ঢাকা ০৯:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দাউদকান্দি উপজেলা নবাগত ইউএন ও এসিল্যান্ড ভূমি ও পৌর প্রশাসক মো: জিয়াউর রহমান কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময় ভোলায় আজকের পত্রিকার পাঠক বন্ধুর উদ্যোগে মাদক বিরোধী র‌্যালি,সেমিনার ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নতুন ব্রিজ এলাকায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে পথচারী জমির দলিলের প্রলোভানা দিয়ে গ্রাম পুলিশের নির্দেশে সোনিয়া আক্তার নামে এক নারীকে নির্যাতন করে আমরা আর কোনো অবিচার চাই না’ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালককে বদলি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রংপুরে বিক্ষোভ রিমান্ডে যেসব চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সাবেক ২ আইজিপি বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ফের উত্তাল আশুলিয়া, বন্ধ ৫২ কারখানা ট্রাইব্যুনালে প্রথমবার হাসিনার বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ

হাসিনার পতনের পর শেখ পরিবারের কে কোথায়?

হাসিনার পতনের পর শুধু আওয়ামী লীগ সরকার নয়, হারিয়ে গেছে শেখ পরিবার। ৫ আগস্ট দুপুরে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়তে শেখ হাসিনা সময় পেয়েছিলেন মাত্র ৪৫ মিনিট। দেশ থেকে শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারত গেলেও তার পরিবারের সদস্যরা কে কোথায় তা নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের দলীয় মন্ত্রী-এমপি এবং সিনিয়র নেতারা কে কোথায় গেছেন এই জিজ্ঞাসা অনেকের।

জানা গেছে, শেখ পরিবারের কয়েকজন সদস্যও ৫ আগস্টের আগেই দেশ ছাড়েন। রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বঙ্গবন্ধু পরিবারের বেশির ভাগ সদস্যই এখন আর দেশে নেই। ৫ আগস্টের আগে-পরে তারা দেশ ছেড়ে যান।

একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট দুপুরে তড়িঘড়ি পদত্যাগ করে সামরিক বিমানে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা। ওই দিন তারা দুজনই গণভবনে ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ছাড়া পরিবারের আর কোনো সদস্য তখন দেশে ছিলেন না। থাকলে তারা ওই বিমানেই দেশ ছাড়তেন।

শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দিল্লিতে কর্মরত। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের সময় তিনি দিল্লিতেই ছিলেন। দিল্লিতে যাওয়ার পর তার মা এবং খালার সঙ্গে সায়মার সাক্ষাৎ হয়। লন্ডনে বসবাস করা শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটিশ মন্ত্রী। শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক সরকার পতনের সময় দেশে ছিলেন না।

বঙ্গবন্ধু পরিবারের আরেক সদস্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপস সরকার পতনের দুদিন আগে সিঙ্গাপুর চলে যান। ৩ জুলাই ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি দেশ ছাড়েন। শনিবার সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ওই ফ্লাইটটি সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

শেখ ফজলে নূর তাপসের বড়ভাই শেখ ফজলে শামস পরশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান। তিনি দেশে আছেন নাকি বিদেশে- এ নিয়ে সংগঠনের কারও কাছে তথ্য নেই। যুবলীগের একজন নেতা শনিবার একটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ফজলে শামস পরশও দেশে নেই। আন্দোলন চলাকালে কোনো এক সময় তিনি বিদেশে গেছেন।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম দেশে নাকি বিদেশে এ নিয়ে ধূম্রজাল রয়েছে। সূত্রের দাবি তিনি দেশ ছেড়ে যেতে পারেননি।

বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য হিসেবে বরিশালে প্রভাবশালী নেতা ছিলেন আবদুল হাসানাত আব্দুল্লাহ। ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলন শুরুর সময়েই তিনি ছোট ছেলেকে নিয়ে ভারতে চলে যান। আজমীর শরীফ ভ্রমণে যাবেন এমনটা বলে তিনি দেশ ছাড়েন। তার আরেক ছেলে বরিশাল সিটির সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ এবং আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর ছোট ভাই সিটির বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ দেশেই আত্মগোপনে আছেন।

বাগেরহাট-১ আসনের সাবেক এমপি শেখ হেলাল সরকার পতনের আগেই দেশ ছাড়েন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছেন। তিনি দেশ ছাড়লেও তার ছেলে বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক এমপি শেখ সারহান নাসের তন্ময় দেশেই আত্মগোপনে আছেন। শেখ হেলালের ভাই খুলনা-২ আসনের সাবেক এমপি শেখ সালাউদ্দীন জুয়েলকে সরকার পতনের পর টুঙ্গিপাড়ায় দেখা গেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এরপর থেকে তিনি আত্মগোপনে। তিনি দেশে নাকি বিদেশে চলে গেছেন তা স্পষ্ট নয়।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

দাউদকান্দি উপজেলা নবাগত ইউএন ও এসিল্যান্ড ভূমি ও পৌর প্রশাসক মো: জিয়াউর রহমান কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময়

হাসিনার পতনের পর শেখ পরিবারের কে কোথায়?

