রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মাদার বখশ হল থেকে এক ছাত্রলীগের অস্ত্রভর্তি ট্রাঙ্ক অন্যত্র সরানোর অভিযোগে একই সংগঠনের দুজন কর্মীকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে ওই হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। তবে অভিযুক্তদের দাবি, ট্রাঙ্কটিতে আরেক ছাত্রলীগ কর্মীর ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ছিল।
সোমবার ভোরে তাদের মতিহার থানায় হস্তান্তর করা হয় বলে জানান ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মীরা হলেন পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের ২০২০-২১ বর্ষের শিক্ষার্থী সিফাত হাসান ও দর্শন বিভাগের ২০২১-২২ বর্ষের শিক্ষার্থী মাকসুদ ভুইয়া।
মাদার বখশ হলের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, রোববার রাতে সিফাত এবং মাকসুদের সহায়তায় রাসেল নামে আরেক ছাত্রলীগ কর্মীর মাধ্যমে হলের ২০১ নং কক্ষ থেকে একটি অস্ত্রভর্তি ট্রাঙ্ক হলের বাইরে সরিয়ে ফেলা হয়। রাত দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত দুজনকে গাছের সঙ্গে বেঁধে হলের সাবেক আবাসিক শিক্ষক ও ফোকলোর বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম কনককে জানান।
ড. আমিরুল ইসলাম বলেন, ওরা কারও পরামর্শে বা কারও সঙ্গে যোগাযোগ করে এসেছে কি না তা যাচাই এবং নিরাপত্তার জন্য আমরা ওদেরকে প্রশাসনের হাতে তুলে দিয়েছি।
ওসি আরিফুল ইসলাম বলেন, তদন্তে আটকরা দোষী সাব্যস্ত হলে আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।