ঢাকা ১০:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বেপরোয়া ভালুকার সাইবার সন্ত্রাসীরা দি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ থেকে আগষ্টিন হাতিয়েছেন শত কোটি টাকা দীর্ঘ তিন বছর পর নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ে মরিচবুনিয়া ইউনিয়নের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী টিটুকে চেয়ারম্যান ঘোষণা উত্তরণ আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক উৎসব -২০২৪ অনুষ্ঠিত সময় আসবে একদিন…তখন আফসোস করবি বাংলাদেশটাকে ধ্বংস করার জন্য পটুয়াখালীতে ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও জনস্বার্থে খাল পরিস্কার কর্মসূচী অনুষ্ঠিত ভারতে জমাজলে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ যুবকের মৃত্যু কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের বোর্ডে ভাসছে ‘আওয়ামী লীগ জিন্দাবাদ’! ঢাকাসহ ছয় বিভাগে বজ্র বৃষ্টির পূর্বাভাস ছাত্র-জনতার ওপর হামলাকারী যুবলীগ নেতা মিজান গ্রেফতার

বাকেরগঞ্জে অশ্লীল নৃত্যের যাত্রা পালা ও সর্বনাশা জুয়ার রমরমা আসর

  • নিলুফা আকতার
  • আপডেট সময় ০৯:৪৭:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুন ২০২৪
  • ৫৩৮ বার পড়া হয়েছে

বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের চর কবাই মাছুয়া খালি গ্রামের চরে প্র শাসনের নাগালের মধ্যে চলছে অশ্লীল নৃত্যের যাত্রা পালা ও বিভিন্ন রকমের জুয়ার রমরমা আসর।

২৪ মে এই অশ্লীন যাত্রাপালা ও জুয়ার আসর শুরু হলেও ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর জন্য সাময়িক কিছুদিন বন্ধ থাকার পরে। আবারও বিভিন্ন মহল ম্যানেজের মাধ্যমে গত তিনদিন যাবত চলছে যাত্রা পালার নামে উলঙ্গ নারীর নৃত্য ও সর্বনাশা জুয়ার আসর। প্রতিদিন রাত ১১টার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে এসব নৃত্য প্রদর্শণ করা হয়। নৃত্য দেখার জন্য টিকিট মূল্য ধরা হয়েছে ২’শ টাকা এবং টাকার বিনিময় কমিটির মাধ্যমে রয়েছে যাত্রা দলের শিল্পীদের সাথে একান্তে আলোচনার ব্যবস্থা।

কবাই ইউনিয়নের একাধিক গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে জানা যায় প্রশাসন ও স্থানীয় কিছু সাংবাদিক ম্যানেজে করে এমন অপকর্ম চালানো হচ্ছে। প্রতিদিন রাতে বিভিন্ন ধরনের জুয়া আসরের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বাকেরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আশা মানুষের। ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের স্বামী ও সন্তান গুলো জুয়ার নেশায় তাদের সর্বস্ব শেষ করে দিচ্ছে। স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছেলেরা অশ্লীল নৃত্যের যাত্রা পালা দেখে সামাজিক ভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যুবসমাজের এমন ক্ষতির দায়ভার থেকে বাকেরগঞ্জ প্রশাসন এড়িয়ে যেতে পারবেনা।

যাত্রা মঞ্চের পার্শ্ববর্তী গ্রামের জাকির হোসেন বলেন, জীবনে যাত্রা দেখেছি অনেকবার। কিন্তু এমন নগ্ন নৃত্য দেখিনি কখনো। এ নৃত্য বন্ধ না হলে এলাকার যুব সমাজ ধ্বংসের মুখে পড়বে। প্রশাসন কিভাবে এমন অনুমতি দিলো বুঝলাম না।

স্থানীয় একাধিক জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা জানান, শহীদ মেম্বারের এমন খুটির জোর কোথায়? বাকেরগঞ্জে এমন অসামাজিক কার্যকর্মের বিরুদ্ধে সাংবাদিক ও প্রশাসান আজ নিরব কেনো। সকলের নিরবতার কারণে আজ সর্বশান্ত হয়ে যাচ্ছে শতশত পরিবার এবং ধ্বংস করে দিচ্ছে এলাকার যুব সমাজকে, বাকেরগঞ্জের প্রশাসনের এমন নীরবতা সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্নবিদ্ধ।

