ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে মরিয়া ইরান। দেশটি ইসরায়েলে হামলা চালানোর সিদ্ধান্তে এখনো অটল। তবে সেই গাজা যুদ্ধই তেহরানকে ধ্বংসাত্মক কাজ থেকে বিরত রাখতে পারে।
রয়টার্সকে ইরানের তিন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ সূত্র জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি ইরানের সিদ্ধান্ত বদল করতে পারে। নয়তো পশ্চিমা দেশগুলোর কোনো হুমকি বা অনুরোধ ইরানকে বিরত রাখতে পারবে না।
সূত্র অনুযায়ী, ইরান যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। কিন্তু যুদ্ধবিরতির দিকে এখনো দেশটি তাকিয়ে আছে। চুক্তির সম্ভাবনা ব্যর্থ হলে বা আরও বিলম্ব হলে ইরান সরাসরি ইসরায়েলে হামলা করবে। তাদের সঙ্গে হিজবুল্লাহ, হুতি, সিরিয়ার মিলিশিয়া, ইরাকে অবস্থানরত ইরানপন্থি যোদ্ধারাও যোগ দিতে পারে। ফলে ইসরায়েল এবার খুব সহজে পার পাবে না।
ইরানের একজন জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, গাজা নিয়ে শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হলে ইসরায়েলে সরাসরি হামলা চালাতে পারে ইরান। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে আলোচনা বিলম্বিত করার চেষ্টা করা হলেও একই পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে হামলার ধরন সম্পর্কে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি।
এদিকে শোনা যাচ্ছে, হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের পর চুপ থাকার আড়ালে যুদ্ধপ্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে দেশটি। বলা হচ্ছে, হামলার সম্ভাব্য তারিখের হিসাব-নিকাশে ঘুরছে ১৫ আগস্ট।
হানিয়ার হত্যার দায় চাপিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের চরম শত্রু ইসরায়েলকে গুঁড়িয়ে দিতে চায় মাসুদ পেজেশকিয়ানের সরকার। এখন সম্ভাব্য হামলার আতঙ্কে দিন কাটছে ইসরায়েলিদের।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ইরানের সামরিক প্রস্তুতি দেখে মনে হয়েছে ইসরায়েলে বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা করছে তেহরান। তবে ঠিক কবে ইরান হামলা চালাবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।
অ্যাক্সিওসের রিপোর্টার বারাক রাভিড বলেন, আগামী ১৫ আগস্টের আগেই এ হামলা চালাতে পারে ইরান। ওই দিন গাজার যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারের আলোচনায় বসার কথা রয়েছে।