গত ১১ আগষ্ট রাজাপুর থানার কানুনিয়া গ্রামের মনিরুজ্জামান মনিরের নানা অপকর্মগুলো বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এবং বেড়িয়ে আসে আরও অনেক লোমহর্ষক ঘটনা।
জানা গেছে কিশোর বয়স থেকেই অগণিত ধর্ষণ ও যৌন হয়রানি মূলক কর্মকান্ডে জরিত এই মানুষ রুপি পিচাশ মনির। এলাকার তরুণী কিশোরী সহ নানা ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় প্রতারণার ফাদে ফেলে ইজ্জত কেড়ে নিয়েছে অনেক হিন্দু নারীদের সেই সাথে তাদের পরিবারকে করেছে এলাকা ছাড়া।
স্থানীয় গোপন সূত্রে জানা গেছে- মাস তিনেক আগে রাড়ির পাশের এক দরিদ্র হিন্দু মহিলাকে(৪০) রাতে বাড়িতে একা পেয়ে মনির ও তার বেতনভুক্ত কিছু কর্মচারী ও শ্রমিকদের নিয়ে বাড়ি ঘেরাও করে পাহারা বসায় এবং জোরপূর্বক ধর্ষন করে। ওই মহিলার ছোট মেয়ে(১৫) বিষয়টা দেখে ফেললে তাকেও মুখ বেধে ধর্ষন করে। মেয়েটির শারিরীক অবস্থা বেগতিক দেখে তার পরিবার পুলিশকে জানানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এমতাবস্থায় মনির তাদেরকে নানা রকম ভয়ভীতি দেখিয়ে বাধা দেয় এবং কিছু নগদ অর্থ প্রদান করে। সেই সাথে গোপনে তাদের চিকিৎসা ব্যাবস্থা করে।
আরও জানা গেছে পাড়া প্রতিবেশী ছাড়াও নিজ আপন আত্নীয় স্বজনও তার প্রতারণার শিকার হয়ছে বহুবার। কিন্তু ব্যাপারগুলো খুব স্পর্শকাতর ও মান সম্মান জড়িত থাকায় কেউ কখনো মুখ খুলেনি এবং নিজ সম্মান রক্ষার্থে সবার থেকে আড়াল করে গেছে।
এই মনির নিজ শ্বশুর বাড়িতেও বাধিয়েছেন তুলকালাম। নিজ শালিকা শেফালি আক্তার ও তার বড় বোন শাহানাজ বেগমকেও সে দীর্ঘদিন যাবত ব্লাকমেইলের মাধ্যমে একাধারে ধর্ষণ করে আসছে। বিষয়টি পরিবারে জানাজানি হলে তারা লোকলজ্জার ভয়ে প্রকাশ না করলেও মনিরকে নানা ভাবে অপমান করে সেখান থেকে বিতাড়িত করে এবং সে সেখানে কানে ধরে মাফ চেয়ে নিজেকে সংশোধনের প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু পরবর্তীতে সে নিজ শেলক শরিফুল ইসলাম ও তার বড় ভাই বুলবুল ইসলামের স্ত্রীকে পুনরায় কুপ্রস্তাব দিলে তাকে এক প্রকার মারধর করে এবং জুতা পেটা করে তারা।
তাতেও সে ক্ষান্ত হননি নিজের যৌন লালসার শিকার করেছে নিজ বাড়ির অসহায় ভাড়াটিয়া, ঘরের কাজের মেয়ে সহ এলাকায় গার্মেন্টসের কর্মরত নিরীহ যুবতীদেরকে।
সম্প্রতি গাজিপুরের সাইনবোর্ডে ভাড়াটিয়ার স্ত্রীর সাথে কুকর্মে হাতে না হাতে ধরা পড়ায় তাকে এলাকা ছাড়তে হয় এবং পালিয়ে আসে গ্রামে।
এখানে এসে নতুন জাল বিছিয়ে সর্বনাশ করছে বহু পরিবারকে।বেশির ভাগ টার্গেট তার হিন্দু তরুণীরা। শুধু তারাই নয় বয়সের কোনো বাছ-বিচার নেই তার কাছে। তাই মান সম্মান হারানোর ভয় থাকায় সবাই বিষয়গুলো আড়াল করে আর সেই সুযোগটা কে কাজে লাগিয়ে শত শত ধর্ষন করেও বুক ফুলিয়ে এলাকা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এই ধর্ষক মনির।
ন্যায্য বিচার হচ্ছে না এই পাপীর দাবি এলাকাবাসীর। তাই বেশির ভাগ মানুষ তার অত্যাচারগুলো লজ্জায় ও আত্নসম্মান বাচাতে মুখ বুঝে সহ্য করে যাচ্ছে দিনের পর দিন। নিরবে অশ্রুসিক্ত চোখে স্রষ্টার কাছে একটাই প্রার্থনা সবার কবে মুক্তি মিলবে এই ভয়ংকর নরপশুর হাত থেকে আর আদৌও কি মিলবে সঠিক ও ন্যায় বিচার! এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।
এসব অভিযোগের বিষয়ে ফোনে ধরলে, নিজে ফোন না ধরে তার মেয়েকে দিয়ে ফোনে রিসিভ করে। কিন্তু কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয় না।