বেশ কয়েক মাস ধরে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী এলাকায় বাসা বাড়ি থেকে দিনে দুপুরে চুরি হয়ে যাচ্ছে গরু। যার
সূত্র ধরে গত কয়েক মাস ধরে বোয়ালখালী থানায় জমা হয়েছে একাধিক অভিযোগ ও মামলা। এই অভিযোগ ও মামলার তদন্তে মাঠে নেমেছে বোয়ালখালী থানা পুলিশ যার পরিপ্রেক্ষিতে গত তিনদিনে টানা অভিযান পরিচালনা
করে ৪ গরু চোর সহ ছয়টি গরু উদ্ধার করতে সক্ষম হন বোয়ালখালী থানা পুলিশ।
দুইটি পৃথক গরু চোরি মামলায় এই চারজন গরু চোরকে সনাক্ত করে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় বোয়ালখালী থানা
এই সময় তাদের কাছ থেকে ছয়টি গরু উদ্ধার করে এনে গরুর মালিকদের বুঝিয়ে দিতে সক্ষম হয় বোয়ালখালী থানা পুলিশের চৌকস দলের সদস্যরা।
গত ২৬ অক্টোবর শনিবার বিকেলে অভিযান পরিচালনা কালে পোপাদিয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড হইতে পাঁচটি চোরাইকৃত গরু সহ এক চোরকে আটক করেছে পুলিশ,
তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় একে একে পাঁচটি গরু।
এর আগে চুরি হওয়া গরুর গুলোর মালিক বোয়ালখালী উপজেলার ৬ নং পোপাদিয়া ইউনিয়নের পোপাদিয়া ৫নং ওয়ার্ডে অলি মেম্বারের বাড়ীর বাসিন্দা দৌলত মিয়া বাদি হয়ে বোয়ালখালী থানায় গরু চুরি মামলা দায়ের করেন।
তিনি বলেন আমার গোয়াল ঘর হইতে গত ২১ অক্টোবর
চোরেরা ১ (এক) টি হালকা লাল রংয়ের বড় গাভী ও ০১ (এক) টি ছোট লাল রংয়ের (বকনা) বাছুর চুরি করিয়া নিয়ে যায় যে বিষয়ে আমি বোয়ালখালী থানায় গরু চুরির
মামলা দায়ের করেছি।
গরু চোরের মামলাটি হাতে পাওয়ার পর বোয়ালখালী থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে পোপাদিয়া এলাকা থেকে চোরাইকৃত পাঁচটি গরুসহ চোর আলতাফ হোসেন সিফাতকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। জানা যায় চোর সিফাত একই এলাকার ৫নং ওয়ার্ডের অলি মেম্বার বাড়ির খোরশেদ আলম ছেলে।
বোয়ালখালী থানা পুলিশ বরাত জানা যায় উক্ত গরু চোর সিফাত দীর্ঘদিন বিভিন্ন এলাকায় গরু চুরি করে আসছেন,
তাকে গ্রেফতার করতে অনেক জায়গায় অভিযান করতে হয়েছে তাদের। অবশেষে তাকে চোরাইকৃত গরুসহ চোর সিফাত কে গ্রেফতার করতে সক্ষম তারা।
এর পূর্বে সারোয়াতলী ইউনিয়নের মোঃ নুরুল আবছার (৫৩), পিতা- মৃত জায়দুল হক,ইমামুল্লারচর (আব্দুর রশিদ মেম্বারের বাড়ী) ৭নং ওয়ার্ড, ৫নং সারোয়াতলী ইউপি, গোয়াল ঘর থেকে গত ২০ অক্টোবর তারিখ রাতে চোর দল একটি লাল রংয়ের গরু চুরি করিয়া নিয়া যায়। গরু চুরি ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেন বাদি পক্ষ।চোরা গরু সহ প্রথমে দুই জন গ্রেফতার করেন এসআই নাদিম মাহমুদ ও তার সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স।