ঢাকা ১২:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ১৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পটুয়াখালীতে সমাজসেবার উপ-পরিচালকের প্রতীকী দায়িত্বে স্কুল শিক্ষার্থী আয়েশা পটুয়াখালীতে ৪ জেলেকে ১০ দিন করে কারাদন্ড; ৭০ মিঃ জাল আগুনে ধ্বংস ধামরাইয়ে বিভিন্ন ইউনিয়নে স্বেচ্ছাসেবক দলের গণসংযোগ ও মতবিনিময় কুমিল্লায় ভিডিও কলে রেখে প্রেমিক-প্রেমিকার আত্মহত্যা বোয়ালখালী পুলিশের অভিযানে ৩ দিনে ৪ জন গরু চোর সহ ছয়টি গরু উদ্ধার পাবনায় যুবদল নেতা রায়হানের উদ্যোগে অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরন ও দোয়া অনুষ্ঠিত ভোলায় মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের উপর হামলা, আটক-১ মায়ের বসতভিটা রক্ষায় জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ রানা প্লাজা ধস: আপিলেও স্থগিত সোহেল রানার জামিন আগষ্টিনের সহোচর কল্পনা ফলিয়ার যত প্রতারণা

সিলেটে পানি নামছে, দুর্ভোগ বাড়ছে

সিলেট নগরীর বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। পানি কমতে শুরু করেছে উজানের উপজেলাগুলোতেও। জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাটসহ আশপাশের উপজেলাগুলোতেও পানি কমতে শুরু করেছে। রোববার নগরীর বন্যাকবলিত এলাকার পানি কমতে শুরু করে।

সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে নেমে আসে। তবে পানি নেমে যেতে শুরু করলেও দুর্ভোগ বাড়ছে বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে।

সিলেট নগরীর কয়েকটি ওয়ার্ডে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেওয়ায় সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করে বিভিন্ন ভাবে কর্মতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে সিলেট সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। পাহাড়ি ঢলে সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এ বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেয়।

সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বিদেশে অবস্থান করায় মাঠে রয়েছেন ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো. মখলিছুর রহমান কামরানসহ কর্মকর্তারা। আশ্রয় কেন্দ্র চালু এবং বানভাসীদের জন্য খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে নগর ভবন। নগরীর বন্যাকবলিত এলাকাসমূহ পরিদর্শন করেন ভারপ্রাপ্ত মেয়রসহ কর্মকর্তারা।

সিসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর জানান, বন্যায় আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বেশির ভাগ এলাকার। সকল ওয়ার্ডে আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পানি বাড়লে তাদের ওই আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হবে। সুরমা তীরবর্তী বিদ্যুৎ সাব স্টেশনগুলো রক্ষার জন্য বালির বস্তা দিয়ে বাধ নির্মাণ করা হয়েছে। ২৫ ও ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় কাউন্সিলর তাকবিরুল ইসলাম পিন্টু ও রায়হান আহমদের মাধ্যমে বাঁধ নির্মাণ করা হয়।

তিনি জানান, নগরীর ১৫নং ওয়ার্ডের কিশোরী মোহন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পার্শ্ববর্তী একটি ৫ তলা খালি ভবনে দুটি আশ্রয় কেন্দ্রে শতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের রান্না করা খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিসিকের স্বাস্থ্য শাখার একটি চিকিৎসক দল সেখানে চিকিৎসা সেবা প্রদান করছেন। তাছাড়াও সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে এই দুটি আশ্রয় কেন্দ্রসহ বন্যা কবলিত ওয়ার্ডগুলোতে শুকনা খাবার, চিড়া, মুড়ি, গুড়, বিশুদ্ধ পানি, পানি বিশুদ্ধ করন ট্যাবলেট, ওরস্যালাইন ও কিছু কিছু ওয়ার্ডে মোমবাতি সরবরাহ করা হয়েছে। গত শনিবার বিকাল থেকে আশ্রয় কেন্দ্রে রান্না করা খিচুড়ি দেওয়া হয়েছে।

এদিকে নদ-নদীগুলোর পানি কমলেও রেখে গেছে ক্ষতচিহ্ন। পাহাড়ি ঢলে বন্যা কবলিত সীমান্তের উপজেলাগুলোতে পানি কমলেও ভেসে উঠছে বন্যার ক্ষত। বন্যার পানিতে গ্রামীণ সড়কগুলো হয়েছে ক্ষতবিক্ষত। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কৃষিতে।

