চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটকারীরা দুর্বৃত্ত এবং সুযোগসন্ধানী। তাদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া যাবে না। দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর প্রেস ক্লাবে যে ঘটনা ঘটছে তা দুঃখজনক এবং নিন্দনীয়। এ ধরনের ঘটনার মধ্য দিয়ে দুষ্কৃতকারীরা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চায়। ছাত্রজনতার আত্মত্যাগের বিনিময়ে যে অর্জন তা বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।
রোববার চট্টগ্রাম সিনিয়র্স ক্লাবে আয়োজিত আয়োজিত সাংবাদিক সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। এ সময় তারা দেশ ও জাতির পাশাপাশি চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষার্থে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি সালাহউদ্দিন মো. রেজার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশে বহুবার রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ছাড়াও অনেক অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব প্রতিষ্ঠার ৬২ বছরের ইতিহাসে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেনি। দুর্বৃত্তরা ৫, ৬ ও ১২ আগস্ট দফায় দফায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবকে আক্রান্ত করেছে। সর্বশেষ গত ১৪ আগস্ট গেইট, গ্রিল ভেঙে প্রেস ক্লাবের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে পুরো প্রেস ক্লাব ভাঙচুর ও লুটতরাজের মাধ্যমে অপূরণীয় ক্ষতি সাধন করা হয়েছে।
ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে বহিরাগতদের একের পর এক হামলায় নানা মহলে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা বিরাজ করছে; যা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর মতো। এ ব্যাপারে বক্তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
বক্তারা বলেন, বর্তমানে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে নতুন সদস্য পদ প্রদানের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পেশাদার সাংবাদিকদের নিয়মতান্ত্রিকভাবে সদস্য পদের জন্য আবেদনের সুযোগ রয়েছে।
সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক।
যুগ্ম সম্পাদক শহীদুল্লাহ শাহরিয়ারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি তপন চক্রবর্তী, বিএফইউজের সহসভাপতি শহীদ উল আলম, সিইউজে সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম প্রমুখ।