স্থানীয় সাবেক একজন মেম্বার গোপন সূত্রে জানান, বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের মৌখিক অনুমতি মাধ্যমে এবং পুলিশের উপস্থিতিতে চলে প্রতিরাত এই অশ্লীল নৃত্যের যাত্রা ও জুয়ার আসর। বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশকে ম্যানেজের প্রতি রাত দিতে হয় নগদ ১৫ হাজার টাকা।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বেপরোয়া ভালুকার সাইবার সন্ত্রাসীরা

বাকেরগঞ্জে অশ্লীল নৃত্যের যাত্রা পালা ও সর্বনাশা জুয়ার রমরমা আসর

আপডেট সময় ০৯:৪৭:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুন ২০২৪

বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের চর কবাই মাছুয়া খালি গ্রামের চরে প্র শাসনের নাগালের মধ্যে চলছে অশ্লীল নৃত্যের যাত্রা পালা ও বিভিন্ন রকমের জুয়ার রমরমা আসর।

২৪ মে এই অশ্লীন যাত্রাপালা ও জুয়ার আসর শুরু হলেও ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর জন্য সাময়িক কিছুদিন বন্ধ থাকার পরে। আবারও বিভিন্ন মহল ম্যানেজের মাধ্যমে গত তিনদিন যাবত চলছে যাত্রা পালার নামে উলঙ্গ নারীর নৃত্য ও সর্বনাশা জুয়ার আসর। প্রতিদিন রাত ১১টার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে এসব নৃত্য প্রদর্শণ করা হয়। নৃত্য দেখার জন্য টিকিট মূল্য ধরা হয়েছে ২’শ টাকা এবং টাকার বিনিময় কমিটির মাধ্যমে রয়েছে যাত্রা দলের শিল্পীদের সাথে একান্তে আলোচনার ব্যবস্থা।

কবাই ইউনিয়নের একাধিক গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে জানা যায় প্রশাসন ও স্থানীয় কিছু সাংবাদিক ম্যানেজে করে এমন অপকর্ম চালানো হচ্ছে। প্রতিদিন রাতে বিভিন্ন ধরনের জুয়া আসরের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বাকেরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আশা মানুষের। ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের স্বামী ও সন্তান গুলো জুয়ার নেশায় তাদের সর্বস্ব শেষ করে দিচ্ছে। স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছেলেরা অশ্লীল নৃত্যের যাত্রা পালা দেখে সামাজিক ভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যুবসমাজের এমন ক্ষতির দায়ভার থেকে বাকেরগঞ্জ প্রশাসন এড়িয়ে যেতে পারবেনা।

যাত্রা মঞ্চের পার্শ্ববর্তী গ্রামের জাকির হোসেন বলেন, জীবনে যাত্রা দেখেছি অনেকবার। কিন্তু এমন নগ্ন নৃত্য দেখিনি কখনো। এ নৃত্য বন্ধ না হলে এলাকার যুব সমাজ ধ্বংসের মুখে পড়বে। প্রশাসন কিভাবে এমন অনুমতি দিলো বুঝলাম না।

স্থানীয় একাধিক জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা জানান, শহীদ মেম্বারের এমন খুটির জোর কোথায়? বাকেরগঞ্জে এমন অসামাজিক কার্যকর্মের বিরুদ্ধে সাংবাদিক ও প্রশাসান আজ নিরব কেনো। সকলের নিরবতার কারণে আজ সর্বশান্ত হয়ে যাচ্ছে শতশত পরিবার এবং ধ্বংস করে দিচ্ছে এলাকার যুব সমাজকে, বাকেরগঞ্জের প্রশাসনের এমন নীরবতা সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্নবিদ্ধ।

স্থানীয় সাবেক একজন মেম্বার গোপন সূত্রে জানান, বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের মৌখিক অনুমতি মাধ্যমে এবং পুলিশের উপস্থিতিতে চলে প্রতিরাত এই অশ্লীল নৃত্যের যাত্রা ও জুয়ার আসর। বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশকে ম্যানেজের প্রতি রাত দিতে হয় নগদ ১৫ হাজার টাকা।