ঢাকা ০২:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘স্ত্রী হিসেবে তো জিজ্ঞাসা করতেই পারি, কোথায় যাচ্ছো’

মডেল ও অভিনেত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া। সবার কাছে পিয়া জান্নাতুল নামেই বেশি পরিচিত তিনি। ১৬ বছর বয়স থেকেই যুক্ত মডেলিংয়ে।
এছাড়াও শোবিজের পাশাপাশি আইন পেশাতেও যুক্ত তিনি। এখন তার পরিচয় সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী।

২০১৪ সালে সাড়ে ছয় বছরের সম্পর্কের পর ফারুক হাসান সামীরকে বিয়ে করেন পিয়া জান্নাতুল।

এরপর ২০২১ সালে ছেলে সন্তানের মা হন এই মডেল-আইনজীবী। সব মিলিয়ে স্বামীর সঙ্গে সাড়ে ষোলো বছরের সম্পর্কে আছেন পিয়া।
সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমের ভিডিও সাক্ষাৎকারে উপস্থিত ছিলেন পিয়া জান্নাতুল। সেখানে পিয়ার শোবিজ অঙ্গনে যাত্রা, ক্যারিয়ার ও মডেলিংয়ের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে আলোচনা হয়।

এছাড়াও তার ব্যক্তিগত জীবন অর্থাৎ প্রেম ও সাংসারিক জীবন প্রসঙ্গেও আলোচনা করা হয়।

ওই সাক্ষাৎকারে পিয়াকে প্রশ্ন করা হয়- মডেলিং লাইফে অনেকে পছন্দ করতেন পিয়াকে, তাদের মধ্যে ফারুকও আছেন কিনা?

জবাবে পিয়া বলেন, ‘ফারুকের সঙ্গে যখন মডেলিং শুরু করি, তখন আমার বয়স ১৬ বছর। তার কয়েক মাস পর থেকে ফারুকের সঙ্গে আমার দেখা। আমার যা বয়স, তার অর্ধেক সময় আমি ফারুককে চিনি। তখন ফারুক একটা চাকরি করতো, আর ওর বাবা-মায়ের পরিচয় জেনে নেই। আর এটুকু জেনেই তার সাথে প্রেম শুরু করি। আগে আমি তার গোড়াটা দেখেছি। কারণ, আমার বিয়ে হোক না হোক, আমার বাবা মা এর সামনে পরিচয় করাতে পারব এমন একটি মানুষকে পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও আমি চেয়েছি একটি শিক্ষিত ঘরে বিয়ে করতে। তবে শুধু ছেলে শিক্ষিত হলেই চলবে না, ছেলের পরিবারও যেন শিক্ষিত হয় এটাও চেয়েছি।’

পিয়া জানান, ফারুক তাদের সম্পর্কে অসৎ কোনো কিছু করেনি। স্বামী হিসেবে ফারুক কেমন, এমন প্রশ্নের উত্তরে পিয়া বলেন, ‘এতকিছু চিন্তা করলে রিলেশন থাকবে না। কিছু জিনিস সময়ের সঙ্গে ছেড়ে দিতে হবে। এরকম না যে, কিছু জানার চেষ্টা করছি বলে তার ফোন চেক করছি; কোথায় যাচ্ছে না যাচ্ছে বিশদ জানতে চাচ্ছি। স্ত্রী হিসেবে তো জিজ্ঞাসা করতেই পারি, কোথায় যাচ্ছো- শুধু এতটুকুই। তার মানে এই না যে তুমি কি কারও সঙ্গে যাচ্ছো, বা কার সঙ্গে থাকছো- এমন না। দুইটার মধ্যে তফাৎ আছে।’

