ঢাকা ০১:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দাউদকান্দি উপজেলা নবাগত ইউএন ও এসিল্যান্ড ভূমি ও পৌর প্রশাসক মো: জিয়াউর রহমান কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময় ভোলায় আজকের পত্রিকার পাঠক বন্ধুর উদ্যোগে মাদক বিরোধী র‌্যালি,সেমিনার ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নতুন ব্রিজ এলাকায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে পথচারী জমির দলিলের প্রলোভানা দিয়ে গ্রাম পুলিশের নির্দেশে সোনিয়া আক্তার নামে এক নারীকে নির্যাতন করে আমরা আর কোনো অবিচার চাই না’ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালককে বদলি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রংপুরে বিক্ষোভ রিমান্ডে যেসব চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সাবেক ২ আইজিপি বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ফের উত্তাল আশুলিয়া, বন্ধ ৫২ কারখানা ট্রাইব্যুনালে প্রথমবার হাসিনার বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ

আন্দোলন নিয়ে তাসরিফ খানকে হুমকি, যা বললেন সোলায়মান সুখন

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার পক্ষে সরব ছিলেন তাসরিফ খান। তার গান ‘রাজার রাজ্যে সবাই গোলাম’ সামাজিক মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পায়।

আন্দোলনে সমর্থন দেওয়ার কারণে সে সময় বিভিন্ন মহল থেকে চাপও এসেছে তাসরিফের ওপর। সম্প্রতি এক ফেসবুক পোস্টে কারও নাম না নিয়েই সেসব কথা শেয়ার করেছেন তিনি। পোস্টে একজন সিনিয়র ইনফ্লুয়েন্সারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন।

তবে যেহেতু তাসরিফ পোস্টে কারও নাম উল্লেখ করেননি, তাই নিশ্চিত হওয়া যায়নি তিনি কার দিকে ইঙ্গিত করেছেন। তবে নেটিজনদের একাংশ ধারণা করছেন ওই সিনিয়র ইনফ্লুয়েন্সার সোলায়মান সুখন।

সামাজিক মাধ্যমে তার বিষয়ে এমন খবর চাউর হওয়ার পর সোলায়মান সুখন গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমি কেন একজনকে হুমকি-ধমকি দিতে যাব। আমার এই বয়সে কি এটা যায়। আমি একটা চাকরি করি। অনেক চাপ আছে। বাচ্চারা অনেক কিছু লিখছে। লিখুক। আমার আসলে আর কিছু বলার নেই।

সোলায়মান সুখন যোগ করেন, ‘গত ১১ বছর কিন্তু আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলেই গেছি। আজকে রাস্তা এমন কেন, ময়লা কেন, নদীতে দূষণ কেন, এসব কিন্তু বলেছি। হয়তো স্থান-কাল-পাত্রভেদে যে পরিমাণ বলিষ্ঠতা থাকা দরকার সেভাবে ছিল না। সেই অপারগতা আমাদের বয়ে বেড়াতে হবে। আমি ছাত্রদের পক্ষ নিয়ে ১১ জুলাই একটা পোস্ট করেছিলাম। তার পর থেকে পেশাগত জায়গা থেকে আমাদের একটা চাপ ছিল। এরপর আমি কোনো কিছুর সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। এ কারণে অনেকেই আমার ওপর রাগও করেছেন। অনেকেই বলেছেন, আপনি তরুণদের নিয়ে এত কথা বলেন, কিন্তু আন্দোলনে তো যুক্ত ছিলেন না। আমি এখনো কোনো কথা বলছি না। নিজে বোঝার চেষ্টা করছি। কোনটা বলা উচিত, কোনটা বলা উচিত নয়।’

তাসরিফ খানের অভিযোগ, আন্দোলন চলাকালে একটা এজেন্সি ও সরকারি সংস্থার লোকজন মিলে তার বাসার নিচে গিয়ে তাকে ওই সময়ের শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষে ভিডিও করার জন্য টাকা ও হুমকি দিয়ে এসেছিলেন। এসবের পেছনে অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছেন সিনিয়র একজন ইনফ্লুয়েন্সার। ঘটনার দিন তার ডাকেই বাসার নিচে নেমে এসেছিলেন তিনি।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

দাউদকান্দি উপজেলা নবাগত ইউএন ও এসিল্যান্ড ভূমি ও পৌর প্রশাসক মো: জিয়াউর রহমান কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময়

আন্দোলন নিয়ে তাসরিফ খানকে হুমকি, যা বললেন সোলায়মান সুখন

আপডেট সময় ১১:৪০:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৪

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার পক্ষে সরব ছিলেন তাসরিফ খান। তার গান ‘রাজার রাজ্যে সবাই গোলাম’ সামাজিক মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পায়।

আন্দোলনে সমর্থন দেওয়ার কারণে সে সময় বিভিন্ন মহল থেকে চাপও এসেছে তাসরিফের ওপর। সম্প্রতি এক ফেসবুক পোস্টে কারও নাম না নিয়েই সেসব কথা শেয়ার করেছেন তিনি। পোস্টে একজন সিনিয়র ইনফ্লুয়েন্সারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন।

তবে যেহেতু তাসরিফ পোস্টে কারও নাম উল্লেখ করেননি, তাই নিশ্চিত হওয়া যায়নি তিনি কার দিকে ইঙ্গিত করেছেন। তবে নেটিজনদের একাংশ ধারণা করছেন ওই সিনিয়র ইনফ্লুয়েন্সার সোলায়মান সুখন।

সামাজিক মাধ্যমে তার বিষয়ে এমন খবর চাউর হওয়ার পর সোলায়মান সুখন গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমি কেন একজনকে হুমকি-ধমকি দিতে যাব। আমার এই বয়সে কি এটা যায়। আমি একটা চাকরি করি। অনেক চাপ আছে। বাচ্চারা অনেক কিছু লিখছে। লিখুক। আমার আসলে আর কিছু বলার নেই।

সোলায়মান সুখন যোগ করেন, ‘গত ১১ বছর কিন্তু আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলেই গেছি। আজকে রাস্তা এমন কেন, ময়লা কেন, নদীতে দূষণ কেন, এসব কিন্তু বলেছি। হয়তো স্থান-কাল-পাত্রভেদে যে পরিমাণ বলিষ্ঠতা থাকা দরকার সেভাবে ছিল না। সেই অপারগতা আমাদের বয়ে বেড়াতে হবে। আমি ছাত্রদের পক্ষ নিয়ে ১১ জুলাই একটা পোস্ট করেছিলাম। তার পর থেকে পেশাগত জায়গা থেকে আমাদের একটা চাপ ছিল। এরপর আমি কোনো কিছুর সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। এ কারণে অনেকেই আমার ওপর রাগও করেছেন। অনেকেই বলেছেন, আপনি তরুণদের নিয়ে এত কথা বলেন, কিন্তু আন্দোলনে তো যুক্ত ছিলেন না। আমি এখনো কোনো কথা বলছি না। নিজে বোঝার চেষ্টা করছি। কোনটা বলা উচিত, কোনটা বলা উচিত নয়।’

তাসরিফ খানের অভিযোগ, আন্দোলন চলাকালে একটা এজেন্সি ও সরকারি সংস্থার লোকজন মিলে তার বাসার নিচে গিয়ে তাকে ওই সময়ের শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষে ভিডিও করার জন্য টাকা ও হুমকি দিয়ে এসেছিলেন। এসবের পেছনে অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছেন সিনিয়র একজন ইনফ্লুয়েন্সার। ঘটনার দিন তার ডাকেই বাসার নিচে নেমে এসেছিলেন তিনি।