

স্থানীয় ও পুলিশ জানান, গত ২০১৫ সালে দেওটিতে গুলি করে মিলনকে হত্যা করা হয়। ওই হত্যা মামলার ১ নম্বর আসামি করা হয় সাঈদ আহমেদ শাহাকে। দীর্ঘ ৯ বছর পলাতক থাকার পর ৫ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর এলাকায় এসে প্রভাব বিস্তার করা শুরু করেন সাঈদ। হত্যা মামলার আসামি যারা করছে তাদের দেখে নেবে বলে হুমকি দেন।

রোববার একেই বাড়ির আব্দুল মালেকের ছেলে হুমায়ুনকে মুহুরীগঞ্জ বাজারে তার দোকানে গিয়ে হত্যা মামলার আসামি করছে বলে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করে দুটি পা ভেঙে দেয় সাঈদ। বিকালে খায়ের মেম্বারের অফিস দখল করে মিলাদ মাহফিল ও মিষ্টি বিতরণ করেন। মাগরিবের পর অজ্ঞাত ৩০-৫০ জন সন্ত্রাসী এসে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে তার অফিসে।

এতে অফিসের ভিতরে থাকা অনেকেই গুলি বিদ্ধ হন। এশার নামাজের পর সাঈদ মুহুরীগঞ্জ ঈদগা ময়দানের পাশে গুলি বৃদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন। মৃত্যু নিশ্চিত করে দুর্বৃত্তরা চলে যায় ফাঁকা গুলি করতে করতে।

এ বিষয়ে খায়ের মেম্বার জানান, আমি এ হত্যাকাণ্ডের কিছুই জানি না; আমি কুমিল্লাতে আছি আজকে তিন দিন যাবত।

এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তার স্ত্রী ফাতেমা আক্তার রুমি জানান, আমার স্বামীকে বিনা অপরাধে মিলন হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি করেছেন দেলোয়ার, হুমায়ুন, মোশারফ, খায়ের মেম্বার, সজিবসহ অনেকেই। আমরা দীর্ঘ ৯ বছর ঢাকাতে অনাহারে আছি, মামলার হাজিরা দিতে দিতে আমাদের সব শেষ। আমার স্বামী বাড়িতে আসছে শুনে এরা পরিকল্পিতভাবে আমার স্বামীকে গুলি করে হত্যা করেছে। আমি দুটি সন্তান নিয়ে কিভাবে বাঁচব। আল্লাহ এই হত্যাকাণ্ডের বিচার করুন বলতে বলতে কাঁদতে থাকেন।

সোনাইমুড়ি থানার ওসি বৈখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, লাশ উদ্ধার করে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করেছি। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। হত্যাকারীদের আটকের চেষ্টা চলছে।