পিয়া জান্নাতুল যেভাবে তার স্বামীকে মেইনটেইন করেন, একইভাবে সব স্ত্রীদের মেইনটেইন করা উচিত কিনা- এমন প্রশ্নে অভিনেত্রী বলেন, যেটা বললাম, ফোন চেক না করা, কোথায় যাচ্ছে সেটা সন্দেহ নিয়ে স্বামীকে জিজ্ঞাসা না করা। কারণ, এগুলো স্বাভাবিক বিষয়। এখানে মেইনটেইন করার কিছু নেই। যখনই মেইনটেইন করতে হবে তখনই তাকে সমঝোতা করতে হবে, ত্যাগ করতে হবে, আর তখনই সম্পর্কটা একটা বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। কাজেই সম্পর্কে বোঝা না বাড়িয়ে যদি সম্পর্ককে- সম্পর্কের মতো চলতে দেই, তাহলে সেটা দুই পক্ষের ওপরেই সুখ, শান্তি ও দায়িত্ব এনে দেবে।

পিয়া আরও বলেন, সম্পর্কের জন্য শুধু সমঝোতাই করছি, এটা না চিন্তা করে বরং এই সম্পর্কটাই টিকিয়ে রাখাকে দায়িত্ব মনে করা হলে আমার মনে হয় এটি ভালো কোনো ফল এনে দেবে।

২০০৭ সালে ‘মিস বাংলাদেশ’ হয়েছিলেন জান্নাতুল পিয়া। সেই থেকে ক্যারিয়ার শুরু। এরপর মডেলিংয়ের দিকে বেশি নজর দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি করেছেন অভিনয়। পাশাপাশি শেষ করেছেন আইন বিষয়ক পড়াশোনা। ঢাকার লন্ডন কলেজ অব লিগ্যাল স্টাডিজ থেকে আইন বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করেছেন।

২০১২ সালে রেদোয়ান রনির ‘চোরাবালি’ সিনেমা দিয়ে পিয়ার বড় পর্দায় অভিষেক। এরপর ‘দ্য স্টোরি অব সামারা’, ‘গ্যাংস্টার রিটার্নস’, ‘প্রবাসীর প্রেম’, ‘ছিটমহল, ‘প্রেম কি বুঝিনি’ সিনেমাগুলোতে অভিনয় করেছেন তিনি।

 

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

‘স্ত্রী হিসেবে তো জিজ্ঞাসা করতেই পারি, কোথায় যাচ্ছো’

আপডেট সময় ০১:০৩:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪

মডেল ও অভিনেত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া। সবার কাছে পিয়া জান্নাতুল নামেই বেশি পরিচিত তিনি। ১৬ বছর বয়স থেকেই যুক্ত মডেলিংয়ে।
এছাড়াও শোবিজের পাশাপাশি আইন পেশাতেও যুক্ত তিনি। এখন তার পরিচয় সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী।

২০১৪ সালে সাড়ে ছয় বছরের সম্পর্কের পর ফারুক হাসান সামীরকে বিয়ে করেন পিয়া জান্নাতুল।

এরপর ২০২১ সালে ছেলে সন্তানের মা হন এই মডেল-আইনজীবী। সব মিলিয়ে স্বামীর সঙ্গে সাড়ে ষোলো বছরের সম্পর্কে আছেন পিয়া।
সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমের ভিডিও সাক্ষাৎকারে উপস্থিত ছিলেন পিয়া জান্নাতুল। সেখানে পিয়ার শোবিজ অঙ্গনে যাত্রা, ক্যারিয়ার ও মডেলিংয়ের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে আলোচনা হয়।

এছাড়াও তার ব্যক্তিগত জীবন অর্থাৎ প্রেম ও সাংসারিক জীবন প্রসঙ্গেও আলোচনা করা হয়।

ওই সাক্ষাৎকারে পিয়াকে প্রশ্ন করা হয়- মডেলিং লাইফে অনেকে পছন্দ করতেন পিয়াকে, তাদের মধ্যে ফারুকও আছেন কিনা?

