দেশের বিভিন্ন মহাসড়কে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পোশাক পরে পণ্যবাহী গাড়ি থামার সংকেত দিত সংঘবদ্ধ ডাকাতদলের সদস্যরা। এরপর গাড়ির চালক ও সহকারীর হাত-পা বেঁধে করা হতো পণ্য ডাকাতি। অনেক সময় পণ্যসহ গাড়ি নিয়ে চম্পট দিত তারা।
সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ডিমের গাড়ি ডাকাতির ঘটনায় চক্রের পাঁচজনকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) মতিঝিল বিভাগ। গ্রেফতাররা হলেন আসলামুল হক আসলাম ওরফে বেলাল, রমজান শেখ ওরফে কালু, মেহেদী শেখ হিরা, জমির খান ও জহিরুল ইসলাম চকদার।
একইভাবে সাভারের চান্দিনায় ব্যাংক থেকে টাকা তুলে ফেরার পথে ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে ডাকাতির ঘটনায় ডাকাত দলের ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন জাহাঙ্গীর আলম, মিরন ওরফে সুজন, মেহেদী হাসান রাজীব, আব্দুল মতিন, বাদল মুন্সী ও সাগর ইসলাম। তাদের কাছ থেকে ডাকাতিতে ব্যবহার করা পাঁচটি গাড়ি, পুলিশের ওয়্যারলেস ও জ্যাকেট উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবির কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, মহাসড়কে লেজার লাইট দিয়ে সংকেত দিয়ে পণ্যবাহী গাড়ি থামিয়ে ডাকাতি করে আসছিল তারা। এছাড়া চান্দিনায় এক ব্যবসায়ী ব্যাংক থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়ে যাওয়ার পথে ডাকাতির শিকার হন। এ ঘটনায় করা মামলার তদন্ত করতে গিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতির ঘটনায় বেশ কয়েকটি মামলা শনাক্ত করা হয়েছে। সেসব ঘটনায় এই দুই ডাকাতদলের সদস্যরা জড়িত। ডাকাত দলের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে পাঁচ থেকে ১২টি পর্যন্ত মামলা রয়েছে।