রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলার গত ০৮ মে ২০২৪ তারিখে ভিকটিমের মা মোছাঃ কুড়িফুল বেগম (৪৫) তার মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়েকে মোঃ আব্দুল খালেক কবিরাজ (৪৫) এর নিজ বাসায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। সেখানে খালেক কবিরাজ ভিকটিমকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করে পরিকল্পনা অনুয়ায়ী তাদেরকে সেখানে রাত্রিযাপন করতে বলে। রাত্রি অনুমান ১০,৩০ ঘটিকায় আসামী মোঃ আব্দুল খালেক কবিরাজ (৪৫) ভিকটিমকে ঘুমন্ত অবস্থায় জোরপূর্বক ধর্ষণ করে,পরের দিন সকালে ২নং আসামী ভিকটিমের মা ভিকটিমকে তার জামাই মোঃ জাফর মিয়া (২৩) এর বাসায় দিয়ে আসলে মানসিক ভারসাম্যহীন ভিকটিম তার স্বামীকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে থাকে এবং ঘটনার সংশ্লিষ্টতার কথা বলে দেয়। ভিকটিমের স্বামী অভিযোগ করেন ১৫ হাজার টাকার লোভে ২নং আসামী ভিকটিমের মা নিজে তার মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়েকে কবিরাজের বাড়িতে নিয়ে যান ও রাত্রিযাপন করে এবং রাতে থাকার সুযোগে আসামী মোঃ আব্দুল খালেক কবিরাজ (৪৫) ভিকটিমকে ধর্ষণ করে। তিনি আরো অভিযোগ করেন ২নং আসামী মোছাঃ কুড়িফুল বেগম (৪৫) ১নং আসামী মোঃ আব্দুল খালেক কবিরাজ (৪৫) এর সাথে পরোকিয়া সম্পর্কে জড়িত।
পরবর্তীতে ভিকটিমে স্বামী বাদী হয়ে ১২/৫/২০৪ ইং তারিখে রংপুর গঙ্গাচড়া থানায় লিগাল এইড এর সহায়তায় এজাহার দায়ের করে, যার মামলা নং-১৪, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন ২০২০ এর ৯ (১)/৩০ ঘটনাটি স্থানীয় জাতীয় সংবাদ মাধ্যমসমূহে প্রচারিত হলে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। উক্ত ঘটনা সংঘটিত হওয়ার পর ধর্ষক গ্রেফতার এড়াতে বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। বিষয়টি নিয়ে র্যাব-১৩, রংপুর গোয়েন্দা অনুসন্ধান শুরু করে।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অদ্য ১৬ মে ২০২৪ তারিখ অনুমান ১৫,৪০ ঘটিকায় র্যাব-১৩, ব্যাটালিয়ন সদর, রংপুর এর একটি আভিযানিক দল রংপুর মহানগরীর কোতয়ালী থানাধীন মাটিয়াপাড়া, অযোদ্ধাপুর শ্যামপুর এলাকা হতে অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর মানসিক ভারসাম্যহীন ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী মোঃ আব্দুল খালেক কবিরাজ (৪৫), পিতা-মোঃ আয়নাল হোসেন কবিরাজ, সাং-পাইকান উচাপাড়া, থানা-গঙ্গাচড়া, জেলা-রংপুর’কে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামী মোঃ আব্দুল খালেক কবিরাজ (৪৫) উপরোক্ত ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে আসামীকে রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া ২নং আসামীকে গ্রেফতারের জন্য গোয়েন্দা অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।