জবাবে পিয়া বলেন, ‘ফারুকের সঙ্গে যখন মডেলিং শুরু করি, তখন আমার বয়স ১৬ বছর। তার কয়েক মাস পর থেকে ফারুকের সঙ্গে আমার দেখা। আমার যা বয়স, তার অর্ধেক সময় আমি ফারুককে চিনি। তখন ফারুক একটা চাকরি করতো, আর ওর বাবা-মায়ের পরিচয় জেনে নেই। আর এটুকু জেনেই তার সাথে প্রেম শুরু করি। আগে আমি তার গোড়াটা দেখেছি। কারণ, আমার বিয়ে হোক না হোক, আমার বাবা মা এর সামনে পরিচয় করাতে পারব এমন একটি মানুষকে পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও আমি চেয়েছি একটি শিক্ষিত ঘরে বিয়ে করতে। তবে শুধু ছেলে শিক্ষিত হলেই চলবে না, ছেলের পরিবারও যেন শিক্ষিত হয় এটাও চেয়েছি।’

পিয়া জানান, ফারুক তাদের সম্পর্কে অসৎ কোনো কিছু করেনি। স্বামী হিসেবে ফারুক কেমন, এমন প্রশ্নের উত্তরে পিয়া বলেন, ‘এতকিছু চিন্তা করলে রিলেশন থাকবে না। কিছু জিনিস সময়ের সঙ্গে ছেড়ে দিতে হবে। এরকম না যে, কিছু জানার চেষ্টা করছি বলে তার ফোন চেক করছি; কোথায় যাচ্ছে না যাচ্ছে বিশদ জানতে চাচ্ছি। স্ত্রী হিসেবে তো জিজ্ঞাসা করতেই পারি, কোথায় যাচ্ছো- শুধু এতটুকুই। তার মানে এই না যে তুমি কি কারও সঙ্গে যাচ্ছো, বা কার সঙ্গে থাকছো- এমন না। দুইটার মধ্যে তফাৎ আছে।’

পিয়া জান্নাতুল যেভাবে তার স্বামীকে মেইনটেইন করেন, একইভাবে সব স্ত্রীদের মেইনটেইন করা উচিত কিনা- এমন প্রশ্নে অভিনেত্রী বলেন, যেটা বললাম, ফোন চেক না করা, কোথায় যাচ্ছে সেটা সন্দেহ নিয়ে স্বামীকে জিজ্ঞাসা না করা। কারণ, এগুলো স্বাভাবিক বিষয়। এখানে মেইনটেইন করার কিছু নেই। যখনই মেইনটেইন করতে হবে তখনই তাকে সমঝোতা করতে হবে, ত্যাগ করতে হবে, আর তখনই সম্পর্কটা একটা বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। কাজেই সম্পর্কে বোঝা না বাড়িয়ে যদি সম্পর্ককে- সম্পর্কের মতো চলতে দেই, তাহলে সেটা দুই পক্ষের ওপরেই সুখ, শান্তি ও দায়িত্ব এনে দেবে।

পিয়া আরও বলেন, সম্পর্কের জন্য শুধু সমঝোতাই করছি, এটা না চিন্তা করে বরং এই সম্পর্কটাই টিকিয়ে রাখাকে দায়িত্ব মনে করা হলে আমার মনে হয় এটি ভালো কোনো ফল এনে দেবে।

২০০৭ সালে ‘মিস বাংলাদেশ’ হয়েছিলেন জান্নাতুল পিয়া। সেই থেকে ক্যারিয়ার শুরু। এরপর মডেলিংয়ের দিকে বেশি নজর দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি করেছেন অভিনয়। পাশাপাশি শেষ করেছেন আইন বিষয়ক পড়াশোনা। ঢাকার লন্ডন কলেজ অব লিগ্যাল স্টাডিজ থেকে আইন বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করেছেন।

২০১২ সালে রেদোয়ান রনির ‘চোরাবালি’ সিনেমা দিয়ে পিয়ার বড় পর্দায় অভিষেক। এরপর ‘দ্য স্টোরি অব সামারা’, ‘গ্যাংস্টার রিটার্নস’, ‘প্রবাসীর প্রেম’, ‘ছিটমহল, ‘প্রেম কি বুঝিনি’ সিনেমাগুলোতে অভিনয় করেছেন তিনি।