জানা যায়, সিলেটের জকিগঞ্জ, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও কানাইঘাট এই ৫ উপজেলায় বন্যার পানি কিছুটা কমেছে। গোয়াইনঘাট-জাফলং ও সারি-গোয়াইনঘাট সড়ক। অনেক জায়গায় সড়ক ভেঙে বড় বড় গর্তেরও সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া গ্রামীণ সবগুলো সড়কই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সীমান্তবর্তী আরেক উপজেলা কানাইঘাটের পানিও শুক্রবার থেকে কমতে শুরু করে। যেসব এলাকা থেকে পানি নেমে গেছে সেসব এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ভেঙে পড়ছে কাঁচা ঘর-বাড়ি।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পটুয়াখালীতে সমাজসেবার উপ-পরিচালকের প্রতীকী দায়িত্বে স্কুল শিক্ষার্থী আয়েশা

সিলেটে পানি নামছে, দুর্ভোগ বাড়ছে

আপডেট সময় ১১:০৮:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪

সিলেট নগরীর বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। পানি কমতে শুরু করেছে উজানের উপজেলাগুলোতেও। জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাটসহ আশপাশের উপজেলাগুলোতেও পানি কমতে শুরু করেছে। রোববার নগরীর বন্যাকবলিত এলাকার পানি কমতে শুরু করে।

সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে নেমে আসে। তবে পানি নেমে যেতে শুরু করলেও দুর্ভোগ বাড়ছে বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে।

সিলেট নগরীর কয়েকটি ওয়ার্ডে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেওয়ায় সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করে বিভিন্ন ভাবে কর্মতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে সিলেট সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। পাহাড়ি ঢলে সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এ বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেয়।

সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বিদেশে অবস্থান করায় মাঠে রয়েছেন ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো. মখলিছুর রহমান কামরানসহ কর্মকর্তারা। আশ্রয় কেন্দ্র চালু এবং বানভাসীদের জন্য খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে নগর ভবন। নগরীর বন্যাকবলিত এলাকাসমূহ পরিদর্শন করেন ভারপ্রাপ্ত মেয়রসহ কর্মকর্তারা।

সিসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর জানান, বন্যায় আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বেশির ভাগ এলাকার। সকল ওয়ার্ডে আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পানি বাড়লে তাদের ওই আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হবে। সুরমা তীরবর্তী বিদ্যুৎ সাব স্টেশনগুলো রক্ষার জন্য বালির বস্তা দিয়ে বাধ নির্মাণ করা হয়েছে। ২৫ ও ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় কাউন্সিলর তাকবিরুল ইসলাম পিন্টু ও রায়হান আহমদের মাধ্যমে বাঁধ নির্মাণ করা হয়।

তিনি জানান, নগরীর ১৫নং ওয়ার্ডের কিশোরী মোহন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পার্শ্ববর্তী একটি ৫ তলা খালি ভবনে দুটি আশ্রয় কেন্দ্রে শতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের রান্না করা খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিসিকের স্বাস্থ্য শাখার একটি চিকিৎসক দল সেখানে চিকিৎসা সেবা প্রদান করছেন। তাছাড়াও সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে এই দুটি আশ্রয় কেন্দ্রসহ বন্যা কবলিত ওয়ার্ডগুলোতে শুকনা খাবার, চিড়া, মুড়ি, গুড়, বিশুদ্ধ পানি, পানি বিশুদ্ধ করন ট্যাবলেট, ওরস্যালাইন ও কিছু কিছু ওয়ার্ডে মোমবাতি সরবরাহ করা হয়েছে। গত শনিবার বিকাল থেকে আশ্রয় কেন্দ্রে রান্না করা খিচুড়ি দেওয়া হয়েছে।

এদিকে নদ-নদীগুলোর পানি কমলেও রেখে গেছে ক্ষতচিহ্ন। পাহাড়ি ঢলে বন্যা কবলিত সীমান্তের উপজেলাগুলোতে পানি কমলেও ভেসে উঠছে বন্যার ক্ষত। বন্যার পানিতে গ্রামীণ সড়কগুলো হয়েছে ক্ষতবিক্ষত। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কৃষিতে।

জানা যায়, সিলেটের জকিগঞ্জ, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও কানাইঘাট এই ৫ উপজেলায় বন্যার পানি কিছুটা কমেছে। গোয়াইনঘাট-জাফলং ও সারি-গোয়াইনঘাট সড়ক। অনেক জায়গায় সড়ক ভেঙে বড় বড় গর্তেরও সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া গ্রামীণ সবগুলো সড়কই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সীমান্তবর্তী আরেক উপজেলা কানাইঘাটের পানিও শুক্রবার থেকে কমতে শুরু করে। যেসব এলাকা থেকে পানি নেমে গেছে সেসব এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ভেঙে পড়ছে কাঁচা ঘর-বাড়ি।