আপডেট সময় ০৪:২১:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪

হাসিনার পতনের পর শুধু আওয়ামী লীগ সরকার নয়, হারিয়ে গেছে শেখ পরিবার। ৫ আগস্ট দুপুরে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়তে শেখ হাসিনা সময় পেয়েছিলেন মাত্র ৪৫ মিনিট। দেশ থেকে শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারত গেলেও তার পরিবারের সদস্যরা কে কোথায় তা নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের দলীয় মন্ত্রী-এমপি এবং সিনিয়র নেতারা কে কোথায় গেছেন এই জিজ্ঞাসা অনেকের।

জানা গেছে, শেখ পরিবারের কয়েকজন সদস্যও ৫ আগস্টের আগেই দেশ ছাড়েন। রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বঙ্গবন্ধু পরিবারের বেশির ভাগ সদস্যই এখন আর দেশে নেই। ৫ আগস্টের আগে-পরে তারা দেশ ছেড়ে যান।

একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট দুপুরে তড়িঘড়ি পদত্যাগ করে সামরিক বিমানে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা। ওই দিন তারা দুজনই গণভবনে ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ছাড়া পরিবারের আর কোনো সদস্য তখন দেশে ছিলেন না। থাকলে তারা ওই বিমানেই দেশ ছাড়তেন।

শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দিল্লিতে কর্মরত। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের সময় তিনি দিল্লিতেই ছিলেন। দিল্লিতে যাওয়ার পর তার মা এবং খালার সঙ্গে সায়মার সাক্ষাৎ হয়। লন্ডনে বসবাস করা শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটিশ মন্ত্রী। শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক সরকার পতনের সময় দেশে ছিলেন না।

বঙ্গবন্ধু পরিবারের আরেক সদস্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপস সরকার পতনের দুদিন আগে সিঙ্গাপুর চলে যান। ৩ জুলাই ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি দেশ ছাড়েন। শনিবার সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ওই ফ্লাইটটি সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

শেখ ফজলে নূর তাপসের বড়ভাই শেখ ফজলে শামস পরশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান। তিনি দেশে আছেন নাকি বিদেশে- এ নিয়ে সংগঠনের কারও কাছে তথ্য নেই। যুবলীগের একজন নেতা শনিবার একটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ফজলে শামস পরশও দেশে নেই। আন্দোলন চলাকালে কোনো এক সময় তিনি বিদেশে গেছেন।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম দেশে নাকি বিদেশে এ নিয়ে ধূম্রজাল রয়েছে। সূত্রের দাবি তিনি দেশ ছেড়ে যেতে পারেননি।

বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য হিসেবে বরিশালে প্রভাবশালী নেতা ছিলেন আবদুল হাসানাত আব্দুল্লাহ। ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলন শুরুর সময়েই তিনি ছোট ছেলেকে নিয়ে ভারতে চলে যান। আজমীর শরীফ ভ্রমণে যাবেন এমনটা বলে তিনি দেশ ছাড়েন। তার আরেক ছেলে বরিশাল সিটির সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ এবং আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর ছোট ভাই সিটির বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ দেশেই আত্মগোপনে আছেন।

বাগেরহাট-১ আসনের সাবেক এমপি শেখ হেলাল সরকার পতনের আগেই দেশ ছাড়েন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছেন। তিনি দেশ ছাড়লেও তার ছেলে বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক এমপি শেখ সারহান নাসের তন্ময় দেশেই আত্মগোপনে আছেন। শেখ হেলালের ভাই খুলনা-২ আসনের সাবেক এমপি শেখ সালাউদ্দীন জুয়েলকে সরকার পতনের পর টুঙ্গিপাড়ায় দেখা গেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এরপর থেকে তিনি আত্মগোপনে। তিনি দেশে নাকি বিদেশে চলে গেছেন তা স্পষ্ট নয়।