কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে ধর্ষণের শিকার হয়েছে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক মাদ্রাসাছাত্রী (১৩)। মেয়েটিকে ঘরে একা পেয়ে খোকা মিয়া (২৪) নামে মাদকাসক্ত এক ইজিবাইক চালক গলায় ছুরি ধরে তাকে ধর্ষণ করে।
রোববার দুপুর ২টার দিকে পৌর এলাকার নয়াপাড়া গ্রামে নিজ বাড়িতে ধর্ষণের শিকার হয় ওই মাদ্রাসাছাত্রী।
অভিযুক্ত ধর্ষক খোকা মিয়া পাশের কলাতুলি গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে। সে নয়াপাড়া গ্রামের চেনু মিয়ার ভাতিজা। আত্মীয়তার সূত্র ও মাদক গ্রহণ করতে প্রায়ই এ গ্রামে আসা-যাওয়া করত বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার মাদ্রাসাছাত্রীর বাবা ও মা শনিবার পারিবারিক প্রয়োজনে তাদের ছোট সন্তানকে নিয়ে ঢাকায় যান। এ সময় তাদের দুই মেয়েকে রেখে যান দাদির কাছে। তাদের ঘর থেকে দাদির বসতঘর কিছুটা দূরে। শনিবার রাতে দুই বোন দাদির সঙ্গেই রাতযাপন করে। রোববার দুপুরে নিজেদের ঘরে টিভি দেখতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে মেয়েটি। এ সময় সবার অলক্ষ্যে চুপিচুপি ঘরে ঢুকে মেয়েটির মুখ চেপে গলায় ছুরি ধরে মেরে ফেলার হুমকি দেয় খোকা এবং ছুরি ধরে রেখেই তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
পাশবিক নির্যাতনের শিকার ওই মাদ্রাসা ছাত্রীর দাদি জানান, তার নাতনির সম্ভ্রমহানি করে চলে যাওয়ার সময় হুমকি দিয়ে যায়- এ ঘটনা কাউকে বললে গলা কেটে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেবে।
আশপাশের লোকজন জানান, তারা অভিযুক্ত খোকা মিয়াকে একপর্যায়ে দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখেছে। মাদকাসক্ত বলে পরিচিতি থাকায় লোকজন তাকে ধরার চেষ্টা করেনি।
বিকালে ধর্ষণের শিকার মাদ্রাসাছাত্রীকে নিয়ে তার দাদি ও অন্যান্য আত্মীয়স্বজন থানায় অভিযোগ করতে আসেন।
করিমগঞ্জ থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, খবর পেয়ে অভিযুক্ত খোকাকে ধরতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মেয়েটির মা-বাবা এলেই মামলা দায়ের করা হবে। এর আগেই অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টা এবং বাকি আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।