ঢাকা ০৫:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দাউদকান্দি উপজেলা নবাগত ইউএন ও এসিল্যান্ড ভূমি ও পৌর প্রশাসক মো: জিয়াউর রহমান কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময় ভোলায় আজকের পত্রিকার পাঠক বন্ধুর উদ্যোগে মাদক বিরোধী র‌্যালি,সেমিনার ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নতুন ব্রিজ এলাকায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে পথচারী জমির দলিলের প্রলোভানা দিয়ে গ্রাম পুলিশের নির্দেশে সোনিয়া আক্তার নামে এক নারীকে নির্যাতন করে আমরা আর কোনো অবিচার চাই না’ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালককে বদলি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রংপুরে বিক্ষোভ রিমান্ডে যেসব চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সাবেক ২ আইজিপি বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ফের উত্তাল আশুলিয়া, বন্ধ ৫২ কারখানা ট্রাইব্যুনালে প্রথমবার হাসিনার বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ

ঢাবিতে ‘রাত দখল করো নারী’ কর্মসূচি

গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ধর্ষণ মামলার সুষ্ঠু তদন্ত, বিচার দাবি এবং কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে চলমান প্রতিবাদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ‘রাত দখল করো নারী’ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। তারা মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন।

শুক্রবার রাত ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে জড়ো হন। এ সময় কয়েকজন শিক্ষক ও বিশিষ্টজন তাদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেন।

এ সময় তারা ‘গুঁড়িয়ে দেব পিতৃতন্ত্র, কেঁপে উঠবে রাষ্ট্রযন্ত্র,’ ‘পোশাকের বাহানায়, পার পাবে না কোনো পিশাচ’, ‘প্রশ্ন যখন স্বাধীনতার, বাংলা জুড়ে ওয়েদ্দেদার’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড হাতে প্রতিবাদ জানান।

ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষক তানিয়া মাহমুদা তিন্নি বলেন, ভারত এবং বাংলাদেশ স্বাধীনতার এত বছর পরেও নারী বান্ধব নয়। প্রীতিলতার মতো নারী যোদ্ধারা যারা পুরুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছেন, তারা কি এই স্বাধীনতা চেয়েছিলেন? স্বাধীনতার পর দীর্ঘ সময় বাংলাদেশে নারী প্রধানমন্ত্রী থাকলেও তারা তৃণমূলের নারীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা, নতুন বাংলাদেশ চাই যেখানে নারীদের সমান অধিকারের আইন বিদ্যমান থাকবে।

তিনি বলেন, দেশের সরকার প্রধানরা কখনো নারীদের জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারিনি। আমরা এমন একটা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চাই, যারা ইয়াসমিনের মতো মেয়েকে হত্যা করবে না। আমাদের আইনকে নারীবান্ধব বলতে পারি না। এটা এখনো বৈষম্য জিইয়ে রেখেছে, ফলে নারীরা সমান সুযোগ পায় না। আমরা নতুন দেশে এমন আইন চাই, যা নারীদের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করবে। আমরা মানবাধিকার পেলে নারীর অধিকারের জন্য রাস্তায় নামতে হতো না।

নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আনিয়া ফাহমিন বলেন, বাংলাদেশেও অসংখ্য ধর্ষণের ঘটনার মামলা হয় না। অনেক ঘটনার মামলা হলেও সেটির কোনো বিচার হয় না। আমরা চাই, এমন ঘটনা যেন না হয় বা হলেও যেন ভুক্তভোগী নারী যেন তার বিচার পায়। আর জি করের ঘটনা থেকে আমাদের উপলব্ধি হয়েছে যে আমাদের দেশেও বছরের পর বছর ধরে ঘটে আসছে। ধর্ষণের ঘটনা সামনে আসলেও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি সামনে আসে না।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

দাউদকান্দি উপজেলা নবাগত ইউএন ও এসিল্যান্ড ভূমি ও পৌর প্রশাসক মো: জিয়াউর রহমান কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময়

ঢাবিতে ‘রাত দখল করো নারী’ কর্মসূচি

আপডেট সময় ১১:২৮:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৪

গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ধর্ষণ মামলার সুষ্ঠু তদন্ত, বিচার দাবি এবং কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে চলমান প্রতিবাদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ‘রাত দখল করো নারী’ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। তারা মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন।

শুক্রবার রাত ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে জড়ো হন। এ সময় কয়েকজন শিক্ষক ও বিশিষ্টজন তাদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেন।

এ সময় তারা ‘গুঁড়িয়ে দেব পিতৃতন্ত্র, কেঁপে উঠবে রাষ্ট্রযন্ত্র,’ ‘পোশাকের বাহানায়, পার পাবে না কোনো পিশাচ’, ‘প্রশ্ন যখন স্বাধীনতার, বাংলা জুড়ে ওয়েদ্দেদার’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড হাতে প্রতিবাদ জানান।

ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষক তানিয়া মাহমুদা তিন্নি বলেন, ভারত এবং বাংলাদেশ স্বাধীনতার এত বছর পরেও নারী বান্ধব নয়। প্রীতিলতার মতো নারী যোদ্ধারা যারা পুরুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছেন, তারা কি এই স্বাধীনতা চেয়েছিলেন? স্বাধীনতার পর দীর্ঘ সময় বাংলাদেশে নারী প্রধানমন্ত্রী থাকলেও তারা তৃণমূলের নারীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা, নতুন বাংলাদেশ চাই যেখানে নারীদের সমান অধিকারের আইন বিদ্যমান থাকবে।

তিনি বলেন, দেশের সরকার প্রধানরা কখনো নারীদের জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারিনি। আমরা এমন একটা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চাই, যারা ইয়াসমিনের মতো মেয়েকে হত্যা করবে না। আমাদের আইনকে নারীবান্ধব বলতে পারি না। এটা এখনো বৈষম্য জিইয়ে রেখেছে, ফলে নারীরা সমান সুযোগ পায় না। আমরা নতুন দেশে এমন আইন চাই, যা নারীদের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করবে। আমরা মানবাধিকার পেলে নারীর অধিকারের জন্য রাস্তায় নামতে হতো না।

নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আনিয়া ফাহমিন বলেন, বাংলাদেশেও অসংখ্য ধর্ষণের ঘটনার মামলা হয় না। অনেক ঘটনার মামলা হলেও সেটির কোনো বিচার হয় না। আমরা চাই, এমন ঘটনা যেন না হয় বা হলেও যেন ভুক্তভোগী নারী যেন তার বিচার পায়। আর জি করের ঘটনা থেকে আমাদের উপলব্ধি হয়েছে যে আমাদের দেশেও বছরের পর বছর ধরে ঘটে আসছে। ধর্ষণের ঘটনা সামনে আসলেও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি সামনে আসে না।